ব্যবহার
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার মাধ্যমে সারাদেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্র ও দুইটি স্থলবন্দর (বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী) ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক এনগেজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে আগ্রহী। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়।
এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
জনসেবা দিতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব করতে সব জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি, কর্মকর্তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, তাদের মূল্যায়নের জন্য কি-পারফর্মেন্স ইন্ডিকেটর, প্রজেক্ট বাস্তবায়ন ড্যাশবোর্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি স্মার্ট ও সফটওয়্যার ভিত্তিক করা হবে। মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসেবা প্রদানের মানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে এটুআই নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখার কর্মকর্তাসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণে উভয় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, স্মার্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ এবং জনসেবা প্রদানে আইসিটি ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সোমবার পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলে চড়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শনে যান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে নেমে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে যান।
মেট্রোরেলে ভ্রমণকালে পরিবেশমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ওসমানী উদ্যানে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করলেন পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে জনসাধারণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন মালিকরা পরিবেশবান্ধব পরিবহন পরিচালনা করলে এবং জনসাধারণ পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করলে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনগণকে ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদানের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সব ধরনের দুর্নীতিমুক্ত থেকে আইন, বিধি-বিধান মোতাবেক সরকারি কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিপূর্ণভাবে জনগণের সেবা করব: পরিবেশমন্ত্রী
ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিবেশমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
এসময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল থেকে দ্রুততম সময়ে বরাদ্দ আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। প্রাপ্ত বরাদ্দ যাতে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন পরিবেশের উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের নীতি ও আদর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বারের নির্বাচনি ইশতেহারে পরিবেশের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে পরিবেশমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
লালমনিরহাটে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার, আটক ২
লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদের ‘হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করায় দুইজন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা চলাকালীন তাদের আটক করা হয়। আটক হওয়া দুইজন হলেন, মেহেদী হাসান ও ধমকান্ত রায়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমাম নিহত
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ‘হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর মেহেদী হাসান ও ধমকান্ত রায় নামের দুইজন পরীক্ষার্থীর কানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া যায়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন নিয়োগ কমিটির সদস্যরা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, আটক দুই পরীক্ষার্থীর কানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া যায়। পরে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
কিছু দেশ মানবাধিকারকে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অন্য দেশের বিরোধিতা করার জন্য বর্তমান বিশ্বের কিছু দেশ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কিছু উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ আজ মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। মানবাধিকার এখন মানুষকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অপছন্দ করে, তারা প্রথমে বিভিন্ন ছদ্মবেশে মানবাধিকার নিয়ে আসে, তারপর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আমাদের দেশে জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন সুষ্ঠু, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটদের পশ্চাদপসরণের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও তার পরাজয় মেনে নেননি। কিন্তু বাংলাদেশে পরাজিত প্রার্থীদের অধিকাংশই স্বীকার করেছেন বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, 'দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না, আমাদের সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে কাউকে হত্যা করা হবে না।
তিনি বলেন, 'যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে, দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্বার্থে খালেদা জিয়াকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি কয়েকদিন ধরেই বলে আসছে, তাদের চেয়ারপারসনের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং তার জীবন বিপন্ন। বিদেশে না নিলে তিনি মারা যাবেন। তবে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া আদালতের এখতিয়ার।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ ছাড়া খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না। তাই তার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
হাছান মাহমুদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
মায়ার কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক মন্ত্রী তারানা হালিমসহ নিহতদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। পুনঃব্যবহার সম্ভব না হলে বর্জন করার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্কাউটদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ স্কাউটসের সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিতরণ এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন জানান, স্কাউট ও রোভার স্কাউটদের ভালো কাজের স্বীকৃতির স্বীকৃতি হিসেবে ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, স্কাউটদের অনুকরণে সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো ও পুনঃব্যবহার বিষয়ে কাজ করলে দেশে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস এই মৌসুমে ৫০ লাখ গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্কাউটদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। স্কাউট আগামী বছর ১ কোটি চারা রোপণ করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ রোধ করে ও জলবায়ুর পরিবর্তনের রাশ টেনে ধরতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) কাজী নাজমূল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. শাহ কামাল এবং প্লাস্টিক টাইড টার্নার প্রোগ্রামের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী ২৪১ জনকে সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড দেন। এ ছাড়াও, সারাদেশে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করা ‘প্লাস্টিক টাইড টার্নারস চ্যালেঞ্জ ব্যাজ’ অর্জনকারী ৫ হাজার ৬৪২ জনের মধ্যে ২৪ জনকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে রেলে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করা হবে: মন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থাকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে রেলে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
রবিবার (১৬ জুলাই) রেলভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং এন্ড কন্সট্রাক্ট্রিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে রেল চলাচলের জন্য ট্রাকশন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এবং টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর অংশের কাজ করার জন্য তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং এন্ড কন্সট্রাক্ট্রিং কোম্পানিকে যে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এছাড়া তারা নিদিষ্ট সময়ের মধে তা শেষ করবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে রেলে গ্যাস ও ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার হচ্ছে। এতে কার্বন নির্গমণ হয় না। এটি পরিবেশবান্ধব তাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের সরাসরি রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮০ জনের বেশি নিহত, আহত ৯০০
বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
২০০৫ সাল পরবর্তী ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার ৫ গুণ বেড়েছে। শুধু ২০২০ সালে বাংলাদেশে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসব প্লাস্টিকের মাত্র ৩১ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে: বিশ্বব্যাংক
পৌরসভার ডাম্পিং ও পর্যটকদের প্লাস্টিক উচ্ছিস্টের কারণে বন ও জলাভূমিতে দুষণ বাড়ছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরে ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে।
প্রবন্ধে বলা হয়, প্লাস্টিক দুষণ রোধে আন্তর্জাতিক চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই চুক্তি সই করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সময়ের আগেই প্লাস্টিক দূষণ রোধের ব্যাপারে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জোরালো করার তাগিদ দেয়া হয় প্রবন্ধে।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং পর্যটন অনুরাগী ও উদ্যোক্তা অপু নজরুল।
প্লাস্টিক দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ট্যুর অপারেটরদের সংযুক্ত করা ও সার্কুলার ইকোনমির প্রচলনের ব্যাপারে মত দেন তারা।
সেমিনারে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
জীবিকার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক