নদ
ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে মো. মহুবর রহমান নামের এক জেলের জালে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাহেবের আলগার কাজিয়ার চর ব্রহ্মপুত্র নদে মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
পরে জেলে মহুবর রহমান বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য হাতিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মন্টুর কাছে বিক্রি করতে গেলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী মন্টু জানান, মাছটি এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিই। পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, বিষয়টি অবগত নই। তবে বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবনেশ্বর নদের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি কুমিরের দেখা মিলেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে কুমিরটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
কুমিরটি দেখে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির কুমির
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিরটি ওই এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে তেলিডাঙ্গি এলাকায় অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
সুজন বেপারী জানান, কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার ব্যাপারী বলেন, কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরের খোঁজে পুনরায় ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী সিকদার ডাঙ্গী এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখতে নানা বয়সী উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা গোসল করার পাশাপাশি গবাদি পশু গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোর্শেদ বলেন, কুমিরের বিষয়টি আমি বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে আপাতত গোসল বা নদে নেমে অন্য কোন কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খুলনা বিভাগীয় অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেখান থেকে কুমিরটি উদ্ধারে একটি টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
খুলনা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কুমিরটির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সঠিক অবস্থান জানতে পারলে আমাদের একটি টিমকে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের জয়ন্তী নদীতে পাঙ্গাসের জালে উঠে এলো কুমির!
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে পাগলার বাজার। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার দুর্গম নারায়ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর গ্রামে অবস্থিত এই জমজামট বাজারটি।
চলতি বছরের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে বাজারের দেড়শটি দোকানের মধ্যে ২২টি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে- পদ্মারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদ্মারচর আবাসন প্রকল্প, আবাদি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি।
বাজারটি রক্ষায় এলাকাবাসী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সরজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নৌঘাট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা শ্যালো নৌকায় পৌঁছানো হয় পাগলার বাজার নামক স্থানে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাজারটির ভাঙন কবলিত দুর্দশা। বাজারের উত্তর-পশ্চিম ঘেঁষে ২২টি দোকানের স্থানটি নদীতে ধ্বসে পরেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দোকান।
বাজারের ইজারাদার শাহাজুল হক জানান, ২০১২ সালে বাজারটি স্থাপন করা হয়। প্রথমে এমপির বাজার নামকরণ করা হলেও একজন অচেনা পাগলের আবির্ভাবের পর এর নাম হয়ে যায় পাগলার বাজার। এই বাজারের আশে পাশে কোন বাজার নেই। উত্তরে ৫ কিলোমিটার নৌপথে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা নারায়ণপুর বাজার।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণে রয়েছে ১০ কিলোমিটার নৌপথে যাত্রাপুর বাজার। এখানকার ১০টি চরের ২০ হাজার মানুষের কেনাকাটার জন্য রয়েছে একমাত্র এই বাজারটি। এটি ভেঙে গেলে বাজারের দেড়শ ব্যবসায়ী পরে যাবে চরম বিপদে। দুর্গম এলাকা জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোন কাজ করতে চায় না। আমরা বাজার, স্কুল ও আবাসনটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করেছি।
বাজারের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন ডাক্তার, জাহেদুল ইসলাম ও রফিকুল মাস্টার জানান, আমাদের পদ্মারচরটি প্রায় ৭০ বছরের পুরনো চর। এখানে প্রায় ২ হাজার ৬০০ পরিবারের বসবাস। এছাড়াও পাশেই রয়েছে ঝুনকারচর, দেবারী খোলা, পয়াস্তি ঝুনকা, অস্টআশির চর, রলাকাটা, বারোবিশ, নারায়ণপুর, মোল্লাপাড়া, ব্যাপারীর চর ও শান্তিয়ার চর। এসব চরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করে এই বাজার থেকে। এই বাজার ভেঙে গেলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ভীষণ বিপদে পরে যাবে।
এই বাজারের অরছব আলী, দুলাল, বুলু ও আলী হোসেন জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরবাসীদের জীবন-জীবিকার সাথে হাট-বাজারগুলোর অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। জেলার দুর্গম ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে ওঠা পাগলার বাজারটি আশপাশের ১০টি চরের মানুষের একমাত্র ক্রয়-বিক্রয় ও সময় কাটানোর জায়গা। বিকাল হলেই লোকজন এক কাপ চা আর গল্প করার জন্য এখানে ছুটে আসেন। এছাড়াও সপ্তাহে হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। হাটটি বিলিন হলে বিপদে পড়বে ২০ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি। পাগলার বাজারে ভাঙনের কথা আমরা জানতে পারলাম। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
ভৈরবের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বিজয় নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেন ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির গ্রামের বাড়ি ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। শহরের কমলপুরে ভাড়া থাকত। তার বাবা পাদুকা কারখানার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর বেনী বাজার এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায় এক শিশু। তখন স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান। তাৎক্ষণিক ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের সদস্য ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় ভৈরব নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের লিডার রাশেদ জানান, মঙ্গলবার ১২টার দিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে ১টা ৫০মিনিটে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর শিশুর পরিচয় জানতে পারি।
ভৈরব নৌ পুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আমাদের সংবাদ দেয় ব্রম্মপুত্র নদে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে একটি শিশু ডুবে যায়। এ খবরে ঘটনাস্থলে এসে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করি। শিশুর বাবা তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এখন আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় কমছে নদ-নদীর পানি
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পানি কমা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, পানি কমায় এবং জেলায় বন্যার আশঙ্কা না থাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম বলেন, গত কয়েকটা দিন গরু, বাছুর, ধান নিয়ে বিপদেই পড়েছিলাম। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।
বংশীকুন্ডা বাজরের ব্যবসায়ী এবিএম জুয়েল তালুকদার বলেন, বাজারে বন্যার পানি না উঠলেও ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক ছিলো। যদিও বর্ষা মৌসুমে এরকম অবস্থা আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে বন্যা হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নদীগুলো খনন করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতকে পানি কমে বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে সুরমা নদীর প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান, পানি কমা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে বন্যা পরিস্থিতি হলে তা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে বন্যার আশংকা নেই। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নদীর পানি কমছে। বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
টানা বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে হাওড় এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চল।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৪৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সব নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে।
দুই দিনের টানা বর্ষণ ও সীমান্তের ওপাড়ে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। চলাচলের সড়ক ডুবিয়ে বিকট শব্দে হু-হু করে ঢলের পানি ঢুকছে হাওর ও লোকালয়ে। ঘোলাটে পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে হাওর এলাকা।
আরও পড়ুন: নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
সুনামগঞ্জে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের যাদুকাটা, চলতি নদীসহ সব নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েক জায়গায় নদীর তীর ডুবে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন: নদী শুকিয়ে যাওয়ায় কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে এখনো হাওরে পানি কম থাকায় বন্যার সম্ভবনা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’, পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
কুড়িগ্রামে ৫০০ টাকা বাজি ধরে মধ্যরাতে নদে ঝাঁপ, যুবক নিখোঁজ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ৫০০ টাকা বাজি ধরে নদে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুরের দুধকুমার নদের শহিদুলের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ বাবুল মিয়া (২২) পাইকের ছড়া ইউনিয়নের মাওলানা পাড়া গ্রামের আনিস আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাইকেরছড়া মাওলানা পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে হাসেম আলীর সঙ্গে তিলাই ইউনিয়নের খোঁচা বাড়ির চর এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ের বিয়ে হয়। রবিবার রাত ১২টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে নৌকায় দুধকুমার নদ পার হওয়ার জন্য শহিদুলের ঘাটের নৌকায় ওঠেন সবাই। নৌকাটি মাঝ নদে পৌঁছলে বরের ফুফাতো ভাই বাবুল মিয়া অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতরিয়ে নদ পার হওয়ার বাজি ধরেন। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ৫০০ টাকা বাজি ধরে নৌকা থেকে নদে ঝাঁপ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৪
কিছুদূর সাঁতরিয়ে যাওয়ার পর স্রোতের টানে গভীর পানিতে তলিয়ে যায় বাবুল। রাত থেকেই তার খোঁজ চালায় স্বজনরা।
তবে, পরদিন সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত নদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও বাবুল মিয়ার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকালে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষককে মারধর: আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
কুড়িগ্রামে অটোরিকশা কিনতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন চালক
ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে এক জেলের বর্শিতে উঠেছে ৬২ কেজির বাঘা আইড় মাছ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডের এশিয়া মার্কেটে মাছটি নিয়ে আসলে কয়েকশ’ উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
শুক্রবার সকালে নাগেশ্বরী পৌর বাজারে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রি করা হয়। এতে মাছটির মূল্য দাড়ায় প্রায় এক লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় পটকা মাছ খেয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
মাছের মালিক হানিফ আলী। তার বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বানুরখামার এলাকায়।
মাছ ব্যবসায়ী হানিফ জানান, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে বৃহস্পতিবার বিকালে বর্শিতে মাছ ধরেছেন এক স্থানীয় জেলে। তার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকায় মাছটি কিনে এনেছেন নাগেশ্বরীতে। দাম বেশি তাই ক্রেতা কম।
শুক্রবার সকালে পৌরবাজারে মাছটি কেটে ১৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বিক্রি হয় ৯৯হাজার ২০০টাকায়। এতে অনেক খরচ পড়েছে। লোকজন খাটাতে হয়েছে। তারপরও লাভ থাকবে। বড় কথা হলো এতে অনেক ভাললাগা আছে। এতো বড় মাছ সব সময় পাওয়া যায়না। এটাও সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই ভালোবাসা থেকে মাছটি কিনে এনেছি।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, এ ধরণের বড় মাছ ধরার খবর শুনেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক বড় বড় মাছ আছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ ধরার খবর আসে। এতে বোঝা যায় এ জেলার নদ নদী এখনও মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ।
ইলিশের নিষেধাজ্ঞা সময়টি জেলেরা মান্য করায় এখন নদীতে সব ধরণের মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে আবুল কাশেম (৬৮) নামের এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দূর্গম জাহাজের আলগার চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত মেজার আলীর ছেলে।
নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম মন্ডল ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: যুবকের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধ আবুল কাশেম পেশায় একজন ভিক্ষুক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। ভিক্ষা করতে বের হলে তিনি এক থেকে দুই সপ্তাহ পর বাড়ি আসেন।
রবিবার (৯ অক্টোবর) ভিক্ষা করার জন্য তিনি সাহেবের আলগা চরে যান। এরপর আর ফিরে আসে নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজের আলগার চরের লোকজন তার লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাত প্রায় ১০টার দিকে উলিপুর থানায় নিয়ে আসে।
নিহত বৃদ্ধের ছোট ভাই আক্কাছ আলীসহ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ না থাকায় থানা থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, ভিক্ষুক আবুল কাশেম যেকোন সময় নদে পড়ে মারা যান।
পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ভোলার মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার