পঙ্গু মিজান
ভালবাসা দিবসের মানে বদলে গেল পঙ্গু মিজানের জীবনে
ভালবাসা দিবসে জীবিকার্জনের জন্য দোকান ঘর উপহার পেয়ে ভালবাসার মানেটাই বদলে গেল সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা মিজানের। তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ফরিদপুরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আমরা করবো জয়'। সংগঠনটি জীবিকা অর্জনের জন্য মিজানের বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান তৈরি করে দিয়েছে।
সোমবার রাতে দোকান উদ্বোধন করে পুনরায় সংসারের হাল ধরতে পেরে খুশি মিজান।
মিজান তালুকদার (৩২) ফরিদপুর শহরের উত্তর আলীপুর এলাকার রেজাউল করিম তালুকদারের বড় ছেলে । মিজান দুই সন্তানের জনক। পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ সংকুলান করতে না পেরে একদিন মিনি পিক আপের হেলপারি কাজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: হাত-পা বিহীন এসএসসি পরীক্ষার্থী সালাহ উদ্দিনের স্বপ্ন বড়
গেল বছর ২ অক্টোবর ছিল তার হেলপারি কাজের প্রথম দিন। সন্ধ্যায় ফরিদপুরের কানাইপুর বাজার থেকে মিনি পিকআপে পান লোড করে রওনা দেন যশোরের উদ্দেশ্যে।
রাত ২টার দিকে যশোরের চৌরাশ এলাকায় কাভার্ডভ্যানের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন পিকআপের চালক মো. সোহেলসহ মিজান। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন উইনিট, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেন। অবশেষে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় করার পরও বাম পা কেটে ফেলতে হয় তার। শুরু হয় তার পঙ্গু জীবন। সোহেলের কোমরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার তিনি এখনও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।