অর্জন
অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ অর্জন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেয় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
পদক প্রাপ্তির প্রেক্ষাপটে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগতভাবে সাফল্যের সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টুর্নামেন্ট দুইটি আয়োজন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এ টুর্নামেন্ট ফুটবলার তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। ২০২২ সালে সাফ উইমেনস ফুটবল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাঁচজন খেলোয়াড় উঠে এসেছে এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
সচিব বলেন, ২০২৩ সালে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ২২ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী টুর্নামেন্ট দুটিতে অংশ নেয়। অংশগ্রহণের দিক থেকে এখন বিশ্বের বৃহত্তম টুর্নামেন্ট এ দুইটি। এ অনন্য অর্জন ‘গিনেসবুকে’ স্থান করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তিনি এ ব্যাপার গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও ‘সানজিদা’বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের প্রফেশনাল ফুটবল লিগে কোলকাতা ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অধিদপ্তরের দক্ষতা মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
একই সঙ্গে দপ্তরগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে প্রতিষ্ঠানটির সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সমবায়মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিতে চান সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পুনরায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রাখতে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন।
তিনি ঢাকা ওয়াসার দক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বটি ঢাকা ওয়াসা ঠিকভাবে করতে পেরেছে। এছাড়াও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিক করতে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান।
ভর্তুকির টাকায় ধনীদের পানি সরবরাহ করা যৌক্তিক কি না সে প্রশ্ন রেখে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয়, আর আমি যদি তা ১৫ টাকায় বিক্রি করি তাহলে বাকি ১৫ টাকা ভর্তুকি কে দেবে? সরকারি টাকা দিয়ে কী আমি এখানে ক্ষতিপূরণ দেব?
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা কি যৌক্তিক বিষয় কি না প্রশ্ন আমার। ধনাঢ্য এলাকার পানির মূল্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার পানির মূল্য এক হওয়া উচিত নয় বলে মত দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে গেলে আইন ও বিধিগুলো সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। এতে কর্মকর্তাদের উৎসাহ ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আশা করি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মশালার মাধ্যমে নাগরিক সেবা আরও সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এদিকে, আজ সকালে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ’ ও ‘সম্পদ আহরণ এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এছাড়াও ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনুন: টিপু মুনশি
১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার(৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্সী বলেন, আরও অনেক পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে এবং দেশের শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যবৈচিত্র্য আনতে পারে এবং আরও অনেক দেশ বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘(এভাবে) সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষি ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও এলসি নিয়ে আলোচনা রাষ্ট্রদূতের
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল ব্যবসায়ীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রফি দিয়েছে ইপিবি।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবনে অগ্রগতি করতে হলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গড়ার একটি ছোট অংশ মাত্র। জীবনে উন্নতি করতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে 'লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এ এন এম ফখরুল আমিন ফরহাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন ভূঁইয়া ও খাদিজা আক্তার উর্মি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান বলেন, 'আমরা আমাদের মনের দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে আমাদের মনোবিজ্ঞানের অনেক প্রভাব রয়েছে। এজন্য মানসিক সুস্থতা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমাদের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকতে শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামের হেড অব সোশ্যাল ইনোভেশন মানিক মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও কর্মজীবনের দক্ষতার বিশাল ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন নয়। ‘কর্মজীবন সম্পর্কে দক্ষতার অভাবের কারণে তারা কর্মস্থলে সমস্যার সম্মুখীন হয়।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান বলেন, 'দক্ষতার বিষয়টি আমরা কখনই উপেক্ষা করতে পারি না। ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেলসহ অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং আমাদের এটি গুরুত্বসহকারে শিখতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের রপ্তানি খাত বহুমুখীকরণ করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো’-ব্লিস-২০২৩’ উপলক্ষে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। ব্লিস-২০২৩ এই লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের টোটাল রপ্তানির তৈরি পোশাক খাত ৮৩ ভাগ দখল করে আছে। কিন্তু এই খাত একদিনে এই জায়গায় আসেনি! চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পখাতসহ সব রপ্তানি শিল্পগুলোর সমান নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় পণ্যগুলোর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আগামী ১২-১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চতুর্থবারের মতো “বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩” এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২ ধারায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, মামলার অপর ১৩ আসামিকে অবৈধ সম্পদের অর্জনের দায়ে ৩ বছর এবং মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে ৪ বছর করে মোট ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাহেদকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এই অর্থ আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
গত ১০ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেন।
১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২১ সালের ১ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং গুলি উদ্ধারের ঘটনায় আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম তাসখন্দের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর বাণিজ্য অনুষদ থেকে শুক্রবার (১৬ জুন) এক্সটারনাল রিসার্চার হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার গবেষণার বিষয় ছিল- ‘ফ্যাক্টরস অ্যফেক্টিং দ্য অ্যাডোপশন অব টেকনোলজি-ড্রাইভেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড: এশিয়ান কনটেক্সট’।
আরও পড়ুন: ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন হয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
গবেষণার বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের ১০ জন সদস্যই গোপন ব্যালটে সর্বসম্মতভাবে তার পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের পক্ষে ভোট দেন।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর রেক্টর এবং উজবেকিস্তান পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাদিক সাফায়েভ, ভাইস রেক্টরগণ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ সহ এ অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সময় বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম এর ৬টি আর্টিকেল ও ২ টি কনফারেন্স পেপার প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ তার থিসিসের বিষয়ে রিভিউ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
তিনি মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের বিশিষ্ট স্কুল শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করা চুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু
ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সবধরনের তামাকপণ্য বিশেষ করে কমদামি সিগারেটের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
একইসঙ্গে খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
বুধবার (১০ মে) ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ: বাজেট ২০২৩-২৪’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব বিষয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা।
তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করতে যত দেরি হবে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি ততই বাড়বে।
কর্মশালায় জানানো হয়, আইএমএফ ঋণের বিপরীতে যে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অংশ তামাকপণ্যের কর ও দাম কার্যকরভাবে বাড়িয়ে পূরণ করা সম্ভব।
বর্তমানে সিগারেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশই কমদামি সিগারেটের ভোক্তা এবং এই স্তরে সম্পূরক শুল্কহার খুবই কম, মাত্র ৫৭ শতাংশ।
কর্মশালায়, নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে ৩৫ দশমিক ৭৫ টাকা অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
মধ্যম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১১১ টাকা থেকে ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ দশমিক ০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
একইসঙ্গে বিড়ি, গুল এবং জর্দার দাম বাড়িয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় জানানো হয় তামাকবিরোধীদের এই বাজেট প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে এবং চার লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং চার লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর, সিটিএফকে বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোন খাতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে অপো।
২০২৩ এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস–এ এআর ক্যাটাগরিতে অপো এয়ার গ্লাস সিলভার পুরস্কার অর্জন করেছে।
এছাড়া, বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত এ বছরের এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
গত ২০ এপ্রিল ফ্লোরিডায় এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পণ্য, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি এই তিনটি ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এডিসন অ্যাওয়ার্ডস, যা বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসনের সম্মানে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিন হাজার জনের বেশি সিনিয়র বিজনেস এক্সিকিউটিভস ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত প্যানেল কন্সেপ্ট, ভ্যালু, ডেলিভারি ও ইম্প্যাক্ট–এ চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই এডিসন অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিজয়ী নির্বাচন করে।
উদ্ভাবনী ডিজাইন ও নিজস্ব প্রযুক্তির জন্য অপো এয়ার গ্লাস এই প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতে নিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম ডিট্যাচেবল মনোকল এআর গ্লাস অপো’র এই এয়ার গ্লাস। এর ওজন মাত্র ৩০ গ্রাম, যার ফলে এটি অনেক আরামদায়ক এবং সারাদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
ডিভাইসটিতে অপো’র স্পার্ক মাইক্রো প্রজেক্টর, অত্যাধুনিক মাইক্রো এলইডি এবং ডিফ্র্যাকশন অপটিক্যাল ওয়েভগাইড ডিসপ্লেসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে অপো এয়ার গ্লাসে নোটিফিকেশন, নেভিগেশন, টেলিপ্রম্পটার এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
২০২১ সালে উন্মোচিত এয়ার গ্লাসটি গত বছর রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড এবং আইএফ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
সবার জন্য সেরা প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপো গত বছরের ইনো ডে ২০২২ ইভেন্টে এই ডিভাইসের একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ, অপো এয়ার গ্লাস ২ উন্মোচন করে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে অপো এয়ার গ্লাস ২ আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এছাড়া, ফাস্ট কোম্পানি দ্বারা প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর (২০২৩) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদকীয় দল প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে সেরা উদ্ভাবক নির্বাচন করতে শত শত কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মূল্যায়ন করে থাকে।
অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ অপ্টিমাইজিং সলিউশন। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ডেড লিথিয়ামের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।
অপো’র এই দুর্দান্ত ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ১,৬০০টি চার্জ সাইকেলে ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে।
‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মূলমন্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অপো ব্যবহারকারী-বান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) অপো সুপারভুক এস পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ, পরিবেশ-বান্ধব জিরো-পাওয়ার ট্যাগ এবং ম্যারিসিলিকন ওয়াই ফ্ল্যাগশিপ ব্লুটুথ অডিও এসওসি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নত পণ্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে অপো।
এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে আরও জানতে ভিজিট করুন-
https://edisonawards.com/2023-winners-dev/ এই ঠিকানায়।
ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত শীর্ষ ১০টি এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.fastcompany.com/90846729/most-innovative-companies-asia-pacific-2023 এই ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: ঈদ উদযাপনে অপো’র নজরকাড়া অফার
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো