মাবরুর রশীদ বান্নাহ
বান্নাহর নতুন ধারাবাহিক ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা রিলোডেড’
চলতি মাসে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতিবারই এই সময়কে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় অনেক নাটক। এবারও সেই ধারাবাহিকতা থাকছে। এরইমধ্যে মাবরুর রশীদ বান্নাহ নির্মাণ ১০ পর্বে ধারাবাহিক নাটক ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা রিলোডেড’।
এর গল্প লিখিছেন মোসাব্বের হোসেন মুয়িদ।
বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর দিকে এটিএন বাংলায় প্রচার শুরু হবে ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা রিলোডেড’। এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল ‘গোল্লাছুট’-এ দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
আরও পড়ুন: ১৫ ডিসেম্বর আসছে ‘কারাগার ২’
নতুন এই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বান্নাহ বলেন, ‘২০১৮ সালে ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা’ শিরোনামে একটি একক নাটক নির্মাণ করি। দর্শকদের বেশ সাড়া পাই নাটকটি নিয়ে। প্রযোজক এবারও একটি নাটকে প্রস্তাব দেন তবে এবার একক না করে ধারাবাহিক করতে চেয়েছি। এমনকি শুটিং এরইমধ্যে শেষ।’
ধারাবাহিকটির গল্প প্রসঙ্গে বান্নাহ আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল এলে সাধারণত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলে আমরা ভাগ হয়ে যাই। এ নিয়ে পুরোটা সময় বেশ উন্মাদনায় কাটে। সেই গল্পই পর্দায় তুলে আনা হয়েছে।’
অন্যদিকে মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র নির্মাণে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর চতুর্থ সিজন প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
তাহসান-তিশা জুটির ওয়েবফিল্ম ‘মানি মেশিন’
দর্শকদের অনুরোধে আসছে ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর ৪র্থ সিজন
গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ'র নিরিক্ষাধর্মী কাজগুলো বিভিন্ন সময় বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। তার ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ সিরিজটি এমন এক উদাহরণ।
একদল তরুণের সমসাময়িক ঘটনাকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা।
‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর তিনটি সিজন প্রচার হয় ইউটিউবে। খুব অল্প সময়ে বেশ সাড়া ফেলে। তাই দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল চতুর্থ সিজন নিয়ে আসবেন বান্নাহ।
কিন্তু তিনি এই সিরিজের নতুন সিজন আনবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু দর্শকদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ‘বদমাইশ পোলাপাইন’-এর চতুর্থ সিজনের ঘোষণা দিলেন বান্নাহ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছিলাম সিরিজটি আর না আগাই। সিজন থ্রি পর্যন্ত দর্শকদের মধ্যে যে জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল সেটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু সবকিছুরই যেহেতু একটা জায়গায় শেষ আছে, তাই ভাবলাম সিরিজটি এই শেষ করি।’
আরও পড়ুন: চুড়ি-ফিতা বিক্রেতা মৌসুমী!
বান্নাহ আরও বলেন, ‘চতুর্থ সিজনের অনুরোধ আমি অনেকদিন ধরে পাচ্ছি। একসময় সিদ্ধান্ত নিলাম এটা নিয়ে আগাব। কারণ দর্শকদের ভালোবার জন্যই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছি। আর কাজের মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সেই চিন্তা থেকেই চতুর্থ সিজনের পরিকল্পনা। অনেক চমক নিয়ে চতুর্থ সিজন আসছে। আশা করি দর্শককে হতাশ করব না।’
চতুর্থ সিজনের শুটিং শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে। চিত্রনাট্যে কাজ চলছে এখন। এবার অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, প্রত্যয় হিরণ, মাখনুন সুলতানা মাহিমাসহ অনেকে। এছাড়াও দেখা যাবে কয়েকজন নতুন মুখ।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ ও ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজগুলো এত সাড়া পাবে, ভাবতেও পারিনি: মাবরুর রশীদ বান্নাহ
নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ এরইমধ্যে তার কাজ দিয়ে দর্শকদের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। গল্প ভাবনার ক্ষেত্রে নিজের ভিন্নতার ছাপ রাখার চেষ্টাও তার বরাবরের মতো থাকে। আর তাই কাজের স্বীকৃতি হিসেবেও পেয়েছেন বেশ কয়েকটি সম্মানজনক পুরস্কার।জনপ্রিয় এই নির্মাতার সফলতার মুকুটে যোগ হলো নতুন দুটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের মহারাষ্ট্রে আয়োজিত হয় ‘নেক্সজেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ এবং ‘প্যারাডক্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এই দুই উৎসবে পুরস্কার পায় মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘আশ্রয়’, ‘মায়ের ডাক’ ও ‘সুইপার ম্যান’ শিরোনামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো।‘নেক্সজেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ‘আশ্রয়’ ৫ ক্যাটাগরিতে ৭টি পুরস্কার জিতে নেয়। এছাড়াও ‘মায়ের ডাক’ পুরস্কার পায় ৫ ক্যাটাগরিতে ৭ টি। আর ‘সুইপার ম্যান’ ৫ ক্যাটাগরিতে ৫ টি পুরুস্কার পায়।অন্যদিকে ‘প্যারাডক্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ‘আশ্রয়’ ৩ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় ৩টি। ‘মায়ের ডাক’ ৩টি ক্যাটাগরিতে পায় ৪টি এবং ‘সুইপার ম্যান’ ২ ক্যাটাগরিতে জিতে নেয় ২টি পুরস্কার।
দুই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সারা পৃথিবী থেকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রায় এক হাজারের বেশি ফিল্ম জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি চলচ্চিত্র এই ২টি ফেস্টিভ্যালে ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে। আর এতে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘খুব আনন্দ লাগছে। খানিকটা অবাকও হয়েছি। কারণ এতটা সাড়া চিন্তাও করতে পারিনি। অনলাইনেই সিনেমাগুলো সাবমিট করেছিলাম। কিন্তু ভাবতেও পারিনি এমন দুটি উৎসবে আমার কাজগুলো স্বীকৃতি নিয়ে আসবে। ভাবতে পারিনি চেনা নেই, জানা নেই বিদেশিরা আমাদের কাজ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করে স্বীকৃতির বন্যা বইয়ে দেবে! আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজগুলোর এতটা সাড়া ভাবতেও পারিনি।’মাবরুর রশীদ বান্নাহ আরও জানান, গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মহামারির কারণে সেখানে তার উপস্থিত হওয়া হয়নি। তবে তার অর্জন ঘরে এসে পৌঁছেছে সম্প্রতি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঠানো স্বীকৃতি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বান্নাহর হাতে এসে পৌঁছায়।পুরস্কার প্রসঙ্গে বান্নাহ আরও বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি সবসময় অনুপ্রেরণা জোগায়। আমার ধন্যবাদের লিস্ট অনেক বিশাল হবে। আমাকে যিনি এক প্রকার জোর করে ঠেলে ঠেলে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সার্কিটে পাঠাচ্ছেন সেই অমর ব্যানার্জি। সম্মানিত জুরি বোর্ডের সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি আমার কাজের স্বীকৃতিগুলোকে উৎসর্গ করতে চাই বাংলাদেশের সকল ফিল্ম এক্টিভিস্ট, ফিল্ম লাভার ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন শুরু