কাজী হাবিবুল আউয়াল
২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে স্বীকার সাবেক সিইসি আউয়ালের
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ‘ডামি ও বানোয়াট অনুশীলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রিমান্ড শুনানির সময় ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবেক সিইসি এ কথা বলেন।
কেন পদত্যাগ করেননি- আদালত তাকে এমন প্রশ্ন করলে আউয়াল কৌশলে তা এড়িয়ে যান। বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সিইসি পদত্যাগ করেননি।
পরে, সাবেক সিইসি শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় অনিয়ম এবং পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার অভিযোগে বিএনপির দায়ের করা মামলায় ঢাকার আদালত আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে বুধবার(২৫ জুন) মগবাজার এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
বিএনপি শের-ই-বাংলা নগর থানায় অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করার দুই দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এদিকে, গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার তার বাসা থেকে আরেক সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একাদশ নির্বাচনে, ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে বিএনপি ব্যালট ভর্তির অভিযোগ করে।
২০২৪ সালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে তাতে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি।
চলতি মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিগত তিনটি নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
১৬২ দিন আগে
তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোস্তফা জামান এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গতকাল (বুধবার) ঢাকার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
তার দুদিন আগে রবিবার (২২ জুন) আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকেও তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার (২৩ জুন) তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
১৬২ দিন আগে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ: সিইসি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি আরও বলেন, সঠিক ভোটার উপস্থিতি জানতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন চলাকালে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে, ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৮৭টি উপজেলা পরিষদে ২৬১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন নারী (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
৫৫৫ দিন আগে
সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক ভালো হতো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দলটি।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি অংশ নিলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, টোকিও ও দূতাবাসের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে জাপান আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
তিনি ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
হাবিবুল আউয়াল জানান, আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
তিনি বলেন, দাতা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭১৮ দিন আগে
বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিতে চাইলে আগামী সাধারণ নির্বাচনে পুনঃতফসিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন পেছানোর কথা বলতে পারছি না, তবে আমাদের নির্বাচন কমিশনারেরা (ইসি) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে পুনঃতফসিল করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বারবার অনুরোধ করলেও বিএনপি রাজি হয়নি।
সিইসি বলেন, ‘এখনও সময় আছে এবং সমঝোতার মাধ্যমে এটি আমাদের জন্য সহজ হতে পারে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই বলে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এলে এটা পুরো জাতির জন্য আনন্দের বিষয় হবে বলে আমি আশা করি।’
নির্বাচন পুনঃতফসিল করার পর তাদের (বিএনপি) স্থান দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের স্বার্থে যা ভালো করা উচিৎ আমরা তাই করব এবং আমাদের এখতিয়ার অনুযায়ী সবকিছু করব।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭৪০ দিন আগে
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।সিইসি বলেন, ‘জনগণ অবাধে ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলা যায়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মসূচির প্রথম পর্বের উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য আজ (শনিবার) থেকে শুরু হওয়া দুই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
যেখানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রশিক্ষিত প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বিশেষজ্ঞ মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ পোলিং কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
এ সময় আরও দুজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়: সিইসি
৮২৫ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না।
রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি বর্তমান সংসদকে বহাল রেখে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি হতে পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যেই তা হতে হবে। অর্থাৎ চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কাউন্টডাউন।
আরও পড়ুন: সিইসি’র সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
৮৫৯ দিন আগে
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের দিন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
রবিবার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সভা হয়।
এসময় সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ, সিটি করপোরেশন এলাকাতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া থাকে। অনেকটা যৌথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা আমাদের নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এছাড়া র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটা একটা সামগ্রিক সমন্বিত প্রয়াস। তাই সকলকেই কিন্তু এই কর্মযজ্ঞে গুরুত্ব সহকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
আরও পড়ুন: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে তুলে আনা কাজটি সহজ নয়। যদিও একদিকে কাজটি সহজ, ভোটাররা যাবেন ভোট দেবেন, ভোট শেষ হলে ভোট গণনা হবে, ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু টোটাল আয়োজনটা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ যেকোনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সবাই কাজ করছেন কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপক্ষে ভোটের জন্য এই জিনিসগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সেগুলো নিশ্চিতের জন্য মতবিনিময় করেছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম, বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
৯২২ দিন আগে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাঁক থাকলে, নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে, সে নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সে নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’- শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমরা স্বস্তিদায়ক হিসেবে এবং সহজভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে মোটাদাগে বোঝাপড়া থাকে তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। আমরা সেই আস্থা এখনও রেখে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অপ্রত্যাশিত: সিইসি
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়ার গ্যাপ থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার সহযোগিতায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কাছে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টা করবো।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাহী বিভাগ ও প্রশাসনের আন্তররিকতা দরকার। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন সেটার পরিবেশ করার দায়িত্ব কিন্তু জেলা প্রশাসনের পুলিশ প্রশাসনের। আমাদেরও প্রচেষ্টা আছে যে নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি ইভিএম এখন অনেকটাই আস্থায় এসে গেছে। আগে যে অনাস্থা ছিল, গালমন্দ করা হতো, এখন অতটা গালমন্দ করা হয় না। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনের অথবা আদালতে প্রমাণ নিয়ে দাখিল করতে পারেননি যে- এইভাবে কারচুপি হয়েছে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউটের সেমিনার হল রুমে আয়োজিত কর্মমালায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফর উল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে: সিইসি
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোনো চাপ নেই: সিইসি
১০১৩ দিন আগে
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গড় ভোটার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটা আমাদের অনুমান, তবে চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও উপনির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় ছিল।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। কোনো ব্রেকিং নিউজ প্রকাশিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অনিয়ম বা ভোট কারচুপির তথ্য পাননি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকের উপনির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সে দিক থেকে নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করি, কারণ তারা নির্বাচন সফল করতে তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।
যে ছয়টি আসনে ভোট হয়েছে সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। ৬টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল ৯টার দিকে জেলা আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শহীদ জানান।
তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অশোধিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং চারটি স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনী এলাকায় ৮৬৭টি ভোটকেন্দ্রে মোট ২২ লাখ ৫৫ হাজার ২১৭ জন ভোটার রয়েছেন।
এদিকে উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান।
বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন-অর-রশিদ- পরে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
১০৩৮ দিন আগে