বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (বুধবার)।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রায় ছয় বছর নির্বাসন কাটিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন।
১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সমাজ গড়তে হবে। মঙ্গলবার পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনে দলীয় অঙ্গীকার ও মতাদর্শ থেকে স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
পাবনা প্রেসক্লাবের একজন আজীবন সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি তার রাজনৈতিক জীবন, ছাত্ররাজনীতি এবং অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার বাণী থেকে শুরু হওয়া তার সাংবাদিকতা জীবনের কথা বলেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সত্তরের দশকের ছাত্র রাজনীতিতে তার দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক মেধাবী সাংবাদিক ও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতাদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক মতবাদ দেখেছি কিন্তু শেখ মুজিব বা মুজিববাদের আদর্শে আস্থা রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি।
তখন কোনো মতবাদ কাজে লাগেনি বলে জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা পুরোপুরি কাজ করেছিল। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি।’
রাষ্ট্রপতি তার সাংবাদিক জীবনের নানা স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, এই প্রেসক্লাবে অনেক উজ্জ্বল দিন কাটিয়েছি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন সময়ে জনগণের প্রয়োজনে তিনি পাশে থেকেছেন এবং কোনো উপহার বা ঘুষ ছাড়াই ৭০-৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সবসময় ভোগের রাজনীতির পরিবর্তে ত্যাগের রাজনীতি করেছি।
গত ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই তার নিজ শহর পাবনায় প্রথম সফর।
এর আগে সভাপতি পাবনা প্রেসক্লাবে পৌঁছালে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিবজিৎ নাগ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং সেন্টারের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রাজউকের নথি গাযেব সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে মঙ্গলবার (২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, শিক্ষা সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি বিরোধী (ভাষণ) বক্তব্যগুলোকে আদর্শ হিসেবে ধারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) কাজ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া, আদালত তার আদেশে বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্যসমূহ আগামী ১ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে জাতীয় আর্কাইভের ডিজির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আগামী ৪ জুন এ রুলের পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাছান।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ সাহাবুদ্দিন অফিসের প্রথম দিনে মঙ্গলবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রথমে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে যান এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো তিনি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে।
সাহাবুদ্দিন নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ কিছু সময় নীরবতা পালন করেন।
দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
সাভার থেকে রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের একটি হলোগ্রাফিক উপস্থাপনাও প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও পরিদর্শন করেন।
আগের দিন সকালে তিনি সাভারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট রেজিমেন্ট গার্ড (পিজিআর) কর্তৃক তার প্রথম আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা এবং বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পিজিআর-এর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে যখন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি ব্যান্ড স্বাগত সুর বাজিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ফরেন সার্ভিস দিবস ২০২৩ উদযাপিত
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের স্বার্থ সম্মুন্নত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম।
সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদেশের মাটিতে অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশি কূটনীতিকগণ দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে যে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি কূটনীতিকগণের জন্য দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত এবং নতুন প্রজন্মের কূটনীতিকদের জন্য দেশ সেবার বিশেষ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কূটনীতিকগণের গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিদেশের মাটিতে কূটনৈতিক সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে, জীবন, জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এ দেশের কূটনীতিকদের দেশ, দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
মুজিবনগর দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সোমবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম বাগানে প্রবাসে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানটির নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করা হয়।
মূল মন্ত্রিসভার সফল নেতৃত্ব সেই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মুজিবনগর দিবস পালিত
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।’
জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরীব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে শিশুদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন শিশুমনের অধিকারী একজন মানুষ। শিশুদের সঙ্গে তিনি গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি নিজের জন্মদিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। তোমরা জীবনে অনেক বড় হও, ভাল মানুষ হয়ে গড়ে ওঠো, সৃজনশীলতা ও নতুনের আহ্বানে এগিয়ে যাও সামনে।’
মাসুদ বিন মোমেন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, অধ্যবসায় আর সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। আজকের শিশুরাই হাল ধরবে আগামীর বাংলাদেশের, শিশুরাই হবে ভবিষ্যতে সোনার বাংলার কাণ্ডারি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। একইসাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব:) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস এবং ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) পরিবারের শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি (প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট) পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর পক্ষ হতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পিএসডি পরিচালিত স্কুলের সহায়তার জন্য প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (পিএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক শিরিন রহমানের কাছে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজ ফাহমিদা জেরিন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সকল শিশুকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে উপস্থিত সকল শিশুকে বঙ্গবন্ধুর বই উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তারা, ফোসা পরিবারের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আমাদের অনুসরণ করার জন্য তিনি তার আদর্শ রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিশুদের অবশ্যই মানবিক গুণাবলী নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে এবং খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে বুদ্ধিমানভাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আনুগত্য করতে হবে, এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে।’
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলেছেন।
শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দেশের সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে যেখানে কোনও শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না এবং দেশে সকলের বসবাসের উপযোগী শিক্ষা ও বাসস্থান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী এই বছরের থিম বাছাই করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট মানুষ, যারা বাংলাদেশকে সঠিকভাবে গড়ে তুলবে।’
শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এছাড়া অপর দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এএল শরফুদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নীল বিশ্বাস।
মঞ্চে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’- শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’- নামে একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন বিভিন্ন বিভাগে শিশুদের মধ্যে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, বঙ্গবন্ধুর বই 'অসমাপ্ত স্মৃতি', 'কারাগারের রোজনামচা' ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার ৩২ জন বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে ১০০ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থী আর্থিক অনুদান হিসেবে আড়াই হাজার টাকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যকে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার উপায় খুঁজুন: ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এছাড়া ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সেখানে জাতির পিতার সমাধিতে দোয়া করতে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া যান।
তিনি জাতীয় শিশু দিবসের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’