নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)
সাবেক সিইসি শামসুল হুদা আর নেই
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টায় গুলশানে নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন তার শ্যালক আশফাক কাদেরী। তিনি বলেন, ‘পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
শামসুল হুদা স্ত্রী ও মেয়ে রেখে গেছেন। তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলে জানাজা হবে বলে জানান আশফাক কাদেরী। তিনি জানান, শামসুল হুদার মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক আমলা এটিএম শামসুল হুদা সিইসির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হন মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন।
১৫৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন সিইসি নাসির উদ্দিন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৬২ দিন আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে ‘যথাসময়ে’: সিইসি
যথাসময়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এ সময়ে সরকারের মুখ্য ভূমিকা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচনী আইন ও বিধি–সংক্রান্ত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন। আমরা যথাসময়ে শিডিউল ঘোষণা করব, তখন জানতে পারবেন।’
‘এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না। এটা আমাদের একটা পরিকল্পনা, অনেকে এটাকে রোডম্যাপ বলে, আমি রোডম্যাপ বলছি না, সেটা (কর্মপরিকল্পনা) অবশ্যই আছে,’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে সিইসি আরও বলেন, ‘এত বড় একটা নির্বাচন, অবশ্যই তার একটা পরিকল্পনা আছে। এটা আমাদের নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা, এটা সংশোধনযোগ্য; যদি কোনো টাইম নিশ্চিত না হয়, তাহলে দু-চার দিন এদিক-সেদিক হতে পারে।’
সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন সিইসি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনের সাহায্য নিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। সে জন্য প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
‘স্বাভাবিকভাবেই সরকার এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এই সহায়তা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না।’
‘একটা নির্বাচন করতে গেলে যতই স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাকে নির্বাচনটা করতে হবে।’
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করছি। বিভিন্ন জনের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
নির্বাচন পরিচালনায় প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য কিছু এলে সেটা আমরা গ্রহণ করব।’
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিস্তৃত করতে আঞ্চলিক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানান সিইসি। ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
১৬৭ দিন আগে
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জোনায়েদ সাকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্ট এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে জোনায়েদ সাকির আদালত অবমাননার মামলা
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে রায় দেয়া হয়। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছর ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী উচ্চ আদালতে রিট করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।
তিনি জানান, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছর ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
১৩৬৬ দিন আগে