গৃহবধূ হত্যা
নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা করে সন্তান নিয়ে স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
ফতুল্লায় লাকি আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকার ফজলু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লাকি আক্তার (২৬) পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার শ্বানেস্বর গ্রামের সাত্তার হাওলাদারের মেয়ে ও কসাই শিপনের স্ত্রী।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফতুল্লা বাজারের কসাই শিপনকে (৪০) ভালোবেসে বিয়ে করেন লাকি আক্তার। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সের এক ছেলে ও ৬ বছর বয়সের এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকায় ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
সোমবার রাতে শিপন তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান, লাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর পেয়ে লাকির বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগানো। পরে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তারা লাকির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সে সময় তার মুখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। চাদর দিয়ে তার শরীরের অর্ধেক ঢাকা ছিল। এ অবস্থায় লাকিকে দ্রুত স্থানীয় খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের ভাগ্নে ইমাম হোসেন বলেন, স্ত্রীকে হত্যা করে কসাই শিপন আত্মহত্যার কথা প্রচার করেছেন। পরে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এছাড়া নিহত লাকি আক্তারের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যার বিচার চাই আমরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, তা এখনো নিশ্চিত নই। নিহতের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। শরীরের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে, তবে এগুলো মৃত্যুর কারণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী তার দুই সন্তানকে নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৯৯ দিন আগে
খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামী লিটন মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এম ইলিয়াস খান ও শাম্মি আক্তার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
আদালত সূত্র জানায়, নিহত পারভীন বেগম লিটন মোল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পারভীনের আগের ঘরে আট বছরের একটি মেয়ে নিয়ে বিয়ের পর কিছুদিন ভালভাবে চললেও পরে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টাও চলে। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে পারভীন স্বামীকে তালাক দেয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় লিটন। হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি। ২০২১ সালের ১৫ জুন রাতে বাড়ি থেকে শাবল ও ধারালো ছুরি নিয়ে পারভীনকে হত্যার জন্য বের হন। রাত ১টার দিকে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের পাশের শামসুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে এসে পারভীনকে ডাকতে থাকে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
পারভিন ঘরের দরজা না খোলায় একপর্যায়ে শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলে লিটন। তাকে অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে পারভীন পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে লিটন তাকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রান্না ঘর থেকে কাঠ এনে মাথায় আঘাত করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে পারভীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে লিটনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
১৩৬১ দিন আগে