পররাষ্ট্র দপ্তর
সাড়ে ৫ কোটি ভিসাধারীর রেকর্ড খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসাধারী প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বিদেশির তথ্য নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশিদের ওপর মার্কিন প্রশাসনের চলমান কঠোর অভিযানের অংশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সব ভিসাধারীই সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় থাকেন। যদি দেখা যায় যে কেউ ভিসার নিয়ম ভেঙেছে কিংবা ভিসার যোগ্য নন, তাহলে তার ভিসা বাতিল করা হবে। আর তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তবে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবৈধ অভিবাসন দমনে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু অবৈধ নয়, অনেক ক্ষেত্রে বৈধভাবে থাকা অভিবাসীরাও মার্কিন প্রশাসনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার মতো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তারা আরও বলেছে, তারা আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর রেকর্ড, অভিবাসন নথিপত্র এবং অন্য যেকোনো তথ্যও বিবেচনায় নিয়ে থাকে। এমনকি ভিসা দেওয়ার পর নতুন কোনো তথ্য সামনে এলে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হয়।
ট্রাকচালকদের আর ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দেন, আপাতত বিদেশি ট্রাকচালকদের জন্য কোনো কর্মভিসা দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিদেশি চালকেরা মার্কিন নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছেন এবং স্থানীয় চালকদের কাজ নষ্ট করছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফিলিস্তিনপন্থি’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, ট্রাকচালকদের জন্য ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও পড়তে পারার শর্ত কঠোরভাবে কার্যকর করার পদক্ষেপ নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ইংরেজি পড়তে বা বলতে না পারার কারণে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় ওয়াশিংটন।
রুবিওর ওই ঘোষণার পরই মূলত সব ভিসাধারীর তথ্য খতিয়ে দেখার বিষয়টি সামনে আসে।
সব ভিসাধারীর ওপর নজরদারি
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকারীদের ওপর অব্যাহতভাবে নতুন নতুন বিধিনিষেধ ও শর্ত আরোপ করে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি এসব নিয়মের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।
এই নজরদারি মূলত ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে চালু করা হয়েছিল। পরে সেটিকে আরও সম্প্রসারণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের আওতায় ভিসাধারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, নিজ দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অভিবাসন-সংক্রান্ত রেকর্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে মার্কিন আইন ভঙ্গের যেকোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনকারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
এ ছাড়া অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব ভিসা আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি ভিসা সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হওয়ার সময় আবেদনকারীদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা অ্যাপের গোপনীয়তা (প্রাইভেসি) সেটিংস বন্ধ রাখতে হবে।
ট্রাম্পের একের পর এক কঠোর পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিন দিন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যমতে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ওই ৬ হাজার ভিসার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ভিসা বাতিল হয়েছে সরাসরি আইন ভঙ্গের কারণে। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে বাতিল হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা।
১০৪ দিন আগে
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি
সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি।
ঢাকা সফরে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকগুলোর মাধ্যমে পারস্পরিক উদ্বেগগুলোর সমাধানের সুযোগ হতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় পৌঁছালে মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া উইং) ইশরাত জাহান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মিসরি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বিক্রম মিসরির। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশে যে ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, এ সফরের মধ্যে দিয়ে তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ‘
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'আমি আশা করি তাদের (পররাষ্ট্র সচিব) ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে এবং উভয় পক্ষকেই এই পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে দুদেশের মধ্যে যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, উভয় দেশেই এর প্রভাব পড়েছে।
গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ভারত সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বাধীন এফওসি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি কাঠামোগত সম্পর্ক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব উপাদানকে আলোচ্যসূচিতে রাখার চেষ্টা সব সময় রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও পানি ইস্যুসহ কিছু বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে এবং এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩৬১ দিন আগে
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন ও রোহিঙ্গাদের টেকসই সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর শোলে টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের ওপর পরিচালিত এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই সমাধান খুঁজতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
বৈঠকে বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচন এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব: জাপানি রাষ্ট্রদূত
৯৪৫ দিন আগে
শনিবার ঢাকায় আসছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড দক্ষিণ এশিয়ায় তার ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকায় আসছেন।
সফরের আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য আমরা উন্মুখ। সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আমাদের অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯-২৩ মার্চ বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় প্রতিনিধিদলের সফরের সময় নুল্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এবং সহযোগিতার উপর জোর দেবেন৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও গ্রীসের মধ্যে সাংস্কৃতিক-শিক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি
আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ’ ও নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তরে কনসাল্টেশনে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারিত্ব সংলাপ আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড এবং প্রতিনিধিদল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু ও নীতি বিষয়ক উপ-আন্ডার সেক্রেটারি আমান্ডা ডরি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১৩৫৭ দিন আগে