মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থবহ অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই দৃষ্টিকোণকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বললেও মুখপাত্র বলেন, জাতীয় নির্বাচন যে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে এমনটা তারা পাননি।
নির্বাচনটিকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে, যা সকল বাংলাদেশির জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যার' বিষয়ে তারা অবগত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পুনর্ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিন্ন লক্ষ্যকে সমর্থন করতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মারিয়া জাখারোভা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 'স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি' নিশ্চিত করার বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রচেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে।
রাশিয়ার পক্ষে জানানো হয়, অক্টোবরের শেষদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও স্থানীয় বিরোধী দলের একজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠকের তথ্য উঠে এসেছে। বৈঠকে তারা দেশে সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
বিশেষ করে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে’ অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের হামলা করার কোনো পরিকল্পনা থাকলে সে বিষয়ে বিরোধী দলের ওই প্রতিনিধিকে তথ্য দিয়ে সহায়তার ‘প্রতিশ্রুতি’ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে এরকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রুশ মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব কর্মকাণ্ডকে কীভাবে বিবেচনা করা যায়? এসব বিষয়কে ওয়াশিংটন ও তার পক্ষ থেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়, যা কূটনৈতিক সম্পর্কের ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনে উল্লিখিত নিয়মের প্রতি প্রকাশ্যে অবজ্ঞা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান মেনে, স্বাধীনভাবে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা ছাড়াই ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ: পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আবারও গণমাধ্যমের বিষয় উল্লেখ থেকে বিরত
যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং বাংলাদেশে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না।
যুক্তরাষ্ট্র শুধু নিশ্চিত করতে চায়, বাংলাদেশের জনগণ যেন অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।
সোমবার (২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সুতরাং, আমি গত সপ্তাহে যা বলেছিলাম তা কিছুটা ভিন্ন ভাষায় পুনরায় বর্ণনা করতে বা বলতে চাই, যা বাংলাদেশিরাও চায়: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
তবে তিনি আবারও গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমের ওপর সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে এডিটরস কাউন্সিলের উদ্বেগ, ব্যাখ্যা দিলেন রাষ্ট্রদূত হাস
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকর্তা বলেন, বাংলাদেশে 'তালেবান স্টাইলের শাসন' সমর্থনকারী উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো এবং বিরোধী নেতারা গণমাধ্যমকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকি দিয়েছে ও উগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচক সাংবাদিকদের একটি তালিকা প্রচার করেছে।
প্রশ্নকর্তা আরও বলেন, অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী, যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনকারী, সম্পাদক, লেখক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা গণমাধ্যমের ওপর সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে 'গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অবমাননা' বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ বিশিষ্ট নাগরিকদের
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্র কি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে সমর্থন ও উদারপন্থীদের এত বড় গ্রুপের উদ্বেগকে অস্বীকার করে কি না।
মিলার সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে, ‘যেমনটা আমরা চাই’।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি তা এই উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করার আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আশা করা হচ্ছে- বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশে অবস্থানরত সব বিদেশি মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি বলেন, তিনি মার্কিন দূতাবাস বা বাংলাদেশে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা করবেন না।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি বলব যে অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে এবং কর্মীদের উপর যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার আবারও গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ, পূর্বরূপ পদক্ষেপ সম্পর্কে বলছি না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মুখপাত্র বলেন, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সেক্রেটারির কর্তৃত্বের অধীনে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে, যারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মিলার বলেন, ‘এবং ২৪ মে আমরা যখন এই নীতি ঘোষণা করেছিলাম তখন আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। বরং যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে যাদেরকে আমরা বিশ্বাস করি- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা অন্য ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিকল্পটি বজায় রাখি যদি এবং যখন আমরা বিশ্বাস করি যে এটি উপযুক্ত।’
আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং তারা বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়।
২৬ জুলাই ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যকে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন যে তারা সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এবং আমরা বিশ্বাস করি যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং প্রধানমন্ত্রীসহ (শেখ হাসিনা) অনেক বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা নিজেরাই বলেছেন যে এটি তাদের লক্ষ্য।’
বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ১৩ রাষ্ট্রদূতকে তাদের 'অকূটনৈতিক আচরণের' জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। উনাদের যৌথ বিবৃতিটি ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে যথাসময়ের অনেক আগেই তড়িঘড়ি করে অপরিণতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনার পর তারা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।’
তিনি বলেন যে কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মনে করিয়ে গঠনমূলক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
শাহরিয়ার আলম বলেন, কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে সরকারকে পাশ কাটিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বর্জিত আচরণ’ কেবলই পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি করবে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি যৌথ বিবৃতি জারি করা ১৩টি বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে হিরো আলম নামে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, ‘আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের দূতাবাস/হাইকমিশন সই করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সারাদিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা কোনো সহিংসতা বা অন্য কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিকে গুটি কয়েক কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা কখনোই সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারা তাদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেননি।’
ঘটনাটি জানাজানি হলে নির্বাচন কমিশন ও সরকার তাৎক্ষণিক ও আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই কূটনীতিকদের বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই কিন্তু দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়।’
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দুই দেশের 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনার জন্য তারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
১৮ জুলাই নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া তার সফরকালে বাংলাদেশের 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের' লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একযোগে কাজ করার গুরুত্বের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক ও শ্রমিক কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করছেন উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘এগুলো হচ্ছে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি আরও বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি মানবিক অংশীদার ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ৭৪ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণা দেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমি পরিশেষে বলতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে মানবপাচারের অভিশাপ মোকাবিলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য নিবেদিত।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ
ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় যুক্ত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের সময় হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘আমি বলব, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। এবং আমরা এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছি।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হবার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটল তা অনাকাঙ্ক্ষিত, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মারামারি করল, তারা আর যাই হোক নৌকার শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে ‘লাঞ্ছিত’ করা হয়।
বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হিরো আলমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী নির্বিশেষে’ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ১৫ মে (মার্কিন সময়) প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে যে কোনো নির্বাচনের জন্য আমাদের আশা হলো যে সেগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে।’
তিনি বলেন যে এর বাইরে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী অথবা এ ধরনের কিছু নিয়ে তার আর কিছু বলার নেই।
আরও পড়ুন: স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
প্যাটেল বলেন, গত বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার গত ১২-১৩ মে বাংলাদেশ সফর করেন এবং ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ পাওয়া সম্মানের বিষয় উল্লেখ করে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
আরও পড়ুন: করদাতাদের টাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হবে না: মোমেন
বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তারা বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে ‘সমর্থন’ করে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ২ মে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এবং আমরা যেমন বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করে এবং আমরা একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তৃতভাবে আমি যা বলব তা হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উদ্বেগ ও আমাদের অভিন্ন স্বার্থসম্পর্কে আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে সৎ সংলাপে হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে বা নাও করতে পারে, যা আঞ্চলিক উদ্বেগ ও আঞ্চলিক অগ্রাধিকারগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে বা নাও করতে পারে।’
প্যাটেল বলেন, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের সব মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দূত হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
তিনি বলেন, ‘এবং আমি যা লক্ষ্য করব - আপনারা গতকাল আমাকে এই বিষয়ে কথা বলতে শুনেছেন যে বাংলাদেশ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী।’
২০২২ সালে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে এবং তারা বিশ্বাস করে যে বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যেখানে উভয় দেশ সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারে, যা কেবল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গেও।
প্যাটেল জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে কোনো দেশের জন্য এটাই আমাদের প্রত্যাশা যে নির্বাচন যেন অবাধে, সুষ্ঠুভাবে এবং আপনারা যেমন বলেছেন, নিরপেক্ষতার সঙ্গে তা অনুষ্ঠিত হোক, একইভাবে আমিও বলতে পারি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি ব্যাংক ব্যর্থতা: ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক জেপি মরগানের কাছে বিক্রি
বাংলাদেশের সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে নুল্যান্ডের সাক্ষাৎ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বাংলাদেশের সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি তাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সোমবার বৈঠকের পর তিনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘গণতন্ত্র, শ্রম স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে, সে সম্পর্কে বাংলাদেশি সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে গর্বিত।’
নুল্যান্ড এখন দক্ষিণ এশিয়ায় তার ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসাবে ঢাকায় আছেন। তিনি ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন যেখানে তিনি শান্তিকে শক্তিশালী করার জন্য সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব অত্যাবশ্যক বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র