ইউজিসি
হিটের ১৫১ উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র চুক্তি সই
হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ১৫১টি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের ৪৩টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে চুক্তি এই সই হয়। ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং উপ-প্রকল্পপ্রাপ্ত পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের প্রাকটিস ম্যানেজার কেইকো ইনোউএ, লিড ইকোনোমিস্ট ও টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার টবি লিনডেন, টাস্ক টিম লিডার টিএম আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজারগণ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে হিটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাব-প্রজেক্ট নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, হিটের উপ-প্রকল্প নির্বাচনে উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি উপ-প্রকল্পপ্রাপ্ত শিক্ষক ও গবেষকদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি এ কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ডিনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে তাদের সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান প্রকল্পপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রকল্পের সকল কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থ জনগণের করের টাকা ও বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বব্যাংক ও হিট প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হিট প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের থেকে উন্মুক্ত প্রতিয়োগিতার মাধ্যমে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এতে মোট ১ হাজার ৪৮১টি উপ-প্রকল্প প্রস্তাব জমা হয়। যাচাই বাছাই শেষে ১৫১টি উপ-প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি (২০২৩-২০২৮) হিট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন এই প্রকল্প ইউজিসি বাস্তবায়ন করছে।
৯৯ দিন আগে
১৮ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউজিসি
দেশের ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই)।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিটিআই শ্রেণিকক্ষে এই প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩৩ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ২৫ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিটিআই পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকতা শুধু ক্লাসরুমেই নয় বরং এটি আরও ব্যাপ্তিময়। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের জীবনে খুবই সহায়ক হবে বিধায় নিয়মানুবর্তিতা ও মনোযোগের সঙ্গে এটি সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।’
১৩০ দিন আগে
১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
সরকার বারবার সময় দেওয়ার পরও ১২ বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে, এমন ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাসিক সভা থেকে সেই সিদ্ধান্ত আসবে।
১৮ টি বেসরকারি ভার্সিটি- লিমিট ক্রস করে ফেলেছে। যারা ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। কারো ১২, ১৫, ১৮, ২০ বছরের বেশি হয়েছে, এখানে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কোনোটির ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কোনো কোনোটির ১৫, ১৮, এমনকি ২০ বছর হয়ে গেছে, এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি
ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া ব্যাপারে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও যায়নি। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে তিন মাস আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এই সংখ্যা হবে ১৮টি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে বলা হয়, ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘এটি বলা যাবে না। তবে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাসিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই মাসিক সভা হবে। সেখানে ১২ বছরের উপরে হয়ে গেছে, কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি—এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যেতে পারলে অনুমোদন বাতিলসহ অনেক বিকল্প আছে। তবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর কতদিন সময় দেবেন জানতে চাইলে ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘২/৩ মাসে তো আর যেতে পারবে না। সময় দিলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে৩/৪ বছর সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভার্সিটির ১২, ১৫, ২০ বছর হয়ে গেছে, এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে ইউজিসির মাসিক সভায় বহু ধরনের সিদ্ধান্ত আসবে। কাউকে সতর্ক, কাউকে সময় দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা স্থাপনের অনুমতি দিতে গাইডলাইন হচ্ছে
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১১৭ ভার্সিটির মধ্যে বেশিরভাগেরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। স্থায়ী ক্যাম্পাস সংখ্যা অনেক কম। তারপরও তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ, দুটির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাকি ১২ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে আলাদা সময় দেওয়া হয়েছিল।
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় যে ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ই রাজধানী ঢাকায়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ঢাকার সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি।
এদিকে, রাজধানীর সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে গত শনিবার খিলগাঁও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের অর্ধসমাপ্ত স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে সাত বছর, পরে আরও পাঁচ বছর সময় পায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।
২০৮ দিন আগে
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা স্থাপনের অনুমতি দিতে গাইডলাইন হচ্ছে
দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে গাইডলাইন পলিসি তৈরির জন্য কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ও কঠোর নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে ইউজিসির হাই-পাওয়ার কমিটি।
নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর মানসম্পন্ন ও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে উচ্চশিক্ষার মান রক্ষা ও বাণিজ্যিকীকরণ রোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতাও অবলম্বন করা হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিদেশি (বিশ্ববিদ্যালয়ের) ক্যাম্পাস এলে বাংলাদেশের কতটুকু ভালো হবে—সব দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন পলিসি তৈরির জন্য হাই-পাওয়ার কমিটি কাজ করছে। কমিটিতে প্রফেসররা আছেন। কমিটির প্রধান বুয়েট ভিসি। কমিটি পলিসি তৈরি করছে। পলিসি তৈরি হলে বিদেশি (বিশ্ববিদ্যালয়ের) ক্যাম্পাস অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে বলা যাবে।’
‘এই কমিটি সাব-কমিটি। মেইন কমিটির প্রধান আমি। সেখানে ঢাবি, বুয়েটে, নর্থ সাউথ ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়েসরদের নিয়ে একটি হাই-পাওয়ার কমিটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ক্যাম্পাসের অনুমতি দিতে আমরা পজিটিভ। তবে আমরা দেখছি, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয় কি না। এছাড়া আমাদের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ধরনের প্রেসারে পড়বে, সেটাও দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি
ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় একটি অবস্থানে চলে গেছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান, তাদের বেতনকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা, গবেষণার সুযোগ খুব যে ভালো, তা দেখছি না। সবদিক থেকে বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি ভার্সিটি এলে পাবলিক ও প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো আরও শিক্ষক সংকটে পড়বে কি না তা দেখতে হবে। তাছাড়া এই পদক্ষেপ দেশের জন্য লাভজনক কি না, তা দেখে সেইভাবে পলিসি তৈরি করা হবে।’
ইউজিসি থেকে জানা যায়, ইউজিসি বর্তমানে ২০১৪ সালের ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা’ সংশোধনের কাজ করছে। এই বিধিমালায় কিছু অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা এটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন নীতিমালায় শুধুমাত্র শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে, স্টাডি সেন্টার নয়। শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন: ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা, পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ, ৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট, অনুমোদনের জন্য ১০ লাখ টাকা ফি। সর্বোপরি, উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত এবং বাণিজ্যিকীকরণ রোধ করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য।
বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শাখা ক্যাম্পাস খুলতে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে মালয়েশিয়ার ইউসিএসসি ইউনিভার্সিটি। ইতোমধ্যে তারা ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে।
২১২ দিন আগে
দুর্নীতির অভিযোগ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি
দেশের ২০ থেকে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির (বিওটি) বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি ভেঙে প্রশাসক বসানো হতে পারে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটির বিরুদ্ধে যদি গুরুতর অভিযোগ থাকলে তাদের সঙ্গে কথা বলে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনে প্রশাসক বসানো হবে। প্রশাসক বসানো ছাড়াও যদি আরও বেশি কিছু করা যায় বা সরকারের আরও বেটার বা ইনোভেটিভ আইডিয়া থাকে, প্রয়োজনে সেটিও করা হবে।’
তবে যায় করা হোক না কেন, তা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিওটির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ অর্থ পাচার। এছাড়া তহবিল তছরুপসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।’
বিওটির এসব অনিয়ম নিয়ে কীভাবে তথ্য পেলেন?—উত্তরে এই ইউজিসি সদস্য বলেন, ‘দুদক, আমাদের নিজস্ব তদন্ত, সংবাদপত্রসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্নভাবে তথ্য এসেছে আমাদের কাছে। এসব বিষয়গুলো আমলে নিয়ে (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে) একটি সুশৃঙ্খল প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার বিষয়ে কাজ হচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করা হবে।’
কতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির (বিওটি) বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০ থেকে ৩০টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম তদন্তে কমিটিও করে দিয়েছি; সেটি সাধীন ভাবে কাজ করছে। কাজ শেষ করে রিপোর্ট দিলে সিদ্ধান্তের জন্য তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট চলেও এসেছে। যেমন: সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি; তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে প্রশাসক নিয়োগের জন্য আমার সুপারিশ করে প্রতিবেদনটি সরকারকে পাঠিয়েছি, সরকার সিদ্ধান্ত দিলেই প্রশাসক বসানো হবে।’
তদন্ত কমিটিতে কারা কারা আছে, এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অধিকাংশ কমিটির কনভেনার (আহ্বায়ক) বাইরে থেকে নেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউজিসি থেকে সদস্য নেওয়া হয়েছে আবার বাইরে থেকেও নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি কমিটিতে আমাদের সংশ্লিষ্ট শাখার ডিলিং অফিসারকে (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রাখা হয়েছে, যিনি সেই ভার্সিটির দায়িত্ব পালন করছেন।’
তদন্ত কমিটির কনভেনার হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক বিচারকদের রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কেন এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ইউজিসি সুত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের সঙ্গে দুর্নীতিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও হিসাব-নিকাশ ঠিকঠাক নেই। আইনের তোয়াক্কা না করে নানা কৌশলে বিপুল অর্থ লুটছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের (বিওটি) সদস্যরা।
নাম না প্রকাশের শর্তে ইউজিসির এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিওটি গঠন করা হয়। তারা ব্যবসা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিক। তবে তারা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ণ কমিশনের সভায় অভিযোগ ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
২১৪ দিন আগে
সাত কলেজ সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান ইউজিসির
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব বিষয়ে একটি অফিস নোট অনুমোদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা পাচ্ছে না সরকার: সিনিয়র সচিব
কলেজগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ।
একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সর্বসাধারণের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করা হচ্ছে। পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে [email protected] (ইমেইল আইডিতে) নাম প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বলে অফিস নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৮৯ দিন আগে
ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হলেন মাছুমা হাবিব
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের কাছে ড. মাছুমা হাবিব যোগদান পত্র পেশ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ড. মাছুমা হাবিবকে চার বছরের জন্য কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এ নিয়োগ তার যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী তিনি অব্যবহিত পূর্ব পদে সর্বশেষ আহরিত বেতন-ভাতাসহ প্রচলিত বিধি অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসি ও এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
উল্লেখ্য, মাছুমা হাবিব বাকৃবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেডিসিন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বাকৃবি থেকে ১৯৯২ সালে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি বিষয়ে বিএসসি এবং ১৯৯৮ সালে অ্যানিম্যাল নিউট্রেশন বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ডিএফআইডি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল ফেলোশিপ, অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রাম ও নেদারল্যান্ডস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম প্রাপ্ত হন।
মাছুমা হাবিব বাংলাদেশ মিট সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আজীবন সদস্য।
আরও পড়ুন: ইউজিসি সদস্য হলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান
৩৫১ দিন আগে
ইউজিসি ও এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের (ইএমজিএস) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সেরি ড. জামব্রি আব্দ কাদিরের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের অধ্যয়ন, গবেষণা, পড়াশুনা ও পাঠদানের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং মালয়শিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ সমঝোতা স্বাক্ষর বৃহত্তর সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।
এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে ইএমজিএসের আন্তরিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এটি বাস্তবায়নে মিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন হাইকমিশনার শামীম আহসান।
সমঝোতা স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম এবং মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন: ইউজিসির সদস্য হিসেবে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও ড. আনোয়ার হোসেনের যোগদান
৩৭১ দিন আগে
এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণে গৃহীত স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্টে (এসএটিইপি) যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
প্রকল্পটির আওতায় বাকৃবি ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, শনিবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির আওতায় অনুষ্ঠিত কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালায় ওই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এসময় বাকৃবির সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ৬৩ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকরা নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
উপাচার্য বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষিপ্রধান ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি, সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল হাসেম, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জনাব নাসের আহমেদ।
প্রকল্পটির অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
৩৯৭ দিন আগে
ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১৯ জুন) ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীরের কাছে তিনি যোগদানপত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
এরপর তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
গত ১৩ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
অধ্যাপক জাকির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিকম (অনার্স) ও এমকম ডিগ্রি সম্পন্ন করে সুইডেনের বিটিএইচ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
তার ২০টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চারটি ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা আটটি। তিনি জবির জার্নাল অব বিজনেস স্টাডিজের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
৫৩৩ দিন আগে