শিক্ষার্থী
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শারভিন সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা শহরের মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
নিহত শারভিন সুলতানা পাবিপ্রবি’র ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মেহেরপুরের সালদা থানার এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে এখানে এসেছি। ওড়না কেটে লাশ নামানো হয়েছে। এখনো বিস্তারিত কিছু পায়নি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ গেছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
আরও পড়ুন: যশোরে চালের আড়ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, আ. গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায়।
১১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে দিবাগত রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে আসেন না তিনি। পরদিন সকালে ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ফেসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেনারেল হাসপালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার।
নিহত ফাইরোজ কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে অবন্তিকা লিখেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী। আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন-অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাসে কর্মরত স্প্যানিশ নাগরিকের আত্মহত্যা
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’
সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে দেখেছি প্রায় দেড় বছর আগে। তাদের কয়েকজন সহপাঠী প্রক্টর অফিসে এসেছিল। সে সময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমি ও আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর অফিসে ছিলাম। মেয়েটি ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের মেসেজ পাঠাত। আমাদের বলা হয়েছিল যে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরে মেয়েটি তার দোষ স্বীকার করে। তখন তার পরিবারের সদস্যরা জিডি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।’
আরও পড়ুন: স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের সবাই বৈঠক করে তাকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কোনো সমস্যা না থাকলে জিডি প্রত্যাহার করা হবে। আমি কখনো মেয়েটির সঙ্গে একা কথা বলিনি। দয়া করে ঘটনার তদন্ত করুন। আমি দোষী হলে আমাকে শাস্তি দিন। কিন্তু দয়া করে আমাকে আগে থেকে দোষী বানাবেন না। নইলে আমাকেও আত্মহত্যা করতে হবে।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। নিহত শিক্ষার্থী তার মৃত্যুর জন্য আমাদের প্রক্টর টিমের এক সদস্যকে দায়ী করেছেন। মাননীয় উপাচার্য মৌখিকভাবে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী: আঁচল ফাউন্ডেশন
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
কানাডায় ছয়জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সী শিশু কন্যা এবং শ্রীলঙ্কার একটি পরিবারের আরও তিন শিশু রয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্র ও ভুক্তভোগীরা একসঙ্গে বাস করতেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) অটোয়া পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অটোয়ার পুলিশ প্রধান এরিক স্টাবস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম ফেব্রিও ডি-জয়সা। হামলাকারী 'ধারালো অস্ত্র' বা 'ছুরির মতো বস্তু' ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলা এবং একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বিরল।
স্টাবস আরও জানান, নিহতরা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তারা সম্প্রতি কানাডায় গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক মা, ৭ বছর বয়সী এক ছেলে, চার বছরের এক মেয়ে, দুই বছরের এক মেয়ে, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে এবং সেইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তিনি এই পরিবারের পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার হাত ও পরিবার হারানো শিশু ওমরের দ্বিতীয় জীবন শুরু
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রথমে কর্মকর্তারা যখন বাড়িতে পৌঁছান তখন তারা দেখতে পান বাড়ির বাইরে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চিৎকার করে কাউকে বলছিলেন ৯১১ নম্বরে ফোন করার জন্য। এছাড়া বুধবার রাত ১০টা ৫২ মিনিটে দুইটি জরুরি কল পায় পুলিশ।
ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্টাবস বলেন, ‘এটি ছিল একদম নিরীহ মানুষের উপর কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা।’
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডি-জয়সা আদালতে হাজিরা দেন এবং স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওই পরিবারের ব্যক্তি এবং পুলিশের কাছে বিবৃতি প্রদানকারী অন্য চারজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে নিশেধ করেন বিচারপতি।
এদিকে আইনজীবী খোঁজার জন্য সময় দিতে তার মামলাটি ১৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার আগে বারহাভেন এলাকার বাড়িতে পুলিশ ডাকা হয়েছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় এবং এবং পুলিশ জানায়- জননিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই।
ডন পেরেরা নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত শরতে পাশের ক্যাথলিক এলিমেন্টারি স্কুলে একটি হ্যালোইন পার্টিতে ওই বাড়িতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
কুষ্টিয়ায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে জাহেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রতন রায় ও রিহাব রেদোয়ানের।
তারা ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সমর্থক।
এ নিয়ে একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বসে থাকা অবস্থায় রতন ও রিহাব তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রিহাব রেদোয়ান বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ কারো দায় নেয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক নবীনকে নির্যাতন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী তাকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে য়ে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ইউএনবি জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে ইউজিসিকে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সরকারের লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও স্মার্ট হতে হবে।’
তিনি ইউজিসিকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
ইউজিসি প্রতিনিধিদল দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে তার দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তার আরেক বন্ধু।
মঙ্গলবার (১৩ ফ্রেরুয়ারি) বিকালে রাণীশংকৈল-নেকমরদ সড়কের কুমারগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিসাদ হোসেন (২০) রাণীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের ভান্ডারা এলাকার টিন ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলামের ছেলে। আহত বন্ধু স্বন্দীপ একই এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে।
রিসাদ বগুড়ার একটি কলেজের দ্বাদশ এবং সন্দীপ একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ২
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে মোটরসাইকেলে দুইবন্ধু রাণীশংকৈল-নেকমরদ পাকা সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কুমারগঞ্জ এলাকায় গেলে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের মাথা ও মুখে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রিসাদের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত স্বন্দীপকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
রাণীশংকৈল সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নিহত রিসাদের লাশ ও তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানায় নিয়ে আসে।
লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর জন্য অর্থ সংগ্রহে জবিতে কনসার্ট করবেন তাসরিফ খান
ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনুষ্ঠেয় কনসার্টে গাইবেন তাসরিফ খান ও তার ব্যান্ড 'কুরেঘর'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের জহির উদ্দিন সাখাওয়াত ব্লাড ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত।
ওইদিন বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
'কুরেঘর'-এর পাশাপাশি মেট্রোলাইফ, ওডিডি সিগনেচার, প্রতিবিম্ব চান্দেরগাড়িসহ জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলো এই কনসার্টে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শাওন বলেন, 'জহির ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই বিষয়টি চিন্তা করেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা এবং বহিরাগতদের জন্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাপ্পার সংগীতায়োজনে ফিরলেন দেবাশীষ সমদ্দার
১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে একটি সেতুর অভাবে ভেলায় চড়েই গত ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে খাল।
এছাড়া মঠবাড়ি গ্রামটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫০ মিটার চওড়া একটি খাল। ২০০৯ সালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ওই খালের সৃষ্টি হয়।
এক বছর পর বাঁধ মেরামত হলেও খালটি ভরাট করা হয়নি। ফলে গত ১৪ বছর ধরে গ্রামের মানুষ ভেলায় চড়ে ও নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হচ্ছেন। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, কত মানুষ এসে দেখে গেছে প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছে, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও গবেষণায় ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ প্রকাশ
তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনো একটা উপায় হলে বই খাতা নিয়ে কোনো আতঙ্ক ছাড়াই স্কুলে আসতে পারতাম।
গ্রামবাসী জানান, খালটির পশ্চিম পাড়ে প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে সেখানে। প্রথমদিকে খালের অন্য পাড় থেকে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েরা ডিঙি নৌকায় পারাপার হতো। কিন্তু নৌকা সব সময় পাওয়া যায় না। জেলেরা নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে চলে গেলে কলার ভেলায় পার হতে হয় তখন। এতে ঝুঁকি ছিল বেশি। পরে প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের তক্তা দিয়ে স্থায়ীভাবে ভেলা বানানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম চারকোনা করে বেঁধে উপরে তক্তার পাটাতন বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এই ভেলা। খালের দুই পাশে একটি লম্বা রশি আড়াআড়িভাবে খুঁটির সঙ্গে টানিয়ে রাখা হয়েছে। লোকজন ভেলায় চড়ে নিজেরাই রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের ভেলায় খাল পেরিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
প্রায় পাঁচ হাজার জনসংখ্যার বড় এ গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাকবাড়িয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবন। রয়েছে একটি বাজার ও ফরেস্ট স্টেশন। খালের পূর্ব পাড়ে সুপেয় পানির সংকট থাকায় বাসিন্দারা ভেলায় খাল পেরিয়ে পশ্চিম পাড় থেকে পানি নিয়ে আসেন।
খালের পশ্চিম পাড়ের মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বছরের শুরুতে ছেলে মেয়েরা নতুন বই নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে এখানে।
তিনি আরও জানান, ভেলায় পার হওয়ার সময় সেটি উল্টে শিক্ষার্থীরা খালে পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে ছোট ছোট শিশুদের উদ্ধার করলেও তাদের নতুন বইগুলো ভিজে গেছে।
তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা বর্ষাকালে বেশি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সেতু নির্মাণ না হলে এখানকার দুর্ভোগ কমবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক দিঘিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হলো সাম্পান বাইচ
প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার বলেন, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন খাল পার হয়ে যাতায়াত করে।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের খাল পারাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঠবাড়ি গ্রামের খালে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া জরুরি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, সুভাষ মণ্ডলসহ কয়েকজন জানান, প্রতিদিন ভেলায় খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে যেতে ভয় লাগে তাদের। ভেলা থেকে পড়ে গেলে বই, খাতা ভিজে যায়। অনেক সময় ভেলায় লোকজন বেশি উঠলে পার হতে পারে না তারা। এজন্য অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুর আলম বলেন, ‘১৪ বছর ধরে শুনতেছি, এ জায়গায় ব্রিজ হবে। আবার শুনি খালের ওপর আড়াআড়ি বাধ হবে। কিন্তু কিছুইতো হয় না। উপায়ন্তর না দেখে স্কুলের বাচ্চাগের পারাপারের জন্যি(জন্যে) ড্রামের ভেলা বানাই দিছি। তাতেই এখন গ্রামের সব মানুষ পার হই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, সাড়ে ১৪ বছর আগে তৈরি হওয়া খালটির পাড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পারাপারে ভোগান্তি লাঘবে খালের উপর একটি সেতু হলে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট দিয়ে এত বড় খালে সেতু বানানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে দেখব।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
আপাতত ভাসমান সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
স্কুলমাঠে মেলা আয়োজনের প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ শিক্ষার্থীদের
স্কুলের মাঠে খেলা বন্ধ করে মেলা আয়োজনের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী মন্ঞ্জুর উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানার হাতে তুলে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খেলার মাঠে কোনো ধরনের মেলার আয়োজন না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে (নিউফিল্ড) মাসব্যাপী কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
এদিকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেখানে মেলার আয়োজকরা ট্রাকভর্তি সাজসরঞ্জাম নিয়ে আসছে। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পরপরই শুরু হবে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
এ অবস্থায় বাণিজ্য মেলার আয়োজন দেখে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন বিকালে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার শিশুদের একমাত্র খেলাধুলার জায়গা হচ্ছে এই মাঠ। সেখানে বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, বিগত কয়েকটি মেলা হওয়ার পর মাঠে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ইট, সুরকি, আবর্জনা পড়ে রয়েছে। ফলে মাঠটি দিন দিন খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এতে অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, প্রয়োজনে হবিগঞ্জের সাধারণ জনগনকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন, অনশনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির