শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থীদের চোখে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আদর্শ স্কুলের চিত্র
বিদ্যালয়ে সহায়ক পরিবেশ এবং সমান সুযোগ ও সহায়তা পেলে জেন্ডার নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু বিকশিত হতে পারে নিজ নিজ সম্ভাবনায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরিতে, জীবনের লক্ষ্য বেছে নিতে এবং সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি প্রতিটি বিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিদ্যালয়।
ঢাকায় আয়োজিত মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে এ কথাই বলেন অংশগ্রহণকারীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তত্ত্বাবধানে সুরভি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্প ও মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে যৌথ আয়োজনে রাজধানীর ঢাকার মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ নামে একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই মেলায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
মেলায় বিভিন্ন স্টল সাজিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত অতিথিদের সামনে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য তুলে ধরে এবং কিভাবে বিদ্যালয় তাদের এই ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে তা জানায়।
তারা আরও জানায় কীভাবে স্কুল থেকে শিখছে জেন্ডার সমতা সম্পর্কে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জনাব প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক স্তরে দুইটি শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমরা মেয়ে শিশুসহ সকল শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরির নেতৃত্ব দেন সেই স্কুলের প্রধান। তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এটা কোন একক প্রচেষ্টা নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এছাড়া আদর্শ স্কুলে যোগ্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরির সুযোগ পাবে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর লিড-এসআরএইচআর ফেরদৌসি বেগম বলেন, মাউশি’র তত্ত্বাবধানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহায়তায় অল্প সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেন্ডার ইক্যুইটি মুভমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এই কার্যক্রমটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। যাতে করে সমাজে জেন্ডার সমতা এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
মাউশি’র উপ-পরিচালক (বিশেষ) সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং দেশকে সমৃদ্বির দিকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নাই। আর এজন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
যেখানে মেয়েশিশু সহ সকল শিশু নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেকে তৈরী করে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
মাউশি’র সহকারি পরিচালক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, সকল স্কুল তখনই আদর্শ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে যখন তারা জেন্ডার সমতা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে, শিক্ষকরা প্রশিক্ষিত হবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সেন্ট্রাল এন্ড নর্দার্ন রিজিওন হেড আশিক বিল্লাহ বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ করা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপ্তিকরণ ও বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া রোধ করা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আজকের এই বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচি আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে, পেশাভিত্তিক জেন্ডার পক্ষপাতিত্ব দূর হবে যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বিদ্যালয়ের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠায় মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে শিশুরা জেন্ডার সমতার পরিবেশ নিয়ে বড় হতে পারে।
মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরভির নির্বাহী পরিচালক জনাব মো. আবু তাহের ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচিটি সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই ধরনের কর্মসূচি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নে শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মানিকনগর মডেল হাই স্কুল ও ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’- প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্টলে তাদের জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষকগণ তাদের বিদ্যালয়টি একটি মডেল স্কুল হিসেবে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও সহায়তা করে থাকে তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য ও ডিসপ্লে প্রদর্শন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের বুড়াবুড়ি মান্দুলপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এসময় আহত হন তার চাচা ফজলুল হক ও মিমের ছোট ভাই মুস্তাকিম।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সুমাইয়া আকতার মিম (১০) একই এলাকার মনসুর আলীর মেয়ে এবং বুড়াবুড়ি কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে মিম তার চাচা ফজলুল হকের মোটরসাইকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে বুড়াবুড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মিম সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী মিমের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘাতক ভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
স্বপ্নপুরীতে সংঘর্ষ: জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রের কর্মচারীদের সংঘর্ষে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় স্বপ্নপুরীর আট স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষাসফরে (ফিল্ডওয়ার্কে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৩ শিক্ষার্থীসহ ৮১ সদস্যের একটি টিম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এসেছিল। ঢাকায় ফিরতি পথে বিকালে তারা নবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর বিভিন্ন রাইডে আনন্দ বিনোদন করছিল।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এসময় বেখেয়ালে রাইডের মধ্যে একটি ব্যাগ ফেলে রেখে যায় জনৈক শিক্ষার্থী। ফেরত নিতে এসে রাইড অপারেটরদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এসময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং লোহার রড ও লাঠির আঘাতে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন। ফুলবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত তিন ছাত্রকে রেফার্ড করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে আরাফাত হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম তালকা নামে দুই ছাত্রকে রাতে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মারামারির ঘটনায় রাতেই জবির একজন ছাত্র বাদী হয়ে স্বপ্নপুরির আট স্টাফকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত আটজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ মার্চ) রাতে মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: যারা রেললাইনে আগুন দিয়েছে তারা বহিরাগত: রাবির ভিসি
শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ঘটনায় তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার ৯২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী রাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। আর চিকিৎসা নিয়েছেন আরও শতাধিক।’
রাবির চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের দুই ও আট নম্বর ওয়ার্ডে বেশি ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শনিবার রাতে ছাত্ররা মেডিকেলে আসেন এবং তাদের মধ্যে ৯২ জন বিভিন্নভাবে জখম আবস্থায় ছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায় এখন সকল শিক্ষার্থী বিপদমুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অন্যদিকে, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে। সব আসামি অজ্ঞাত। মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ালে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
ববির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না দেয়ায় এক দোকান মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জিনিয়াস বিজনেস সেন্টারের এক দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মঞ্জু ও শিহাব৷
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ ওসিকে মারধরের ঘটনায় ৩ আনসার ও এক ওসি প্রত্যাহার
হামলার শিকার দোকানদার শাহ আলম জানান, ‘সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ দুইজন ছেলে আমার কাছে এসে তাদের মালামাল হারিয়ে গিয়েছে বলে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চায়। এ সময় আইনের লোক ছাড়া সিসি টিভি ফুটেজ দেখানো যাবে না জানালে তারা দুইজন আমার ওপরে হামলা করে। এদের আমি চিনিও না। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হামলা বুঝতে পারছি না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মঞ্জু বলেন, ‘আমার একটা সাউন্ড বক্স হারিয়ে গিয়েছে। সেই জিনিসটা এই দোকানের আশেপাশে রেখেছি মনে পড়ায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাই। তখন আমাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু মারামারির তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে আমি দোকানদারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না৷ ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা, সব থেকে ভালো হয় ভুক্তভোগী আইনি ব্যবস্থা নিলে৷ তারপরও আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি৷ অভিযোগ পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘মারধরে’ মায়ের মৃত্যু, ছেলে গ্রেপ্তার
শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য এক ছাত্র অ্যাক্টিভিস্টকে সাড়ে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মস্কোর একটি আদালত।
ক্রেমলিনের প্রকাশিত ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্র্যাকডাউনের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
২৩ বছর বয়সী দিমিত্রি ইভানভকে রাশিয়ান সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একটি নতুন আইনে তার পোস্টকে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল যা রাশিয়ান আইন প্রণেতারা মস্কো ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর এক সপ্তাহ পরে পাস করেছিলেন।
এই আইনটি এমন ব্যক্তিদের বিচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে যারা ক্রেমলিন সরকারের ‘একটি বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে জোর দেয়া সরকারি বিবরণ থেকে দ্বন্দ্বে বিচ্যুত হন।
বিশিষ্ট বিরোধী রাজনীতিবিদইলিয়া ইয়াশিন সাড়ে আট বছর জেল খেটেছেন। ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা, যিনি বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও সামরিক বাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
ইভানভকে তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে একটি ‘যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিল। রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামো, বুচা, কিয়েভ শহরতলির ইরপিন এবং জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করার বিষয়ে কথা বলেছিল। যার বেশিরভাগই অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করে পুনঃপোস্ট ছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
২০২২ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তারের সময় ইভানভ এমএসইউ নামে পরিচিত রাশিয়ার অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রোটেস্ট এমএসইউ নামে একটি জনপ্রিয় টেলিগ্রাম চ্যানেল চালাতেন, যা রাশিয়ায় আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের ফ্যান জোনের পাশে নির্মাণের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ কভার করার জন্য ২০১৮ সালে চালু করা হয়েছিল।
ইভানভকে প্রথমে একটি অননুমোদিত সমাবেশ আয়োজনের অভিযোগে ১০ দিনের জন্য জেলে রাখা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ তাকে ২৫ দিনের জন্য একই অভিযোগে আবার জেলে দেয় এবং তারপরে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
হেফাজতে থাকাকালীন ছাত্রটি তার চূড়ান্ত পরীক্ষা মিস করে এবং তার চূড়ান্ত গবেষণাপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়।এরপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ইভানভের বিচার চলাকালীন, একটি অস্বাভাবিক মোড়কে আদালত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এবং জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজ্যাকে সাবমিন করার প্রতিরক্ষা অনুরোধ অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
ইভানভের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে যেহেতু কর্তৃপক্ষ ইভানভের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে মিথ্যা তথ্য রয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য কর্মকর্তাদের বিবৃতি ব্যবহার করেছে। তাই তাদের আদালতে জবানবন্দি দেয়া উচিত।
তবে, তিনজনের কেউই আদালতে হাজির হওয়ার সমন মেনে চলেননি।
গত সপ্তাহে আদালতে তার চূড়ান্ত ভাষণে, ইভানভ তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে ‘অযৌক্তিক দেখাচ্ছে’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে অপরাধের জন্য তাকে বিচার করা হয়েছিল ‘কোনও অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।’
ইভানভ বলেছিলেন, ‘তদন্তের মাধ্যমে আমাকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করার চেষ্টা করে একটি বড় ষড়যন্ত্র করেছে (নিজেই)। আক্ষরিক অর্থে প্রথম থেকে একেবারে শেষ শব্দ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অভিযুক্ত বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ ‘ইতোমধ্যে এক বছর আগে লেখা প্রতিটি শব্দের বিষয়ে অনড় আমি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ শিক্ষার্থীর সহদোরাকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার এসব শিক্ষার্থীর বোন ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের করা পৃথক চারটি আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। এছাড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: ৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন জানান, চারটি আবেদনে মোট আবেদনকারী ৫৬জন। তাদের সহোদরারা ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর ১৪ বিধি অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যান্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা জমজ ভাই/ বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদন সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ওই পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৫৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত জানুয়ারিতে পৃথক রিট করেন। শুনানি হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়ে রুল দেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
রাজধানীতে ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
রাজধানীর তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১টার দিকে আইডিয়াল কলেজের সামনে আইডিয়াল কলেজের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কয়েকজন ছাত্রের সংঘর্ষ শুরু হয়।
আইডিয়াল কলেজের কিছু ছাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে যোগ দিলে, একপর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং ও নিউ মার্কেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যানবাহন চলাচল শুরু হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের সংখ্যা বেশি দেখে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফ ইউএনবিকে বলেন, আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা জানি না, তবে আমরা আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং কিছু শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছি।
তিনি আরও জানান, ‘সাধারণত এইচএসসি শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে; কিন্তু আজ বিজয় একাত্তর নামের ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করায় সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’
কয়েকদিন আগে আইডিয়াল কলেজের কিছু ছাত্র ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর করে। জবাবে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের নামফলক বের করে তাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। আজকের ঘটনাটি ছিল তারই ধারাবাহিকতা।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং এটি বেদনাদায়ক। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমরা আমাদের ছেলেদের নিয়ন্ত্রণ করার এবং তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা কখনই এটি করেন না। তাদের সাহায্য ছাড়া এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: আহমদিয়া সংঘর্ষ: পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করতে হবে।
সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজ কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অধ্যাপক ইউসুফ ইউএনবিকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং সহিংসতা থামাতে তারা এটি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র ক্লাস বাতিল করেছি, অন্যান্য কার্যক্রম যেমন পরীক্ষা এবং ভাইভা আগের নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
আইডিয়াল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আমজাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার কোনো সঠিক কারণ শনাক্ত করতে পারিনি। আজ আমাদের কলেজের চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
এ ধরনের ঘটনা নিয়ে তারা কী ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আজকের সংঘর্ষের পর আইডিয়াল কলেজও সোমবার (৬ মার্চ) ছুটি ঘোষণা করেছে।
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের উত্তেজনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা বলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্বীকার করলেও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হওয়ায় আজকের ঘটনা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০
আড়াইহাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০