সিভিল এভিয়েশন
এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
এভিয়েশন খাতের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। এ সমস্যাগুলোর সমাধানে এ খাতের উদ্যেক্তাদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিক নীতি সহায়তা ও দিক নির্দেশনা খুবই জরুরি।
বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার ভবনে এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) আয়োজিত ‘এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজপোর্টালে এভিয়েশন খাত নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকদের নিয়ে এই ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়।
এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও দি বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা, হেলিকপ্টার সংস্থা ও ফ্লাইং স্কুলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের সক্ষমতা বাড়াবে নবগঠিত এভিয়েশন উইং: আইজিপি
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের এভিয়েশন খাত কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। প্রায় দুই বছর করোনার অভিঘাতের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি এখনও এয়ারলাইন্সগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে জেট ফুয়েলের দাম প্রতি মাসেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এয়ারলাইন্স ও হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয়ও অধিকহারে বেড়ে গেছে। এছাড়া অসম প্রতিযোগিতা, কাস্টমস জটিলতা, সিভিল এভিয়েশন নির্ধারিত উচ্চহারে বিভিন্ন ফি ও সারচার্জের ফলে এ খাতের উদ্যোক্তাদের মহাসংকটে ফেলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা সেবার মান উন্নত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এ খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যেমন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থাগুলোরও আন্তরিক হতে হবে। নীতি সহায়তার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে দ্রুত সমাধান করতে হবে। তাহলেই দেশের এভিয়েশন খাত বিশ্বের এভিয়েশন খাতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
সিভিল এভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্কিং থেকে সিভিল এভিয়েশনের এক ট্রলিম্যানকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আটকের সময় তার কাছ থেকে চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আটক মো. ইসমাইল হাটহাজারী মিরের হাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিভিল এভিয়েশনে ট্রলিম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে যাত্রী আটক, ৩৪ স্বর্ণের বার জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন বলেন, ট্রলিতে ব্যাগ বোঝাই করে গাড়ির পার্কিংয়ে আসার পর নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটকায়। এ সময় ওই ট্রলিম্যানকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তার কাছ থেকে চারটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
যার আনুমানিক মূল্য ৩২ লাখ টাকা। তাকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৭ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সাতক্ষীরায় ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু ভারতের
করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধের পর রবিবার থেকে পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে ভারত।
ভারতীয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন এক বিবৃতে জানায়, ‘ছয়টি ভারতীয় বিমান সংস্থা ও ৬০টি বিদেশি বিমান সংস্থা আজ (রবিবার) থেকে ৬৩টি দেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ শুরু করবে।’
দেশটির এক সিনিয়র এভিয়েশন কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, বিমানবন্দর ও ফ্লাইটে করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি যেমন সামাজিক দূরত্বের জন্য মাঝখানের আসন খালি রাখা শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে গোডাউনে আগুন: ১১ জনের মৃত্যু
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা টুইটারে জানান।
করোনার কারণে ভারতজুড়ে লকডাউন দেয়া হলে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০২০ সালের মে মাস থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয়া হলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধ অব্যাহত ছিল। তবে ওই বছরের অক্টোবর থেকে পর্যটক ছাড়া সকল বিদেশি নাগরিককে ‘বাবল ব্যবস্থার’ আওতায় দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৮, আহত ২০