বয়সসীমা
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৯ মাস ছাড়
কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা তিন বছর তিন মাস বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএস পরীক্ষার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, যে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত, জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সে সকল দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে উক্ত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহামারির কারণে সরকারি অফিসগুলো কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি।
এই সময়ের মধ্যে প্রচলিত বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক প্রার্থী সরকারি চাকরির অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল আলোচিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষা আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।
ফরহাদ বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সেশনজট থাকলেও এখন বলা যায় উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পায়। সাধারণ প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেও তাদের চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর থাকে।
আরও পড়ুন: বন্দর এলাকার দূষণ রোধে সংসদে আইন পাস
ফরহাদ হোসেন বলেন, এছাড়া ৩০ বছরের মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ১/২ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯-এ উন্নীত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শূন্যপদের সংখ্যা কমে এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও প্রতিযোগিতার কারণ হতে পারে। এটি ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস
মেয়াদ শেষ হলে পৌরসভায় প্রশাসক, সংসদে বিল পাস