হোটেল মালিক
পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড: হোটেল মালিক গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকার চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বরিশাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট মালিক থেকে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চকবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সরকার জানান, মঙ্গলবার ভোরে কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত রুবেলের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী সোমবার রাতে চকবাজার থানায় রেস্টুরেন্ট মালিক ও ভবন মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
প্রসঙ্গত, সোমবার চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই আগুন লাগা চারতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত রেস্তোরাঁর কর্মচারী।
পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড: পুরান ঢাকার প্লাস্টিক কারখানা থেকে ৬ দগ্ধ লাশ উদ্ধার
পুরান ঢাকার প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
ইফতারি খেয়ে ৯ বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, হোটেল মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
পাবনা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের ইফতারি খেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ ৩০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মালিকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার পাবনা কোর্ট চত্বরে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক বিচারকের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইফতারি খাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-পাবনা শহরের কাশমেরি ফুড গার্ডেনের স্বত্ত্বাধিকারী হাসানুর রহমান রনি, ম্যানেজার সাব্বির হোসেন ও নাজমুস সাদাত মাসুদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অনলাইন প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
তাদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করে রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ওই ইফতারি খেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তিনি নিজে বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইফতারির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়াসহ তার অধীনস্থ আদালতের সকল বিচারক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই শহরের রূপকথা রোডের কাশমেরি ফুড গার্ডেন থেকে আনা ইফতারি খেলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
তিনি জানান, বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ ওই রেস্টুরেন্টের মালিক, ম্যানেজারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।