বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পের জন্য ১০ বছরের কর মওকূফ এবং সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
দেশের জুয়েলার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাজুস এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ বাজুস নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
বাজুস স্বর্ণের ওপর ৩ শতাংশ ভ্যাট, অলঙ্কারের ওপর কর অব্যাহতি এবং অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ইউএনবিকে বলেন, পর্যটকদের জন্য স্বর্ণের বার আনা বন্ধে তারা স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বর্ণ আমদানির করমুক্ত সীমা ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যাগেজ নিয়মের সমন্বয় সাধন করে যাত্রীকে ওয়ান টাইম ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।
এর আগে এনবিআর কর মওকূফ স্বর্ণ ২০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ১০০ গ্রাম করে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখনও সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা আবারও ভ্রমণকারী ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য করমুক্ত স্বর্ণ আমদানির সীমা কমাতে চান।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)
বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন সংগঠনটি।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজুস নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল’ এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, সদস্য ইকবাল উদ্দিন, স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির দাবি, প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের ট্রানজিট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয়, যা বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশ বিমান, সড়ক ও নৌপথে গড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা পাচার হয় বলে জানান বাজুস নেতারা।
স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য ও সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে বাজুস নেতা বলেন, বাংলাদেশে ভ্রমণকারীদের ব্যাগেজের মাধ্যমে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ভরি স্বর্ণ আমদানি করা হচ্ছে যা বৈধ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
ওসমানী বিমানবন্দরে আবর্জনার ট্রলি থেকে ১০টি স্বর্ণবার উদ্ধার
স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়ছে।
প্রতি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫১৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
বাজুস জানায়, ২১ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি ভরি ৭৪ হাজার ৬৮২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৪ হাজার ১৩ টাকায় বিক্রি হবে।
সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে ৫৩ হাজার ৩৬২ টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে এক কোটি ১৬ লাখ টাকার ৯ স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোলে ১৫ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১