কংগ্রেসম্যান
রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাককরমিক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বাড়িয়ে এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা (তাদের) না বলেছিলাম। আমরা বলেছি বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের অন্য দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন নেই।’
মোমেন বলেন, উন্নত জীবনের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। ‘আপনানা (মার্কিন) কিছু রোহিঙ্গাকে নিতে পারেন।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মোমেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল তারা রোহিঙ্গাদের নেবে কিন্তু তারা নেয়নি।
মোমেন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা হচ্ছে রোহিঙ্গারা যেহেতু এখানে বসবাস করছে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন অগ্রাধিকার। আপনারা (মার্কিন) মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা করুন।’ মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয়, তবে তাদের কিছু সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে ইচ্ছুক কিন্তু কিছু বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যাবাসনে সমর্থন করছে না।
এর আগে ২ আগস্ট মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) মনে করে যে সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে এমন সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
মোমেন বলেন, ‘বিদেশি সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরামর্শ দেয়, আমরা যেন প্রত্যাবাসনের চেষ্টা না করি।‘
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরতে ইচ্ছুক এবং মিয়ানমার সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
বাংলাদেশ নিয়ে বাইডেনকে দেওয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি সম্পর্কে অবগত নই: মার্কিন মুখপাত্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন যে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ছয় কংগ্রেসম্যানের পাঠানো চিঠির ব্যাপারে অবগত নন।
তবে তিনি উল্লেখ করেন যে সাধারণত এসব চিঠির উত্তর গোপনীয়ভাবে দেওয়া হয়।
বুধবার (১৪জুন) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি চিঠির বিষয়টি অবগত নই। আমরা সাধারণত কংগ্রেসের সদস্যদের কাছ থেকে যে চিঠিগুলো পাই সে বিষয়ে মন্তব্য করি না।’
তিনি জানান, তারা সাধারণত গোপনীয়ভাবে তাদের উত্তর দেয়, তবে তারা ব্যক্তিগতভাবে ও প্রকাশ্যে তাদের যে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবে।
প্রায় ২০০ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি জোট বলেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সাম্প্রতিক চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবিত করা হয়েছে, তাতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি: অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন
বাংলাদেশি আমেরিকানরা বলেছেন, বিশেষ করে চিঠিটিতে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামির নেতৃত্বাধীন জোট দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর করা সহিংসতাকে উপেক্ষা করে হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বে গণতন্ত্রের প্রচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি বিশেষভাবে এ বিষয়ে কথা বলতে চান না।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশ রয়েছে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্র হল সবচেয়ে স্থায়ী উপায়। মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার করা আমাদের প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আমরা পরিষ্কার করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
অন্য কোনো দেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুনিদিষ্ট কিছু বলব না: গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে বেদান্ত প্যাটেল
বাইডেনের কাছে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি: অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যাননের দেয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন।
চিঠিতে লেখা দাবিকে ‘ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের ৯ জুন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চলতি বছরের ১৭ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনকে সম্বোধন করা চিঠিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত চিঠির ১ পৃষ্ঠার ৩ অনুচ্ছেদে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কথিত হ্রাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করার কারণ আমাদের কাছে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
২০১১ ও ২০২২ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারির তথ্য উদ্ধৃত করে সংস্থাটি জোড় দিয়ে বলেছে যে উভয় বছরে বৌদ্ধ জনসংখ্যার আকার প্রায় ০.৬১ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে আমরা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অন্যান্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতির সহবস্থান করছি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকার সময়েও।
তারা স্বীকার করেছে যে যখন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সরকার তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, এই জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এটির শেষে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল; কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকার তাৎক্ষণিক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নিশ্চিত করছি যে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।’
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
ঢাকা, ৫ জুন (ইউএনবি)-বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যে চিঠি দিয়েছেন সেটিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি সংগ্রহ করেছি। অন্য যেকোনও চিঠির মতো এখানে কিছু বাড়তি বলা হয়েছে। এমনকি তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্য আছে।’
সোমবার (৫ জুন) বিকালে শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও, কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’
বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে কারো কাছে ধর্না দিয়ে বা কারো চাপে পড়ে বা কারো সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে- এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’
গত ২৫ মে ৬ জন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এক চিঠিতে শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন।এমনকি এদের মধ্যে একজন কংগ্রেসম্যান এ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি এক টুইটে জানান।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলবো। শুধু তাই না, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে-তাদের সকলকেই নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাবো।’
মার্কিন ভিসা নীতি
অঘোষিতভাবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে শাহরিয়ার বলেন, ‘এগুলো সব প্রপাগান্ডা। সরকারের বিরোধী শক্তিগুলো এগুলো করছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের ভিসা নীতি তার বৈদেশিক নীতির একটি নিয়ামক। তাই এটি মোটেও সকল দেশের বিষয় নয়।’
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
রাষ্ট্রদূতেরা সীমা লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সম্প্রতি একজন রাষ্ট্রদূতের বিএনপি চেয়ারপার্সনের অফিসে যাওয়া এবং ইসি অফিসে গিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে এমন একটা সময় গেছে। যদি কেউ বা কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবার এমন কিছু করেন, যা তাদের সীমার বাইরে, আর তা যদি আমাদের চোখে পড়ে; তবে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে এরকম কিছু আমার এখনও জানা নেই।’
‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র
এবিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই মানচিত্রে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালকে অখন্ড ভারতের মানচিত্রে দেখানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরও অধিক ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা জেনেছি তা হলো-ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি যিশু খ্রিস্টের জন্মের তিনশ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে বিভিন্ন অগ্রগতির যাত্রা চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী মার্কিন আইনপ্রণেতারা
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ (রিপাবলিকান-টেক্সাস) এবং কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট (রিপাবলিকান-ওহিও)।
জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, নাহিম রাজ্জাক এবং কাজী নাবিল আহমেদ।
বুধবার (১৮ মে) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের নিজ নিজ কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অবহিত করেন। তারা বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দক্ষ কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মার্কিন মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে সম্ভাব্য সব উপায় রাজি করাতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনুরোধ জানান।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং বলেন যে তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
সংসদীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশকে ৬৪ মিলিয়ন ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুদানের জন্য মার্কিন সরকারের প্রশংসা করেন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা
সংসদীয় প্রতিনিধিদল ব্যবসা-বান্ধব বাংলাদেশের বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় খাতে আরও মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক অর্জনের কথা উল্লেখ করে ফারুক খান এক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য টেক্সাস-ভিত্তিক মার্কিন জ্বালানি কোম্পানিগুলোর প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষই আগামী দিনে দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার আরও সম্প্রসারণ এবং বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সিনেট কমিটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য সিনেটর টেড ক্রুজ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে টেক্সাস রাজ্য, জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সাথে আরও সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস