প্রশাসক
প্রশাসক বসবে একীভূত হতে যাওয়া সংকটাপন্ন পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ইসলামী ব্যাংক গঠনের লক্ষ্যে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য বোর্ড সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই প্রশাসক নিয়োগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করার বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।
তিনি জানান, এ প্রক্রিয়া সহজ করতে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ ও সহায়ক আইনসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
প্রতিটি ব্যাংকে একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি চারজন কর্মকর্তার সহায়তায় দায়িত্ব পালন করবেন। আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত রাখা এবং ব্যাংকিং খাতে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হবে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, যার সম্ভাব্য নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকটির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, এ একীভূতকরণ দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করবে এবং পুনর্গঠনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।
একীভূত হওয়ার পর বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বিলুপ্ত হবেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর শেয়ার বাতিল ঘোষণা করা হবে। ব্যাংকগুলোর সব সম্পদ ও দায় নতুন প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থানান্তরিত হবে।
সরকারি বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন ব্যাংকের শেয়ার পরবর্তীতে বেসরকারি খাতে বিক্রি করা হবে। বড় অঙ্কের আমানতকারীদের ক্ষেত্রে তাদের আমানতের একটি অংশ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ দেওয়া হতে পারে, তবে ছোট আমানতকারীরা বিনা বাধায় অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর এক্সিম ব্যাংকের মালিক নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নাজরুল ইসলাম মজুমদার।
৮০ দিন আগে
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করলে দোকানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। এই ধরনের কাজ থেকে সরে না এলে দোকান সিলগালা করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তার চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি ফুটপাত দখল। অনেক গ্যারেজ মালিক ফুটপাত ও রাস্তা ব্যবহার করে মোটারসাইকেল ও গাড়ি ওয়াশ করছে। অনেক দোকানদাররা দোকানের সীমানার বাহিরে গিয়ে ফুটপাত ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা ফুটপাত দখলমুক্ত করে দিন।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ডিএনসিসির শিশুপার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ
‘ঈদের পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। যেসব দোকানদার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে, তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেব; দোকান সিলগালা করে দেব।’
তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। ৬০ ফিট সড়কের ৮টি পয়েন্টে রাস্তার পাশে বাড়ির মালিক আমাদের ফুটপাত করতে দিচ্ছে না; আমাদের কর্মীদের কনস্ট্রাকশন করতে দিচ্ছে না; কোর্টের রায়ের ভয় দেখাচ্ছেন; কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না; অবৈধভাবে দোকান দিয়ে রেখেছে, ময়লা ফেলে রেখেছে।’
বাধা প্রদানকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রশাসক বলেন, ‘আমরা জনগণকে চলাচলের সুবিধা দিতে চাই। কিন্তু কেউ যদি সরকারি কাজে বেআইনিভাবে বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘সরকারি কাজে, সিটি করপোরেশনের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে, আমরা তাদের বাড়ির প্রকৃতি যাচাই করছি। তারা অবৈধভাবে আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করছে। গত বিশ বছর ধরে বাণিজ্যিক হারে ট্যাক্স দিয়েছে কিনা সেটা ধরব। তাদের প্লান তলব করব, রিভিউ করে দেখব যে অনুমতি নেওয়া আছে কিনা। প্লানের বাইরে অবৈধ বিল্ডিং আমরা ভেঙে দেব। আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।’
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি, দখলদারদের জন্য নয়। সরকারি রাস্তা দখল করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা চলবে না। আগামী ২৩ তারিখে আমি সরেজমিনে রাস্তায় থাকব; ৬০ ফিটের ৮টি পয়েন্টে। আমি নিজে থেকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করব।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মিরপুর ৬০ ফিট সড়ক এবং মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি সড়ক। অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন এই সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ ছিল। বেশিরভাগ বড় বড় সড়কে চললে মনে হতো, আমরা কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তায় চলছি।…আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো টিমকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাস্তাদুটি এই মাসে রোজার মধ্যেই সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।’
‘ইতিমধ্যে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ঈদের আগেই ৬০ ফিট সড়কের কাজ শেষ করে সেটিও জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে।’
এছাড়া, পয়লা বৈশাখের আগে ডিএনসিসি এলাকায় যতগুলো সড়ক কাটা ও কাজ চলছে, সেগুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল অনেক কম। রাতের আঁধারেও আমাদের কর্মীরা কাজ করছে, কারণ আমরা বসে থাকার জন্য আসিনি বরং পরিবর্তন আনার জন্য এসেছি।’
২৬৫ দিন আগে
চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত নগদ প্রশাসকের কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা: হাইকোর্ট
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর আবারও স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
শুনানির পর আদালত বলেছে, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন। নগদ প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বলবৎ থাকবে।
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নগদ প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে এরপরও প্রশাসক ও তার সহকারীরা নগদে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, যা কোর্টের নির্দেশনার পরিষ্কার বরখেলাফ।
বুধবার হাইকোর্টের এই আদেশের পর নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির বলেন, ‘আদালত নগদে প্রশাসকের স্থগিতাবস্থা বলবৎ রেখেছেন। এর ফলে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত প্রশাসক ও তার দল নগদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনোরকম কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। হাইকোর্ট একইসঙ্গে এটিও প্রত্যক্ষ করেছেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যখন চূড়ান্ত রায় আসবে তখন এগুলো বাতিল হয়ে যাবে এবং তখনই এ বিষয়ে যথাপোযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে অবৈধঘোষিত এই প্রশাসকরা যাতে আদালতের রায় মেনে চলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডাররা।
এদিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ, জিয়াউর রহমান এবং জামিলুর রহমান প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট থেকে এক বছরের জন্য ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যে আইনের ক্ষমতাবলে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় বলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তখন পর্যন্ত সে আইনের গেজেট প্রকাশিত হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পদমর্যাদার আরও কয়েকজনকে সহকারী প্রশাসক করে নগদে পাঠায় তারা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সহযোগিতাকারীদের সমন্বয়ে নতুন করে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে। এসব প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারের শুনানির পর দ্বিতীয় দফায় প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। গত বছর নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সও পায়। সে অনুসারে সেবা চালুর দ্বারপ্রান্তে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কোনোরকম কারণ দর্শানো ছাড়াই শেষ মুহূর্তে নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক ও তার সহযোগীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল নগদ
৩২৩ দিন আগে
‘ফুল টাইম’ প্রশাসক পাচ্ছে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা
জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সেবার কথা মাথায় নিয়ে এবার এসব প্রতিষ্ঠানে ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিলম্ব (সেবার ক্ষেত্রে) হয় লোকবলের অভাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেখানেও চিন্তাভাবনা করেছি। অতি শিগগিরই আপনারা দেখতে পারবেন এখানে আমরা ফুল টাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সাময়িক একজন প্রশাসক দিয়ে এত বড় সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার সেবাগুলো দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। সেগুলো পালনে সার্বক্ষণিক একজন প্রশাসকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। অতি শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন।’
বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অফিস খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪০১ দিন আগে
বিজিএমইএর প্রশাসক হলেন আনোয়ার হোসেন
বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
রবিবার (২০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) মো. আবদুর রহিম খানের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
৪১১ দিন আগে
মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের সংস্থা-২ শাখা থেকে জারি করা পত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা চালাচ্ছে; যা উদ্বেগজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। মাজার ওলি-আউলিয়া ও দরবেশদের সমাধিস্থল বিবেচনায় এর অনুসারীরা দীর্ঘ ঐতিহ্যের সঙ্গে ভক্তি-শ্রদ্ধা জানিয়ে ও জিয়ারত করে আসছেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
মাজারে শান্তিশৃঙ্খলা ও ভক্তদের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া, কোনো জেলায় কোনো মাজারে হামলার আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে মাজারে পরিকল্পিত হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ জারি করেছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
৪৪৬ দিন আগে
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সরকার ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।’
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার আর পদে থাকার সুযোগ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
খাদ্যদ্রব্যে অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন
ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
৭৮৮ দিন আগে
৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ
চাঁদপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুর এই চার জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল হাসানকে চাঁদপুরের ডিসি এবং চাঁদপুরের ডিসি ও ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশকে নেত্রকোণার ডিসি করা হয়েছে।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাহেলা আক্তারকে শেরপুরের ডিসি এবং কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) শ্রাবন্তী রায়কে জামালপুরের ডিসি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝাড়ুর হাতে ফুল তুলে দিলেন ডিসি
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
১২৯৬ দিন আগে