সচিবালয়
সচিবালয়ে বিএসআরএফ'র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিভিন্ন ফলের সমাহারে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শেষে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ-এর সভাপতি মাসউদুল হক, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল।
নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও ফল উৎসব উপলক্ষ্যে সমবেত হয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ উৎসব। উৎসবে স্থান পায় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আমড়া, লটকন, ড্রাগন, আনারসহ নানা জাতের ফল।
১৫৭ দিন আগে
অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণসংযোগ করবে আন্দোলনকারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
সোমবার (২৩ জুন) ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।কর্মবিরতি চলাকালে সচিবালয়ের দ্বিতীয় ভবনের তৃতীয় তলায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হন।
এসময় ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বদিউল কবির বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল। এ দাবিতে আগামীকাল সচিবালয়ের অভ্যন্তরে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দিতে আহ্বান জানিয়ে ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যায়নি। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের যেভাবে প্রকাশ্যে অপমান করা হয়েছে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে, তা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ক্ষমতার অপব্যবহার করলে একদিন সবাইকেই তার খেসারত দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির হুমকি এনবিআর কর্মীদের
এর আগে, ২৪ মে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু তাদের আন্দোলনের মাঝেই গত ২৫ মে সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চারটি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কোনো বিভাগীয় প্রক্রিয়া ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে।
ঈদুল আজহার আগে ৩ জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে কর্মসূচি চালিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ১৫ জুনের মধ্যে অধ্যাদেশ বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।
এ অবস্থায় গত ৪ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে অধ্যাদেশ পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রথম বৈঠক সোমবার বিকালে হওয়ার কথা ছিল।
আইন উপদেষ্টা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমিটির সুপারিশ না আসা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৬৪ দিন আগে
সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। সোমবার (২৬ মে) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের এই প্রাণকেন্দ্র।
এদিন বেলা পৌনে ১১টা দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।
পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের অপর অংশও যুক্ত হয়।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ ফেলে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনে প্রশাসনে অচলাবস্থা
এর আগে, রবিবার (২৫ মে) চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে— এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (২৪ মে) থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবারও সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার
১৯৩ দিন আগে
‘১০-১২ দিনে সচিবালয়ের অগ্নিদগ্ধ ভবনের সংস্কার সম্পন্ন হবে’
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের সংস্কার কাজ আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভবনটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ দিন পর এ ভবনটি খুলে আজ দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত সচিব বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ফ্লোরের সংস্কার কাজ ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে আমরা করে দিতে পারব। আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সংস্কার কাজ শেষ করা যায়।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি
তিনি বলেন, ‘৭ নম্বর ভবনে এখনও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি আজকের মধ্যে তা সম্ভব হবে।’
৩৩৪ দিন আগে
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ভবন সংস্কার করে ব্যবহার সম্ভব: প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব বলে মনে করছেন ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘বুধবার আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা গণপূর্তের লোকজন এসেছিলাম, আমাদের খুব বেশি দেরি হয়নি। ফায়ার সার্ভিসকে আমরা গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয় চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
ভবনটিতে মোটামুটি ৬টি মন্ত্রণালয় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ফ্লোরে ৪০-৫০টি কক্ষ রয়েছে। ৪টি ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এছাড়া কোথাও কোথাও পরিপূর্ণ আবার কোথাও কোথাও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের এই প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
ভবনটি ব্যবহার উপযোগী থাকবে কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ে অনেক টিম তদন্ত করেছে। বিশেষজ্ঞ টিম যে মতামত দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘তবে প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে ভবনটি মেরামত করা যাবে। বাকিটা তদন্তের পর বুঝা যাবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও ভবনটি গণপূর্তের কাছে হস্তান্তর করেনি জানিয়ে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘যখন অ্যাসেসমেন্ট করে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে তখনই হয়তো আমরা বুঝব এটি সংস্কার করতে কতদিন লাগবে। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগের কোনো গাফিলতি বা অবহেলা ছিল না।
৩৩৯ দিন আগে
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকতে এই অগ্নিসংযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রংপুরের মিঠাপুকুরে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের কবর জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আগুনে চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ের ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ।
তিনি বলেন, বিগত সরকার মানুষের টাকা যেভাবে আত্মসাৎ করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের ঘটনায় সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এটাতো কেবল মাত্র একটি ঘটনা।
এমন অনেক ঘটনা আছে সেগুলো চাপা দেওয়ার জন্য নয়তলা ভবনে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: দেশে কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা চলছে: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মুখ্যসচিব অনেক টাকা পাচার করেছে। যে ফাইলগুলো পুড়ে গেছে সেখানে তার ফাইলগুলো ছিল। সচিবালয়ের এই আগুনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও অনেক জায়গায় আছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তারা আছে। সবাইতো এখনও পরিবর্তন হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছে। কোথায় কী ধরনের নাশকতা ও চক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই।
হাসিনার পক্ষে ভারত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও রাষ্ট্রনায়করা স্বৈরাচারের পতন ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রত্যেকের প্রতি তারা সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু একটি দেশ সংহতি জানাতে দ্বিধা করছে। সে দেশটি হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন বয়ান তৈরি করছে, যাতে শেখ হাসিনার অপকর্মগুলোকে ঢাকা যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। সেদিনের আগুন নেভানোর জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তিনি। দেশের চলমান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ নয়ন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন তার মতো ছেলেরা। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত করলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে: রিজভী
৩৪১ দিন আগে
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য।’
এই আগুন কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা নাশকতা কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্তের আগে আমি তো বলতে পারব না। তদন্তের পরে আপনাদের জানাব।’
৩৪৪ দিন আগে
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বৃহস্পতিবার ভোরে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে তা বাড়িয়ে প্রথমে ১৩ ও পরে ১৮ করা হলেও ভোর ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে আগুনের ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়েছে। নিউজ চ্যানেলগুলো দ্রুতই সরাসরি কভার করতে শুরু করে।
৩৪৪ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে হট্টগোল
সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি এবং কমিশন প্রধানের বক্তব্য ঘিরে হট্টগোল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ের একপর্যায়ে কমিশন প্রধান ছাত্র প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানকে বক্তব্য দিতে বলেন।
এ সময়ে মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আমি এক-দেড় মাস ধরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের কথা শুনেছি, জনগণের কথা শুনেছি। এতে আমার একটি উপলব্ধি এসেছে যে, জীবনে আর যাই করি, বিসিএস দেব না। একজন উপসচিব, যুগ্ম-সচিব ও ডিসি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে আচরণটা করে... তাদের যে আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট বলি, তারা আসলে পাবলিক সার্ভেন্ট না, তারা হচ্ছেন তাদের সিনিয়রদের সার্ভেন্ট। তারা এতটা হীনম্মন্যতায় ভোগেন যে তারা কাজ করবে কী, আমি জানি না। এই হীনম্মন্যতা দেখে আমার বিসিএস দেওয়ার ইচ্ছা চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে খুব আশাহত হয়েছি যে, আপনারা (সাংবাদিক) অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক জায়গা থেকে কথা বলেছেন, অনেক ভালো কথা বলেছেন। আপনারা যখন কথা বলছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তখন জনপ্রশাসন সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় একটু চিন্তা-ভাবনা করে পড়াশোনা করে আসার দরকার ছিল। সেই জায়গায় একটু ঘাটতি দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: লাল-সবুজে সাজলো পোল্যান্ডের স্লাসকো দাবড়োভস্কিয়েগো সেতু
তখন সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘কি ঘাটতে মনে হয়েছে আপনার?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করার দরকার ছিল, তা হলো- এই ৫০ বছরে স্যাররা বললেন যে ২৩টি সংস্কার কমিশন হয়েছে, সেই কমিশনগুলো কেন ইফিশিয়েন্টলি কাজ করতে পারেনি?’
তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, ‘এগুলোর বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে। তখন অনেক সাংবাদিক দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে থাকেন। তখন মেহেদী হাসান বলতে থাকেন, প্লিজ আমার কথা শুনুন; আমার বাক্য আমাকে শেষ করতে দিন।’
কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে তিনি আর কোনো কথা বলতে পারেননি। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সাংবাদিকরা দাবি জানাতে থাকেন।
এরপর কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন একজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করছেন, যিনি এখনও ছাত্র। তার সার্বিক পরিস্থিতি জানা সম্ভব নয়। সে জেল খেটেছে, জেল থেকে বের হয়ে এসেছে এবং এই আন্দোলন করেছে। আন্দোলন তো আপনারা-আমরা করিনি।’
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকরা একযোগে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, ‘এ কথা আপনি বলতে পারেন না। আমরা আন্দোলন করেছি। আমাদের সহকর্মীরা আহত-নিহত হয়েছেন। আমরা কেউ কেউ বাসায় ঘুমাতে পারিনি। অনেকে জেল খেটেছেন।’
বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের হল্লা ছাপিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও মুয়ীদ চৌধুরী অনেকক্ষণ তা বলতে পারেননি।
পরে কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন কভার করতে গিয়েছিলেন এবং সেজন্য আপনারা পুলিশের গুলির সামনে ছিলেন; আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন।’
এরপর আবারও সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে যান। তারা বলেন, ‘আপনার এই কথারও প্রতিবাদ জানাই। কভারের বাইরেও আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম।’
এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি কিছু নাই করে থাকেন, তবে সারা বিশ্ব কীভাবে এই আন্দোলনের কথা জানল? অভ্যুত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এগিয়ে, কিন্তু এ আন্দোলনে তাদের কী ভূমিকা ছিল? শেষের দিকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা আমরা নিতে পারছি না।’
এরপর আবার মেহেদী হাসান কথা বলতে গেলে সাংবাদিকরা বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চান, তারপর কথা বলবেন। তখন মেহেদী হাসান বলেন, আমার শব্দ চয়নে আপনারা যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত।’
এরপর তিনি বলেন, ‘৮০ বছরে আমাদের চারটি বড় বড় বিপ্লব হয়েছে। এই চারটি বিপ্লব পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তনটা হয়নি। ২০২৪-এ আন্দোলনের মাধ্যমে যে পরিবর্তনটা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলো হয়েছে, এই কমিশনগুলো কেন এক্সক্লুসিভ এবং আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে, এই কমিশনটা কেন আগের ২৩টি কমিশনের মত নয়- আমার প্রশ্নটি ছিল ওই জায়গায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া- এ দেশগুলো প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশ কেন ওই জায়গাটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না- ওই জায়গাটায় প্রশ্ন করা হয়নি, আমি সেটা বলতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে দেখাই প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন’
৩৫২ দিন আগে
সচিবালয়ের কর্মচারীদের ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত
৯ দফা দাবিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ের কর্মচারীদের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ভূমি সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে-কমিশন গঠনের আগে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদনাম পরিবর্তন ও পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সাংবাদিকদের বাদিউল কবির বলেন, জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন। দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমরা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতির দাবিতে একট্টা হচ্ছেন সচিবালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তারা
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মচারি আছেন দুই হাজারের ওপরে। দীর্ঘদিন তারা বেতন ও পদোন্নতি-বঞ্চিত ছিলেন। তাদের ৯ দফা যে দাবি, সেগুলোর কোনোটিই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদী।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, সচিবালয়ের কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে তাদের এসব দাবি পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
৯ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (পিও)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি পূরণ না হলে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন: হামলার গুজবে সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৩৬৮ দিন আগে