এডিসি
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
মাগুরায় এডিসির ঝুলন্ত ও কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পৃথক ঘটনায় মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ এবং পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে এডিসি লাবনী আক্তারের ওড়না পেঁচানো লাশ এবং মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কেএমপির এডিসি লাবনী আক্তার। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এস এম ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাবনী ছুটিতে ছিলেন। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি শেষে ব্যারাকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন মাহমুদুল হাসান। তার বাড়ি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায়।
মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরা এসেছিলেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীতে সড়ক দর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত