সাশ্রয়
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিসা’ ও ‘মাস্টারকার্ডের’ মতো আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে স্থানীয় মুদ্রা কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কার্ড চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতায় এই ৩ ব্যাংককে টাকা পে কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ' ব্যবহারের মাধ্যমে 'টাকা পে' জাতীয়ভাবে একই সেবা প্রদান করবে।
প্রাথমিকভাবে, কার্ডটি দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘টাকা-রুপি’ কার্ড চালু করবে যা প্রতিবেশি দেশ ভারতে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়।
এই মাধ্যমগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ কার্ড 'টাকা পে' একই সেবা দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে। কারণ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সার্ভিস চার্জবাবদ অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে।
এই কার্ডের নিরাপত্তার জন্য ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন সব ব্যাংকের কার্ডে বাড়তি নিরাপত্তাসহ নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইএমভি প্রযুক্তির সঙ্গে টাকা পে কার্ডও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস ভিত্তিক কনসালটেন্সি ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও তাদের কারেন্সি কার্ড রয়েছে। ভারতের কার্ড 'রুপি', পাকিস্তানের 'পাকপে', শ্রীলঙ্কার 'লঙ্কাপে', সৌদি আরবের 'মাদা'।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টাকা পে'র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রাহক টাকা পে কার্ড ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
প্রতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ‘জাদুকরী সেভিংসে, সবই কিনুন দারাজে’ ট্যাগলাইন নিয়ে শুরু হলো ব্র্যান্ড নিউ ক্যাম্পেইন 'দারাজ-এর চেরাগ'।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ও প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট এবং বিভিন্ন ডিল অফার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
৪ থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত, 'দারাজ এর চেরাগ'-এ গ্রাহকরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
যার মধ্যে থাকছে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি শিপিং, ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হট ডিল, প্রথম বারের অনলাইন পেমেন্টে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার এবং দারাজ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার।
এছাড়াও দারাজ ক্লাবের সদস্য নয় এমন গ্রাহকদের জন্য থাকছে এক দশমিক দুই গুণ এবং সদস্যদের জন্য এক দশমিক পাঁচ গুণ কয়েন বৃদ্ধির মতো সুবিধা।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার এবং মিস্ট্রি বক্সও জিততে পারবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, 'গ্রাহকদের মাসিক বাজেট বরাদ্দ করার গুরুত্ব আমরা বুঝি। সেজন্যই আমরা তাদের মাসিক কেনাকাটার খরচ কমানোর জন্য 'দারাজ-এর চেরাগ' ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগে আমাদের গ্রাহকরা আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাজেটের মধ্যেই করতে পারবেন।'
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে ছাড় উপভোগ করবেন, যেমন গ্রোসারি, পুরুষ এবং নারীদের ট্রেন্ডি ফ্যাশন আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য হোম অ্যান্ড লিভিং আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বিউটি এসেনশিয়ালস আইটেম, পছন্দের মেকআপ আইটেম এবং আরও অনেক কিছু।
দারাজ-এর চেরাগ ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য শুধু গ্রাহকদের মাসিক সঞ্চয়েই সাহায্য করা নয়, এর পাশাপাশি তাদের একটি আনন্দময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য শপিংমল, সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, মার্কেট ও স্থাপনা রাত আটটায় বন্ধ করতে বলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এছাড়া খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা যাবে।
সোমবার ডিএসসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিনেমা হল ও চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
এছাড়া, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতাল সংলগ্ন নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত আটটার মধ্যে শপিংমল ও কাঁচা বাজার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়য়ের মহাপরিচালক (প্রসাশন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রাত আটটার মধ্যে দোকানপাট, শপিং মল, খাবারের দোকানসহ স্থাপনাগুলো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও ২০ শতাংশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো।’
তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত