ক্ষমতাসীন দল
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের অর্থ লুটপাটে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটগুলো। চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ ও মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এই পিক মৌসুমে এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাছ-মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও আক্ষেপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দরিদ্র মানুষ এখন মাংস ও অন্যান্য মাছকে মেন্যুর বাইরে রেখে বাজার থেকে কাটা পাঙ্গাস মাছের টুকরো কিনছেন। ‘নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা আজ কী ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ দিয়েছি। মানুষ খাওয়ার জন্য মুরগির চামড়া ও পা কিনছে।’
রিজভী আরও বলেন, সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা না করে অবৈধভাবে কয়েকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির উপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় ফেলে বাড়িওয়ালারা জ্যামিতিক হারে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থীর সম্পদের যে ঘোষণা দেখানো হয়েছে তা আলাদিনের প্রদীপের গল্পের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব, কারণ এটি কেবল বিরোধী দলের নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিপীড়ন ও হয়রানির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আসন্ন একদলীয় ও নাটকীয় নির্বাচনে তাদের (আওয়ামী লীগের) মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ডামি ও সুবিধাভোগী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হলফনামা আরবি রূপকথার বিখ্যাত আলাদিনের চেরাগের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থী তাদের হলফনামায় বিদেশের উঁচু এলাকায় বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট দেখিয়েছেন এবং ডুপ্লেক্স সহ আরও অনেক কিছু তাদের হলফনামায় প্রমাণিত হয়েছে যে তারা স্বর্গে বাস করছেন।
রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মন্ত্রী এমপিরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গত ১৫ বছরে বিপুল সম্পদ ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও অস্বাভাবিক ধনী হয়েছে।’
রিজভী বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ রাজনীতিবিদদের কোনো ক্ষতি নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই, লোকসানের ঝুঁকি নেই। তারা যে ব্যবসাই করুক না কেন, তারা শুধু মুনাফা অর্জন করে। তাদের কেউই শেয়ার ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হননি। কৃষি ও মাছের ব্যবসায়ও তারা অনেক বার লাভবান হয়েছে। স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ উপার্জন করে স্বামীর ব্যবসা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আওয়ামী লীগের ম্যাজিক স্টিকের ছোঁয়ায় সম্পদের পাহাড় ও গাড়ির বহর গড়ে তুলেছেন। ১০ বছর আগে যেসব মন্ত্রীর বার্ষিক আয় এক লাখের নিচে ছিল, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এখনও তাদের মূল সম্পদের খুব কম সম্পদ দেখিয়েছেন। তারা তাদের হলফনামায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ, বিদেশে সেকেন্ড হোম এবং বিদেশে পাচার করা অর্থের কথা উল্লেখ করেননি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তাদের লক্ষ্য লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। হলফনামায় লুটেরাদের সামান্য সম্পদই বেরিয়ে এসেছে। সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদের সম্পদের অনেক তথ্য গোপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে দুদক নীরব, কারণ তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে। আওয়ামী লুটেরাদের সম্পদ দেখে তারা অন্ধ হয়ে যায়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দুদককে একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে কারণ এর বর্তমান কাজ হচ্ছে বিএনপি নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের খুঁজে বের করা।’
তিনি দাবি করেন, বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের জনসেবকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও ক্ষমতাসীন দল এখন এক সত্তায় পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছেন।
রবিবার জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের মনে রাখা উচিত যে তারা জনসেবক ও তাদের উচিত প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি দলের মানুষের সঙ্গে সমান আচরণ করা।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত তারা এখন সমাজে সম্মানিত এবং সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিরা অযোগ্য ও মূর্খ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন তাদের সম্পদ ও জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না এবং তারা এই মেশিন ব্যবহার করে ভোট দিতে চায় না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির আধুনিক মেশিন।
এছাড়া দেশের মানুষ মনে করে সরকার ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন করতে চায় ফলাফল কারচুপির জন্য।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলাপের কথা স্মরণ করে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি দল ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।
তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশন অকার্যকর ও অকেজো ইভিএম চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল কোনো কারচুপির নির্বাচন দেখতে চায় না এবং এ ধরনের নির্বাচনে জিততেও চায় না।
আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
আ.লীগের নতুন কমিটির মধ্যে বিভাগীয় দায়িত্ব বণ্টন
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে বিভাগীয় দায়িত্ব বণ্টন করেছে।
রবিবার দলটি নেতাদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবুল আলম হানিফকে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের, দীপু মনিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের, হাসান মাহমুদকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুর আওয়ামী লীগের গণসংস্কার চলছে
সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আহমেদ হোসেনকে সিলেট বিভাগ, বিএম মুজাম্মেল হককে খুলনা বিভাগ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে চট্টগ্রাম বিভাগ, এসএম কামাল হোসেনকে রাজশাহী বিভাগ, মির্জা আজমকে ঢাকা বিভাগ, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে এবং বরিশাল বিভাগ দেয়া হয়েছে। আর সুজিত রায় নন্দী পেয়েছেন রংপুর বিভাগ।
দলটি ২৪ ডিসেম্বর ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে টানা ১০তম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে।
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
যুব মহিলা লীগ কি পাবে নতুন নেতৃত্ব?
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মহিলা যুব শাখার উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ নেত্রীরা গত ২০ বছরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সবার প্রশ্ন একটাই- এই সম্মেলনে কি নতুন নেতৃত্ব আসবে?
নাজমা আক্তার ও অপু উকিল ২০০৪ সাল থেকে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ দুটি পদে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই ইউএনবিকে তাদের আক্ষেপ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন।
এমন বাস্তবতায় পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংগঠনটির তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এদিকে এই সম্মেলনের মাধ্যমে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আশা করছেন দলটির নেতারা।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী নেতারা এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে শীর্ষ দুই পদে নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বলেন, ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তিনি যা ভালো মনে করবেন তাই হবে। তিনি আমাকে যেখানে কাজ করতে দেবেন আমি সেখানে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ধারাবাহিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্মেলন হচ্ছে। যুব মহিলা লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার তৈরি সংগঠন। জন্মলগ্ন থেকেই আমি সংগঠনের সঙ্গে আছি। তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের অভিভাবক। আমরা তার ওপর ভরসা ও আস্থা রাখি। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা সেটাই মেনে চলবো। আমাদের প্রার্থী হওয়া মুখ্য বিষয় না। সবকিছুই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, যুব মহিলা লীগের সৃষ্টি হয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীদের জন্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমন একটা সময়ে সংগঠনটি তৈরি করেছেন যখন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নারীদের ওপর পাশবিকতা চলছিল। রাজপথের যোদ্ধা হিসেবে তখন তিনি যুব মহিলা লীগ তৈরি করেন। আমরা চাই, নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করেছে তারা এবং তারুণ্য প্রাধান্য পাবে। তবে যুব মহিলা লীগের নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) যে সিদ্ধান্ত নিবেন, আমরা সবাই সেটা মেনে নিব।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সফাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে জাকিয়া নূর লিপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
আরও পড়ুন: তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া যুব মহিলা লীগ থেকে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন- সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সহ-সভাপতি শিরিনা নাহার লিপি, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, আলেয়া সারোয়ার ডেইজী ও আফরোজা মনসুর লিপি।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠাকালে যুব মহিলা লীগের ১০১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির প্রথম সম্মেলনে নাজমা আক্তার সভাপতি ও অপু উকিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৩ বছর পর যুব মহিলা লীগের দ্বিতীয় ও শেষ সম্মেলন ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নাজমা আক্তার সভাপতি ও অপু উকিল সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
কসোভায় মেয়র নির্বাচনে রাজধানী হারাল ক্ষমতাসীন দল
প্রথম রাউন্ডে কেন্দ্র-ডান বিরোধী দলগুলোর আধিপত্যের পরে দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পৌরসভা নির্বাচনে রাজধানীর মেয়র পদে হেরে রবিবার কসোভোর শাসক দল একটি ভারী ধাক্কা খেয়েছে।
ছোট বলকান দেশটির প্রায় ১০ লাখ ২৬ হাজার মানুষ ৩৮টি পৌরসভার মধ্যে ২১টিতে মেয়র নির্বাচন করার জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট দেয়ার যোগ্য ছিল। রবিবার প্রাথমিক ভোটার ছিলেন ৩৮ শতাংশ।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছোট ছোট ঘটনা ঘটলেও তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেনি।
ক্ষমতাসীন বামপন্থী সেল্ফ-ডিটারমিনেশন পার্টির প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি প্রিস্টিনায় নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় হেরেছেন। আর এ আসনে তিনি তার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরবেন ভিটিয়াকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তবে দলটি অন্য চার কমিউনে জয় পেয়েছে যা ২০১৭ সালের চেয়ে একটি বেশি।
কসোভোর মধ্য-ডান ডেমোক্রেটিক লিগ প্রিস্টিনায় জয় পেয়েছে। এছাড়া দলটি ও এর সহযোগী জোট একসঙ্গে ২১টি মেয়র পদে জয়লাভ করেছে।
দুকাগজিন গোরানি নামে এক স্বাধীন বিশ্লেষক বলেন, ‘এ রকম পরাজয় ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের সামগ্রিক বৈধতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ হয়তো আগাম সংসদ নির্বাচনের আশা করতে পারেন। আগামী বছরের যে কোনো সময়।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাইডেন- শি ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা পুনর্নির্বাচিত
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য একই: রাষ্ট্রদূত ভিয়েত চিয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেছেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্দান্ত এবং উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যতে একই ধরনের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের নিজেকে ‘হাস্যকর’ চরিত্রে পরিণত করেছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ‘মনগড়া’ মন্তব্য দিয়ে নিজেকে মানুষের কাছে একটি হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছেন।
ত্রাণ সহায়তার জন্য হাহাকার করছে দরিদ্র মানুষ: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা সরকারি ত্রাণ সহায়তা ‘হাতিয়ে’ নেয়ায় করোনাভাইরাসে সারা দেশে চলমান কর্মবিরতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষেরা বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য না পেয়ে হাহাকার করছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দুদক ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত, কেননা কমিশন ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়।