দায়িত্বশীল
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সুস্থ স্বাভাবিক তরুণদের চেয়ে প্রতিবন্ধীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল।
‘তারা (প্রতিবন্ধীরা) আমাদের ভাই ও বোন এবং তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (প্রতিবন্ধীরা) তাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও দায়িত্বশীলতা দিয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে: পলক
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে চাকরি মেলার উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বিশেষভাবে সক্ষমদের বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো প্রতিবন্ধী শিশু ঘরে থাকবে না। তারা পরিবার বা দেশের বোঝা হবে না। প্রতিবন্ধীদের একটু সহযোগিতা ও সুযোগ করে দিলে তারা দেশের সম্পদে পরিণত হবে এবং বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে নেতৃত্ব দেবে।’
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
পলক বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কেবল চাকরি মেলা হবে না, তারা উদ্যোক্তা হয়ে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।
তিনি ‘এম্পোরিয়া (emporia.bcc.gov.bd)’ পোর্টাল ব্যবহারের আহ্বান জানান, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ঘরে বসেই দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। একই সঙ্গে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালককে এনজিওতে চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান এবং সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মোমেনের
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যাতে আর পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এর মধ্যে আমরা দেশে ১৫ লাখ চাকরি দিতে পারি। বাকি ৫ লাখ বিদেশে কাজ করতে যায়। আমরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের ঐক্য বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট ও দেশের কল্যাণে যথাসাধ্য অবদান রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকর্পোরেটেডের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটের জনগণ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মালিক শ্রমিক উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
বুধবার ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে সিপিডি এবং খ্রিষ্টান এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত ‘রিসেন্ট আরএমজি গ্রোথ হোয়াট লিসনস উই লার্নড এবাউট ডিসেন্ট এমপ্লয়েমেন্ট?’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি আমাদের তৈরি পোশাক খাতের গ্রোথ বেশ ভাল। এ ধারাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তৈরি পোশাক খাতের অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এজন্য আরও কাজ করার সুযোগ আছে। এছাড়া একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকেও এ সব ক্ষেত্রে আরও পরিস্থিতির উন্নতির তাগাদা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, কারখানায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দর-কষাকষির জন্য ট্রেড ইউনিয়ন থাকা দরকার। আমরাও সেটা চাই। তবে এ সকল ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের শিক্ষিত হতে হবে। তাদের শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ বুঝতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে হবে, প্রতিষ্ঠানের প্রতি দরদ থাকতে হবে। জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ, সুযোগ, সুবিধা দেখার দায়িত্বও কারখানার মালিকের। উভয়ে মিলেমিশে কাজ করলে শোভন বা ডিসেন্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে তুলতে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে। ফ্যাক্টরিগুলোকে কর্মবান্ধব করে তুলতে ব্যয় বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় তৈরি পোশাকের বিক্রয় মূল্য বাড়ছে না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে মূল্য কমছে। সে বিষয়গুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে। সরকার ফ্যাক্টরির মালিক এবং শ্রমিকদের ভাল চায় এবং প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পের প্রতি কর্মীদের আস্থারও উন্নতি হয়েছে। উভয় পক্ষ মিলে এ সেক্টরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের কাছে তুলে ধরলে, এগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি'র রিসার্স ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিপিডি'র চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান (ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে), শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মন্টু ঘোষ, বিজিএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কারস সলিডারেটি এর নির্বাহী পরিচালক মিসেস কল্পনা আাক্তার, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভ. এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর সিনিয়র ফেলো মিসেস মাহিন সুলতান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খ্রিষ্টান এইড বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিসেস নুজহাত জাবিন।
আরও পড়ুন: কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
চাল-গমের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী