রূপান্তর
সব ডাকঘর স্মার্ট সার্ভিসে রূপান্তর করা হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকার স্থানীয় ডাকঘরসমূহ স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এরফলে ডাকঘরসমূহ ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা দেবে। এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ এসব স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিসেবাসহ সব ই-গভর্নমেন্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করব।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা শুরু করেছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আমরা সবাই মিলে রেলকে একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব।
রেলওয়ের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আরও সম্প্রসারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রথম কর্মদিবসে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রেলে প্রাণহানি ঘটছে। সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো রেলের নিরাপত্তা জোরদার করে এই এসব ঘটনা দূর করে রেলকে নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হলে রেলের দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে, এছাড়া রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রেলের দখল করা জমি উদ্ধার এবং টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
রেলকে আরও এগিয়ে নিতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এরপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং সব মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চলমান কাজগুলো শেষ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ: ইয়াফেস ওসমান
দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শনিবার
দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় টার্মিনাল শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত সমস্ত ‘মেগা প্রজেক্টের’ মধ্যে অন্যতম আলোচিত।
উদ্বোধনের প্রস্তুতি হিসেবে বিমানবন্দরে চলছে মহড়া।
উদ্বোধনের দিন রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার করে ঢাকা ত্যাগ করবে। সেই ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংও করবে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনিশ মায়ের্স্ক গ্রুপের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহযোগিতায় উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি৩৭১ ফ্লাইটটি ইতোমধ্যে টার্মিনাল থেকে দু'বার উড্ডয়ন করেছে। যদিও সেখানে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য কাগজপত্রের কাজ সম্পন্ন হয়নি।
উদ্বোধনের আগে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় টার্মিনাল-৩ এর নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
মূল টার্মিনাল ছাড়াও আমদানি-রপ্তানি সুবিধা সম্বলিত কার্গো কমপ্লেক্সের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, কার্গো কমপ্লেক্সটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবারের সফট ওপেনিং- এর জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি চালু করা।
তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ এগিয়ে চলছে এবং আমরা নিশ্চিত যে নির্ধারিত সময়সীমার আগে টার্মিনালটি চালু হবে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম ইউএনবিকে বলেন, টার্মিনাল-৩ সফট ওপেনিংয়ের জন্য জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
টার্মিনাল-৩ এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর জন্য নতুন সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কর্তব্যরত কর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্বোধনের প্রস্তুতি হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন মহড়া চালিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।
টার্মিনাল ৩ একটি অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় যাত্রীদের অভিজ্ঞতা এবং পছন্দের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি ৩৭টি বিমান পার্কিং স্পেস দিয়ে শুরু হয়, যেখানে ইতোমধ্যে কিছু এয়ারলাইন্স দেখা গেছে। এর আগে সেগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে দেখা যায়নি।
২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ (যার মধ্যে ১২টি অক্টোবরে চালু হওয়ার কথা) এবং ১৫টি সেলফ-সার্ভিসসহ ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার ঢাকা ছেড়ে যাওয়া বা উড়ে যাওয়া যে কোনো ব্যক্তির জন্য একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।
নিচতলায় ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, দ্বিতীয় তলায় ডিপারচার লাউঞ্জ ও বোর্ডিং ব্রিজ এবং বিস্তৃত শুল্কমুক্ত দোকান ও এক্সিট লাউঞ্জ থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল
টার্মিনাল ৩ সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে গেলে বার্ষিক ১ দশমিক ২০ কোটি (১২ মিলিয়ন) যাত্রীকে সেবা দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। বর্তমানে বিমানবন্দরটি বছরে ৮০ লাখ (৮ মিলিয়ন) যাত্রীকে সেবা দিতে সক্ষম।
একটি বহুতল গাড়ি পার্কিং সুবিধা, কাস্টমস হল, ভিআইপি এবং ভিভিআইপি যাত্রী এলাকা এবং একটি ট্রানজিট যাত্রী লাউঞ্জও টার্মিনালের অংশ।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি কর্পোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড সিঙ্গাপুরের রোহানি বাহারিনের নকশায় নির্মিত তিনতলা টার্মিনালের ফ্লোর স্পেস হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। বাহারিনের সিভিতে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের প্রশংসিত তৃতীয় টার্মিনাল এবং আহমেদাবাদের নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি করিডোর এবং ১ হাজার ৩৫০ টি পার্কিং স্পেস সহ মাল্টি লেভেল কার পার্কিং বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন টার্মিনালে অটোমেটেড পাসপোর্ট কন্ট্রোল বা ই-গেট চালু করা হবে।
যাত্রীরা ই-গেটের মাধ্যমে নিজেই ইমিগ্রেশন করতে পারেন বা ৫৬টি প্রস্থান ইমিগ্রেশন কাউন্টারের মধ্যে যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।
একটি আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং উন্নত নিরাপত্তা স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করবে।
টার্মিনালে মুভি লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট, এয়ারলাইন লাউঞ্জ এবং বিশ্বমানের শুল্কমুক্ত দোকানও থাকবে।
ওয়াই-ফাই, মোবাইল চার্জিং, প্রার্থনার জায়গা এবং একটি মিটার্স এবং গ্রিটার প্লাজার মতো সুবিধাগুলো ভালো পরিমাপের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া মায়েদের জন্য ব্রেস্টফিডিং বুথ, ডায়াপার চেঞ্জিং এলাকা, পারিবারিক বাথরুমসহ বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চাদের একটি ডেডিকেটেড খেলার জায়গা থাকবে।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ইউনেস্কো, প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে; যাতে সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক এডিজি, এমএস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং সেনেগাল, বেনিন এবং ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার যত প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সহায়তা করতে হবে।
তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সাক্ষরতা এই সমস্ত কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান যে, ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি দর্শকদের জানান যে, এটি সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ভালো অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, আমরা জীবনব্যপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার উপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ এবং জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।
আরও পড়ুন: স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
কক্সবাজারকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরের ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান আগামী মাসে শুরু হতে পারে
পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট শহরে রূপান্তরের জন্য ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান আগামী মাসে শুরু হতে পারে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কক্সডিএ)।
কক্সডিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার শনিবার তার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কক্সবাজারকে স্মার্ট শহরে রূপান্তরের জন্য ২০২৩ সাল থেকে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে আমরা কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষারও মতবিনিময় সভায় কথা বলেন।
আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি বিশদ এলাকা পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা যাবে না: শাহরিয়ার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক অখণ্ড সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অক্ষত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
কক্সডিএ চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য একটি নিবেদিত পর্যটন আকর্ষণ এবং দেশের দীর্ঘতম ও একমাত্র সামুদ্রিক রানওয়েসহ একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলার মাধ্যমে কক্সবাজারকে পর্যটন ও বিমান চলাচলের বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চান।
তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছেন।
এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত নীতি পরিকল্পনা প্রণয়ন, কক্সবাজারের সকল উপজেলা ও সৈকত এলাকার বিশদ এলাকা পরিকল্পনা (৬৯০ দশমিক ৬৭ বর্গ কিলোমিটার) এবং পর্যটন ও আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কক্সবাজারের জন্য স্মার্ট সিটি মডেল প্রণয়ন, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, ইউটিলিটি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সেক্টরাল প্ল্যানও মাস্টারপ্ল্যানের মূল বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১-কে সমর্থন দিতে কক্সবাজার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজার থেকে সাবরাং ও কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পর্যন্ত ক্যাবল কার স্থাপন, সমুদ্র সৈকতে ওয়াটারস্পোর্ট ও অন্যান্য বিনোদন সুবিধা চালু, ইনডোর বিনোদন পার্ক, কক্সবাজার মেরিনা বে রিসোর্ট, কক্সডিএ কনডমিনিয়াম প্রকল্প, মহেশখালীতে ইকো-রিসোর্ট, জীবন রক্ষা ও সামুদ্রিক পর্যটন বৃদ্ধি, ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রোডম্যাপ প্রণয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, সেন্ট্রাল সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) স্থাপন, পানি শোধন পরিকল্পনা এবং সি-প্লেন, ক্রুজ শিপ এবং হেলিকপ্টার পরিষেবা প্রবর্তন এবং সমন্বিত কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন।
কক্সডিএ চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন যে তারা কক্সবাজারে সেন্ট্রাল এসটিপি স্থাপনের জন্য কাজ করছেন, অন্যথায় বঙ্গোপসাগর একটি ডেড জোন হবে এবং বিপুল পরিমাণ পয়ঃনিষ্কাশন সমুদ্রে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ‘একবার প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে এগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে।’
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি, গোলদিঘী, বাজার ও পুকুর সংস্কার ও পুনর্বাসন এবং কক্সবাজারের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
কক্সডিএ-এর চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলো: কক্সবাজারের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, মহেশখালীতে ভাস্কর্য ও আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, কক্সবাজারের প্রধান সড়ক (হলিডে ক্রসিং-বাজতঘাটা-লারপাড়া বাসস্ট্যান্ড) সংস্কার ও সম্প্রসারণ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে। এছাড়া লাল ফিতায় এখন আর ফাইল চলে না, ফাইল চলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এই বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদের শুদ্ধাচার, এপিএ, উদ্ভাবন ও শ্রমসাধ্য কাজের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় প্রশাসনিক কাজ কর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত হয়েছে।
মন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দক্ষতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রশাসন সচল-সজিব না হলে সরকার সচল-সজীব থাকে না। আমি এখন প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি ফাইল ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিস্পত্তি করছি। এতে কাজের গতি যেমন বেড়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রেও অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আপনারা যতবেশি উদ্ভাবনী হবেন, তত বেশি সরকার ডিজিটাইজেসনে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহস আপনাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তিনি ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণে অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি কোভিডকালে মানুষের অচল জীবনযাত্রা সচল রাখতে ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে সংস্থা পর্যায়ে বিটিসিএল, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে আকস্মিক, কঠোর শ্রমবাধ্য ও কৃতিত্ব পূর্ণ বিশেষ ধরণের কাজের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২৭জন কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ফরাসউদ্দিন
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে অনেক কিছুই অর্জন করেছে। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদনে, মানব উনয়ন সূচকে সন্তোষজনক অগ্রগতি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ঊর্ধ্বগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ অনেক ক্ষেত্রেই অনুকরণীয়। আগামী দিনগুলোতে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সে লক্ষ্যেই আমাদের সকলকে কাজ করে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথম বারের মতো ‘বাংলাদেশ এ্যাট ৫০: অ্যাচিভমেন্টস, প্রসপেক্টস এন্ড চ্যালেঞ্জে‘ শীর্ষক শিরোনামে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কি, ভারত, মঙ্গোলীয়া ও ডেনমার্কসহ ৮টি দেশের শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরাসউদ্দিন বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ অধিক জনশক্তি বহুল দেশ। বিশ্বের মধ্যে জনশক্তি বহুল দেশ খুব কম আছে। তাই এ দেশের জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নজিরবিহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যেভাবে ভেবেছেন, এগিয়ে নেয়ার চিন্তা করেছেন বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মেলনের আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষ্ঠানের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান স্বাগত বক্তব্য ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের শতাধিক গবেষণাপত্র ১৪টি সশরীর সেশনে এবং দুটি ভার্চুয়ালি সেশনে উপস্থাপিত হবে। এছাড়া সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম, তবুও আমরা উদ্বিগ্ন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ