জগন্নাথ হল
ঢাবিতে জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সঞ্জু বড়াইক নামে এক শিক্ষার্থী হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় তিনি জগন্নাথ হলের ১০ তলা বিশিষ্ট রবীন্দ্র ভবনের ছাদ থেকে নিচে লাফ দেন বলে জানিয়েছেন তার হলের সহপাঠীরা।
নিহত সঞ্জু ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এবং জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। তার বাবা-মা চা–শ্রমিক।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, ভোর ৪টা ১ মিনিটে সঞ্জু হলের পূর্ব পাশের গেট দিয়ে হলে প্রবেশ করেন। তারপর রবীন্দ্র ভবনের লিফটে করে ছাদে যান। এরপর ৫টা ৩৬ মিনিটে তিনি ভবনের পশ্চিম পাশে, পুকুরপাড়ের রাস্তার দিকে লাফ দেন। পরে হলের প্রহরীরা রিকশায় করে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
প্রাধ্যক্ষ আরও জানান, সঞ্জু গত কয়েক দিন ধরে প্রেমঘটিত কারণে কিছুটা মানসিক কষ্টে ছিলেন এবং গত দুই দিন হলে ছিলেন না। তিনি বকশীবাজার এলাকায় সরল নামের এক বাল্যবন্ধুর কাছে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছয় বন্ধুর পাঁচজন পেল জিপিএ ৫, আরেকজনের আত্মহত্যা
দেবাশীষ পাল আরও জানান, সরল জানিয়েছেন গতরাতে তারা একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে সরল কল পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, সঞ্জু তার পাশে নেই এবং পরে আত্মহত্যার খবর পান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তার সহপাঠীরা জানান, আত্মহত্যার আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সঞ্জু লেখেন—‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি। উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয়নি। আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি। নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কারণে কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে, সে দায় একান্তই আমার। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
১৬০ দিন আগে
জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। তারা হলেন- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তারা।
সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দুই উপদেষ্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: আজ সরস্বতী পূজা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যরা। এবার জগন্নাথ হলের মূল পূজামণ্ডপের বাইরে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আরও ৭২টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়।
৩২১ দিন আগে
ঢাবির জগন্নাথ হল ভবন থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের দশম তলা থেকে পড়ে এক আবাসিক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ভবন থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লিমন কুমার রায় (২০)।’
লিমন কুমার রায় রংপুর জেলার বাসিন্দা এবং ঢাবির ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) বিভাগের ছাত্র।
সে জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ৪০২১ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
হল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের দশম তলা থেকে ঝাঁপ দেয় ওই শিক্ষার্থী। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবন থেকে পড়ে যান লিমন নামের এক ছাত্র। শব্দ শুনে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
তবে তার মৃত্যু আত্মহত্যা কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১১২৪ দিন আগে
জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ হল তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অমিত সরকার (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি যশোরের বালিয়াঘাট গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
জানা যায়, অমিতকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রাবাসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অমিতের রুমমেট সজিব মিত্র বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ হলের ৪০১১ নম্বর রুমে থাকি। গতকাল রাত দেড়টার দিকে অমিত ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা তাকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করলে সে কোনো সাড়া দেয়না। পরে অন্য রুমমেটদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
১১৮৮ দিন আগে