অস্থিরতা
টানা দুইদিন বাড়ার পর কমল স্বর্ণের দাম
টানা দুইদিন দাম বাড়ার অস্থিরতার মধ্যে আজ কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালোমানের স্বর্ণের প্রতিভরিতে কমেছে ৫ হাজার ৪০১ টাকা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
এর আগে মঙ্গলবার(২২ এপিল) ভালো মানের প্রতিভরি স্বর্ণে দাম ৫ হাজার ৩৪৩ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। আর সোমবার (২১ এপ্রিল) বাড়িয়েছিল৪ হাজার ৭১৩ টাকা।
আরও পড়ুন: ভরিতে ১৭৭৩ টাকা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় স্বর্ণের দাম
নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতিভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতিভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।
একইভাবে রূপার দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেট এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৭১৮ টাকা। ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রূপার দাম পড়বে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।
২২৫ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধা পাবে, তা দেখার বিষয়: তারেক রহমান
বিএনপি একটি ‘রাজনৈতিক’ দল উল্লেখ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাইব, এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদেরকে চিন্তা করে দেখতে হবে। এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে আয়োজিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনাকে যদি সফল করতে হয়, তাহলে সবচাইতে উত্তম পন্থা হচ্ছে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে সেই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়ন করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের কাছে ভোট চাওয়া ও নির্বাচন করা। কিন্তু আজকে আমরা দেখছি, কিছুসংখ্যক ব্যক্তি, সংগঠন হঠাৎ করে কথায় কথায় বলে ওঠে—বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন চায়; বিএনপি নির্বাচন ছাড়া কিছু বোঝে না।
‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমরা যেহেতু জনগণের শাসনে বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাস করি; আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, স্বাভাবিকভাবে আমরা নির্বাচন চাইব, জনগণের কাছে ভোট চাইব। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে, কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে, এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি দেশে আর কোনো অস্থিরতা দেখতে চায় না জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা যদি পত্রপত্রিকা খুলি এবং দেশের বিভিন্ন দিকে তাকাই, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু অস্থিরতা লক্ষ করছি।... আজকে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, সেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গঠিত হবার পর থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে এসেছি, আমরা এই সরকারকে সমর্থন করতে চাই। আমরা চাই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কারণ বাংলদেশের মানুষ মনে করে, জনগণের অধিকার রক্ষা করবার জন্য যা যা দরকার, তা তারা করবেন। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে এই অন্তর্বর্তী সরকার, যা পলাতক স্বৈরাচার বহু বছর আগে রাতের আঁধারে অস্ত্রের জোরে লুণ্ঠন করেছিল।’
‘কিন্তু গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভেতরের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।… আমরা দেখছি অর্থনীতিতে অস্থিরতা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিতে অস্থিরতা, প্রশাসনে বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা।’
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আবারও পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কারণ এই সরকার যত স্মুথলি, যত সুন্দরভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে, আগামী দিনে এই দেশ ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যাত্রা তত স্মুথ হবে। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষ যে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে, সে নিরপেক্ষতা তারা বজায় রাখবে। বিএনপিও দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অনেকে।
২৮২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা
দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য বড় খেলোয়াড় ও রেগুলেটরদের দায়ী করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এজন্য বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। এর পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। এ বিষয়টি প্রচার করা দরকার। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আর্থিক খাতের সঠিক তথ্য তুলে ধরাই ব্যাংকিং অ্যালমানাকের মূল উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে। এতে তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া, যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা বা গবেষণার জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে, তা-ই যেন প্রকাশ করা হয়। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”
“আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়; বলেছি, থাকো।”
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। এগুলোর ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, কয়েকদিন পরই এগুলো ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে; আবার নীতিনির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।’
তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে। তারা বোঝাতে চান, আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি- আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। যদি আরও সুসংহতভাবে তথ্য ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা) করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।’
৩৪৮ দিন আগে
খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে ছাত্র সংসদের একাংশ।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের ‘ব্যক্তি পূজা’র বিরোধিতা করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে ম্যুরালটি ব্যক্তি পূজার নামান্তর।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এটি কোনো ম্যুরাল নয়, এটি তার ছবি সম্বলিত একটি ফলক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফলক বা ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বুধবার তারা ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে একটি আবেদনে গণ সাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবেন। রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগসহ এই আবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাশাপাশি দাবি মানা না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, 'আমরা সম্প্রতি জেনেছি যে, ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১১ ফুট লম্বা ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আত্মপ্রচারের জন্য ম্যুরাল স্থাপনের রীতিকে জনপ্রিয় করে তোলার যে পথ হাসিনা দেখিয়েছিলেন প্রশাসন সেই পথেই হাঁটছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ধরনের ব্যক্তি পূজাকে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ফরহাদ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের সূর্ণা আক্তার রিয়া ও ইংরেজি বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সিফাত হাসান সাকিব।
জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, 'প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুধু একটি ছোট ফলক থাকবে, তাতে ম্যুরাল থাকবে না। যার জন্য ফলকটি লাগানো হচ্ছে, তিনি যদি এই বিতর্ক সম্পর্কে জানতেন, তাহলে তিনি নিজেও কষ্ট পেতেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যুরাল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এটি কোনও ম্যুরাল হবে না, তবে কেবল একটি ছবি সম্বলিত একটি ফলক হবে।’
৪২২ দিন আগে
আশুলিয়ায় অস্থিরতা: ৩ কারখানাতে লুটপাট, ৫০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় আবারও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অন্তত ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
হামলা ও ভাঙচুর হওয়া তৈরি পোশাক কারখানাগুলো হলো- আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলন্স লিমিটেড, লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার মো. রেফাই সিদ্দিক বলেন, সকাল থেকেই কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর কিছু সময় পর ২০০ থেকে ৩০০ মাস্ক পড়া লোকজন হঠাৎ করে তিনটি কারখানায় একসঙ্গে হামলা করে। কারখানাগুলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা কারখানার ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, মেডিকেল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গাছের গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়াও কারখানা থেকে মুল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মেশিন লুটপাট করে বলে জানান রেফাই সিদ্দিক।
কারখানার ডিজিটাল মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বাড়ানো, বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানা ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়ায় শতাধিক কারখানার কার্যক্রম শুরু
বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
৪৫১ দিন আগে
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি জিম্মি: ব্যবসায়ী নেতারা
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের মহাসমাবেশ বানচাল হওয়ার একদিন পর গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিরোধী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল দেওয়া শুরু করেছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক খাতে ২০ দিনের হরতাল ও অবরোধের (২৯ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর) আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (প্রতিদিন ৬৫০০ কোটি টাকা)।
তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে দিনে ৬৫০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা বারবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক ক্ষতির কারণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।’
হরতাল-অবরোধের প্রচার-প্রচারণা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পুরোপুরি ব্যাহত করতে ব্যর্থ হলেও, এই অস্থিরতা পরিবহন খাতকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে এবং পণ্য পরিবহনকে ব্যাহত করেছে; যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি সরকার প্রত্যাখ্যান করায় বিরোধীরা রাস্তায় অবস্থানের আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব ডিসিসিআই সভাপতির
পরিবহন মালিকেরা জানায়, এ খাতের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। এ হিসেবে ২০ দিনের হরতাল-অবরোধে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ইউএনবিকে বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের ফলে আর্থিক ক্ষতি বহুমাত্রিক এবং আপনি এটি শুধু আর্থিক পরিসংখ্যানে হিসাব করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী দল ও বৈশ্বিক ক্রেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারপরে তারা তাদের ক্রয় আদেশ এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলো আরও সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল এলাকায় সরিয়ে নেয়।
থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘যখন একটি বড় বৈশ্বিক ক্রেতা একটি দেশ থেকে অর্ডার স্থানান্তর করে, তখন ছোট ক্রেতারাও তাদের অনুসরণ করে।’
ড. দেবপ্রিয়র কথার প্রতিধ্বনি করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, একটি ক্রমবর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বৈশ্বিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি সেক্টরে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কারণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে আর্থিক লাভ বা ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীরা সব সময়ই আর্থিক লাভের জন্য বিনিয়োগের জায়গা সন্ধান করে। তারা নিরাপদ স্থানে বিনিয়োগ করতে জন্য পছন্দ করে।
বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পরিবহন খাতে। দূরপাল্লার আন্তঃজেলা বাসগুলো স্টেশনে অলস বসে আছে। অগ্নিসংযোগের ভয়ে সিটি বাসগুলোকে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। এতে অনেক পরিবহন শ্রমিক কর্ম ও বেতনহীন হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ গভীর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে: ড. দেবপ্রিয়
মহাখালী আন্তঃনগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ইউএনবিকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ গাড়ি ছেড়ে যায়। হরতাল-অবরোধের কারণে তা এখন দিনে ১০০-তে নেমে এসেছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, সপ্তাহে মাত্র দুই দিন বাস চালানোর ফলে শ্রমিকদের মজুরি ও জ্বালানি খরচ মেটানোটা আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যবসার মালিকরা বাস পরিচালনার খরচ ও ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাস চলাচল করে। মালিক ও শ্রমিকেরা মিলে প্রতিদিন ১ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা আয় করেন, গড়ে প্রায় ৪৫০০ টাকা।
তবে, এই আয় ৩২ দশমিক ৫০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। যার ফলে হরতাল-অবরোধের কারণে রাজধানীতে বাস চলাচলের জন্য দৈনিক ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে।
মাহবুবুর বলেন, সাধারণ পরিস্থিতিতে সারাদেশে প্রায় ২ লাখ দূরপাল্লার বাস ট্রিপে প্রত্যেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করে, যার ফলে দেশব্যাপী দৈনিক ২০০ কোটি টাকা আয় হতো।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২২৮টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা শুধু অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করে।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘটনাস্থল থেকে বা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেকে তথ্য পায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময়ে অগ্নিসংযোগের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, তবে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমকে সেগুলো জানানো হয়নি।
যেসব ঘটনার তথ্য জানানো হয় না, সেক্ষেত্রে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ, পরিবহন কর্মচারীরা নিজেরাই বা যাত্রী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার উপ-সহকারী পরিচালক বলেন, এক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
শাহজাহান বলেন, গত এক মাসে ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২১৭টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সবসময়ই অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করে: আহসান মনসুর
৭৩৪ দিন আগে
রাজনৈতিক অস্থিরতায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পর্যটন খাত
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের পর্যটন খাতের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটাসহ দেশের বেশিরভাগ জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে দর্শনার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে।
দেশব্যাপী বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর চলমান অবরোধ ও হরতালের কারণে ৯০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়ে যায়। একসময়ের ব্যস্ত হোটেল-মোটেলগুলো নজিরবিহীন শূ্ন্য হয়ে পড়েছে।
পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের অগ্রিম বুকিং বাতিল হওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহে দেড় হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে।
হোটেল-মোটেল মালিকরা জানান, অক্টোবরের আগে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ প্রতিদিন বুকিং হতো।
এছাড়া, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে নেমে মাত্র ৫-১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই মূলত স্থানীয়। কুয়াকাটা ও সেন্টমার্টিনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি: সেমিনারে বক্তারা
হোটেল ও মোটেল মালিকরা তাদের কর্মচারীদের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ব্যবসায়িক মন্দার কারণে কর্মী ছাঁটাই বাধ্য করে এবং বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করে।
কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, রাঙ্গামাটি ও কুয়াকাটার মতো পর্যটন স্পটগুলোতে এর প্রভাব নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি।
তিনি বলেন, 'পর্যটন খাতের জন্য সংকটময় সময় এখন। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বুকিং বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, সিলেট, রাতারগুল, জাফলং-তামাবিল, রাঙ্গামাটি ও পতেঙ্গা সৈকতে এই সময় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সেগুলো এখন ফাঁকা।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে তার একটি হোটেল থাকলেও এর ৯০ শতাংশ কক্ষ এখন খালি পড়ে আছে।
তিনি বলেন, 'পর্যটন মৌসুম সাধারণত অক্টোবরে শুরু হয় এবং নভেম্বরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে এই মাসে প্রায় খালি রয়েছে হোটেল ও মোটেল। অবরোধের কারণে বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ জানান, লাগাতার অবরোধের কারণে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল এখন খালি পড়ে আছে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান বলেন, দীর্ঘ অবরোধের কারণে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
পর্যটন খাতকে বাঁচাতে পর্যটকবাহী যানবাহন হরতাল ও অবরোধের আওতার বাইরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একই সুরে কথা বলেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণে যেতে চায় না। নিরাপত্তাজনিত কারণে বিপুলসংখ্যক বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
৭৩৯ দিন আগে
ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে জুলাই থেকে অস্থিরতায় নিহত ১৮৩: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ দপ্তর আরও জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং অস্থিরতার কারণে চলতি মাসের শুরুতে জরুরি অবস্থা জারি করার পর এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
আমহারা মিলিশিয়ার নাম উল্লেখ করে তারা বলেছে, ‘আটকদের মধ্যে অনেকেই আমহারা বংশোদ্ভূত যুবক বলে জানা গেছে, যাদের ফানোর সমর্থক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আগস্টের শুরু থেকে বাড়ি বাড়ি ব্যাপক তল্লাশি চলছে এবং আমহারা অঞ্চলের পরিস্থিতি কভার করার জন্য কমপক্ষে ৩ জন ইথিওপিয়ান সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।’
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বন্দিদের ইমপ্রোভাইজড ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এতে নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে 'গণগ্রেপ্তার' বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
আমহারা যোদ্ধাদের দখলে থাকা শহরগুলো সামরিক বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে এবং মিলিশিয়া সদস্যরা গ্রামাঞ্চলে পালিয়ে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার অফিস লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ফিনোট সেলাম সম্প্রদায়ের একটি জনবহুল শহরের স্কোয়ারে বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। ফেডারেল সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে অঞ্চলে ২ বছর ধরে চলা সংঘর্ষে আমহারা যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করেছিল, যা নভেম্বরে একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়। সংঘাতটি আমহারা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে যখন টাইগ্রে বাহিনী এক পর্যায়ে রাজধানী আদ্দিস আবাবার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার জাতিগত ভিত্তিতে প্রায়শই বিভিন্ন সংঘাত দমনের জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে আসছে। আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশটিকে দীর্ঘদিন ধরে হর্ন অব আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে সরকার সংঘাতের অপব্যবহারের সংখ্যা বোঝার জন্য জাতিসংঘের তদন্তকারীদের দ্বারা বহিরাগত প্রচেষ্টার সমালোচনা করেছে বা সীমিত করেছে।
আরও পড়ুন: মাদাগাস্কারে ইন্ডিয়ান ওশান আইল্যান্ড গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্টেডিয়াম বিধ্বস্ত, নিহত ১২
৮২৮ দিন আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
হঠাৎ করেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ১০ মাস পর সোমবার (২৬ জুন) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচবোঝাই ভারতীয় ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এরপর বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে তিনটি ট্রাকে করে মোট ২১ মেট্রিক টন ৬২০ কেজি ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়, বিকে ট্রেডা, প্রমি এন্টারপ্রাইজ এবং রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাচামরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ১৯’শ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ আমদানি করবেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান জানান, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে গতকাল রবিবার (২৫ জুন) আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) আমদানি করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে দাম অনেক কমে আসবে।
বন্দরের হিলি বাজারে কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে সোমবার সকালে বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে।
৮৯২ দিন আগে
অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
ইরানের শক্তিশালী রক্ষীবাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) শনিবার প্রতিবেশী ইরাকের উত্তরে অবস্থিত একটি কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (আইআরএনএ) জানিয়েছে, ঘটনাটি পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর ঘটল।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের প্রদেশগুলোতে ও রাজধানী তেহরান জুড়ে অস্থিরতা শুরু হয়। আমিনির পরিবার ইরানের কুর্দি অঞ্চল থেকে এসেছে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, আইআরজিসির স্থল বাহিনী ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের মধ্য থেকে আর্টিলারির মাধ্যমে গোলা ছুড়েছে। হামলার বিষয়ে ইরাকের সীমান্ত জুড়ে অবস্থিত একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়নি।
আইআরএনএ আরও বলেছে যে ইরানের তথাকথিত ‘কোমলেহ’ নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কিছু সদস্যকে গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা আইআরজিসি এর বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে যে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তাসনিম উল্লেখ করেছে, আক্রমণটি ইরাকের উত্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে করা হয় এবং এতে মারাত্মক ক্ষতি সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: ইরানে পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু: বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৯
বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
১১৬৭ দিন আগে