সংখ্যা
মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, মামলা জোট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিচারক থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই, তাই মামলার জট থাকবেই।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। এছাড়া সরকারকে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
বিচাপতি আরও বলেন, মানুষ সামান্য বিষয়েও কারণে-অকারণে আদালতে মামলা করে, যা বাড়িতে বসেই সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে হলে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বিচার বা সালিশে জোর দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাস ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ জন। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
রবিবার দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ফলাফলের তথ্য উপস্থাপন করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
তথ্য অনুযায়ী— ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ১ হাজার ২৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৫ হাজার ৯০৩ জন।
পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে।
ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৮৫ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৫৪ জন।
তিনটি শাখার মধ্যে বিজ্ঞানে ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মানবিকে পাস করেছে ৬৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা: ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
ঐতিহাসিক মাউই শহর বিধ্বংসী দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জনে পৌঁছেছে। তবে নিহতদের লাশ অনুসন্ধান এবং শনাক্ত করার প্রচেষ্টা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
মাউই পুলিশ প্রধান জন পেলেটিয়ার বলেছেন, কুকুরের অনুসন্ধানী দল ওই অঞ্চলের মাত্র তিন শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫ বর্গমাইল এলাকায় অনুসন্ধান চালাতে হবে, যেখানে আমাদের প্রিয়জনের কেউ থাকতে পারে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে আমাদের কেউই এটির সত্যিকার আকার বা পরিধি জানি না।’
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
তিনি বলেন, ফেডারেল জরুরি সেবা কর্মীদের তোলা ছবিতে লাহাইনার ধ্বংসস্তুপের দৃশ্যে ধরা পড়ে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দলগুলো উজ্জ্বল কমলা ক্রস চিহ্ন দিয়ে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেছে । যখন তারা মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে তখন ‘এইচআর’ চিহ্ন দিয়েছেন।
পেলেটিয়ার বলেন, মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কারণ যখন কোনো দেহাবশেষ খুঁজে তাদের তুলে নিই, তখন সেগুলোর শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অধিকাংশ দেহাবশেষ গলিত ধাতুর মতো অবস্থায় পাওয়া যাচ্চে। এখন পর্যন্ত দুইজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কুকুরগুলো ধ্বংসস্তূপে কাজ করেছিল এবং তারা মাঝে মাঝে একটি সম্ভাব্য মৃতদেহ সম্পর্কে তাদের হ্যান্ডলারদের সতর্ক করছিল।
শনিবার গভর্নমেন্ট জশ গ্রিন ঐতিহাসিক ফ্রন্ট স্ট্রিটের বিধ্বংসী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বলেন , ‘এটি অবশ্যই সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর আগে হাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। আমরা কেবল অপেক্ষা করতে পারি এবং যারা বেঁচে আছে তাদের সমর্থন করতে পারি। আমারা এখন উদ্ধার করা লোকদের তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে এবং তাদের আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার দিকে গুরুত্ব দেব।’
গ্রিন বলেন, পশ্চিম মাউইতে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে ৮৬ শতাংশই আবাসিক।
তিনি আরও বলেন, দ্বীপটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ বিলিয়ন। এটি পুনরুদ্ধার করতে ‘অবিশ্বাস্য পরিমাণে সময়’ লাগবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগেও মাউই কমপক্ষে দুবার আগুনে পুড়েছে। তবে সেগুলোতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চতুর্থটি লাহাইনার উত্তরে একটি উপকূলীয় সম্প্রদায় কানাপালিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তবে ক্রুরা এটি নিভিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
গ্রিন বলেন, আপকান্ট্রিতে অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৪টি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৯৬ শতাংশই আবাসিক।
মাউইতে জরুরি ব্যবস্থাপকরা তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের থাকার জায়গাগুলো সন্ধান করছিলেন। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি এবং প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে কাউন্টি কর্মকর্তারা শনিবারের প্রথম দিকে ফেসবুকে বলেছেন, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষের আশ্রয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের পরিবার সহায়তা কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করেন।
পেলেটিয়ার বলেছেন, ‘আপনাদের স্বজনদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।’
অবসরপ্রাপ্ত দমকল কর্মী ক্যাপ্টেন জিওফ বোগার এবং তার ৩৫ বছরের বন্ধু ফ্র্যাঙ্কলিন ট্রেজোস লাহাইনায় অন্যদের সাহায্য করতে এবং বোগারের বাড়ি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালের দিকে আগুনের শিখা যতই কাছে চলে আসরে তারা বুঝতে পারেন, তাদের বের হতে হবে। এজন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ গাড়িতে পালিয়ে যান। কিন্তু বোগারের গাড়ি চালু হচ্ছিল না। তখন তিনি একটি জানালা ভেঙে বেরিয়ে পড়েন। তারপর মাটিতে হামাগুড়ি বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পুলিশ টহল তাকে খুঁজে পায় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ট্রেজোস ভাগ্যবান ছিল না। পরের দিন যখন বগার ফিরে আসেন, তখন তিনি তার গাড়ির পেছনের সিটে তার ৬৮ বছর বয়সী বন্ধুর হাড় দেখতে পান। উদ্ধারকারীরা দেখতে পায় বোগারের প্রিয় ৩ বছর বয়সী কুকুর স্যামের দেহাবশেষের উপরে পড়ে আছেন তিনি। তিনি রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন।
সদ্য প্রকাশিত মৃতের সংখ্যা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ারের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এবারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ জনে এবং ধ্বংস করেছে প্যারাডাইস শহরকে। এক শতাব্দী আগে ১৯১৮ সালের ক্লোকেট অগ্নিকাণ্ডে উত্তর মিনেসোটাতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করে এবং শত শত মানুষ নিহত হয়।
দাবানলগুলো কয়েক দশকের মধ্যে রাজ্যের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যা ১৯৬০ সালের সুনামিতে ৬১ জনের মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৪৬ সালে আরও একটি মারাত্মক সুনামিতে বিগ আইল্যান্ডে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। একটি অঞ্চল জুড়ে মাসব্যাপী সাইরেন বাজানোসহ জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছিল।
হাওয়াই ফায়ারফাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ববি লি বলেন, ৬৫টি কাউন্টির ফায়ারফাইটার কাজ করছে, যারা মাউই, মোলোকাই ও লানাই দ্বীপে কর্মরত।
গ্রিন বলেন, কর্মকর্তারা নিরাপত্তা উন্নত করতে নীতি ও পদ্ধতি পর্যালোচনা করবেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ জিজ্ঞাসা করেছে কেন এমন হলো, কী ঘটছে তা পর্যালোচনা করছি। এর কারণ হলো বিশ্ব পরিবর্তিত হয়েছে। একটি ঝড় এখন হারিকেন-আগুন বা অগ্নি-হারিকেন হতে পারে।’ ‘এটিই আমরা অনুভব করেছি, তাই আমরা কীভাবে আমাদের জনগণকে সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি তা খুঁজে বের করার জন্য আমরা এই নীতিগুলো অনুসন্ধান করছি।’
আরও পড়ুন: তাপ, দাবানল ও বন্যা গ্রীষ্মকে ‘তীব্র গরম’ করে তুলেছে
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান আয়েশা আক্তার আশা।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ বিস্ফোরণে একটি তিনতলা ভবন আংশিক ধসে পড়ে তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হন।
নিহত তুষার ও শফিকুজ্জামান কম্পিউটার অপারেটর এবং আব্দুল মান্নান ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন।
আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ১২ লাখ ছাড়াল
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ১২ লাখ ১২ হাজার ৫১০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৮৮২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯১ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭২ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৬ জনে।
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ১১২ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৩ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে ৬ জনের করোনা শনাক্ত
গুলশানে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সোমবার সকালে আরও একজনের মৃত্যু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে আহত রাজু মিয়া শিকদার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
উপকমিশনার আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ওই বহুতল ভবনে ছড়িয়ে পড়া আগুন চার ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় আগুনে পুড়ে মারা যান ১২ তলা ওই ভবনে কর্মরত আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: গুলশান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এছাড়া ৯ জন পুরুষ, ১২ জন নারী ও এক শিশুসহ মোট ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে গুলশান-২ এর একটি ১২ তলা ভবনের সপ্তম তলায় আগুন লাগে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গুলশানে বহুতল ভবনে আগুন
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৫৭ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪১ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৫ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭৪০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন করে ১০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭৮ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ছাড়াল
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
গাজীপুর ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।
মৃত ফিলিং স্টেশন কর্মী সিরাজুল ইসলাম (২৮)।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান,
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: নিহত বেড়ে ২
৪০ শতাংশ দগ্ধ সিরাজুল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তিনি বলেন, একই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আনোয়ার (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে, মঙ্গলবার একই হাসপাতালে আল আমিন (৩০) নামে আরেক শ্রমিক মারা যান। এছাড়া সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পারভেজ (৩৩) , মিঠু মিয়া (২৬) মারা যায়।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। দগ্ধদের প্রথমে তাহিরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসি) নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে এদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা!
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে আরও ৫২৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩৫২ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৭৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ২৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ১৪৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে এক হাজার ৫৯৮ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৫৪৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ০১ জানুয়ারি থেকে ০৩ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১৩ হাজার ৫১১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৩০৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৫ হাজার ৬১৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৮৪ জন ঢাকার এবং বাকি তিন হাজার ৭৩১ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার তিনজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৬১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৬৮
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৩৫
করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার আরও ১৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এসব লাশের মধ্যে নারী ৩০ জন, শিশু ২১ জন এবং পুরুষ ১৭ জন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে তৃতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আর মাত্র চারজন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকা ট্র্যাজেডি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ২৫ জন এবং সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২৫ জন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, নদীর পানি নামতে শুরু করেছে, নদীর তলদেশে কাঁদার মধ্যে আটকে পড়া লাশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ভাটির দিকে ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুডুরি দল স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত লাশগুলো শনাক্ত করে স্বজনদের হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
অনুকূল আবহাওয়া ও নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে দ্রুতই লাশ উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫
মঙ্গলবার দুপুরে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।
এসময় মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য অবহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের শুরুর দিকে আউলিয়ার ঘাটে ওয়াই মডেলের ব্রিজ নির্মাণ শুরু হবে। ইতোমধ্যে নকশাসহ একনেকে প্রকল্পটি পাস হয়েছে।
২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রিজটির খুব শিগগিরই টেন্ডার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া নৌকাডুবিতে কর্মহীন মানুষ যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবার পূর্ণবাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষে মৃতের প্রত্যেক পরিবারকে সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ২৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল লাশ উদ্ধারের পর পরিবারগুলোর অবস্থা বিবেচনা করে কার জন্য কি করা যায় সেটা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিখোঁজের যে তালিকা করা হয়েছে, শেষ ব্যক্তিটিকে উদ্ধার করা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
পরে রেলমন্ত্রী মৃত পরিবারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতাও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০