ব্যাংক
ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) জানিয়েছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত হতে হবে, তা না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে এবং ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত ব্যাংকের স্বাস্থ্য সূচকের (বিএইচআই) প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এতে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত স্বাস্থ্য নেই। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের তৈরি একটি আংশিক প্রতিবেদন যার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য মার্কিন ডলার-টাকা বিনিময় চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
মেজবাউল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধানের অংশ হিসেবে ত্রৈমাসিক ও অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে ব্যাংকের কার্যক্রম ও আর্থিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
বিএইচআই প্রতিবেদনে হলুদ বিভাগের তালিকায় কিছু সবল ব্যাংকও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের প্রকৃত ব্যালেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে, অনুমানের ওপর নয়।
শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে ১০টি দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মুখপাত্র বলেন, বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে এবং আমানতকারীরা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হবে না।
তবে, বিএইচআই (ব্যাংক স্বাস্থ্য সূচক) শিরোনামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি গোপন প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ২৯টি ব্যাংক হলুদ জোনে ছিল, যার অর্থ তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য সবল ও ভঙ্গুরের মাঝামাঝিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
প্রতিবেদনটিতে ব্যাংকগুলোকে যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ‘ক্যামেলস’ রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
এই রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যাংক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ছয়টি বিষয় ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষা করে থাকে। ছয়টি রেটিং সূচক হলো- মূলধনের পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণমান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিভাগের ‘ব্যাংকস হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণ অনুসারে, ‘রেড জোনে’ যে ব্যাংকগুলো রয়েছে- এবি, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কমার্স, পদ্মা, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ব্যাংক অব পাকিস্তান, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।
‘লাল’ ও ‘হলুদ’ জোনে থাকা ব্যাংকগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
ব্যাংক ও ব্যাংকিং খাতের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করুন: অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অর্থনীতি নিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ চিন্তাবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত একটি দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড।
তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো যখন ভালো করেছে, তখন অন্য খাতগুলোও ভালো করছে।’
অর্থনীতিকে সচল রাখতে তারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের একটি ব্যাংকের কর্মক্ষমতা জানার অধিকার রয়েছে- যেখানে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা দিচ্ছে। একটি ব্যাংকের আর্থিক কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য গ্রাহকদের জন্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক'র পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক বই প্রকাশ দেশের আর্থিক খাতের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
এই গতি ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সন্নিবেশ করে নিয়মিত বই প্রকাশ করা হচ্ছে।’ 'প্রকাশনা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ব্যাংকার, ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে এমন লোক, গবেষক, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের সবার জন্য বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের প্রথম এ ধরনের প্রকাশনা উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সংস্করণে নতুন এবং জনস্বার্থের তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করি। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই জাতীয় প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা সর্বশেষ তথ্য দিয়ে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে, আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে দিচ্ছি। অন্তত দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আব্দুল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের অর্থ পরিশোধে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল বাবদ সরকারের বকেয়া ছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বেশি বা ২৩ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক সংকটের কারণে সরকার টাকা দিতে পারছে না। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। ওইসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে দেওয়া এমন ঋণের অনেকগুলোই খেলাপি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নেওয়া ঋণের বিপরীতে ১২ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হবে।
ইতোমধ্যে ২৪টি ব্যাংক ৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বন্ড ইস্যুর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হতে পারে।
এরপর ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বন্ড ইস্যু করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাসহ খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার উপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতাকালে ব্যবসায়ী নেতারা এ কথা বলেন।
সভায় কমিটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়েজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এখন স্মার্ট অর্থনীতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। এই যাত্রার শুরুতেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের বদনাম ঘোচাতে হবে।
আরও পড়ুন: কর কাঠামোর পুনর্গঠন চায় এফবিসিসিআই
তিনি আরও বলেন, নতুন করে যেন অনিয়ম, ঋণ খেলাপি না হয় সে বিষয়ে সব অংশীজনকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির পরবর্তী সভাগুলোয় সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত ও পরামর্শ আহ্বান করেন তিনি।
এ সময় কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাজিব পারভেজ জানান, জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ জরুরি।
এ জন্য এই খাতের উদ্যোক্তা, কর্মী এবং অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে দায়বদ্ধতার মনোভাব গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
সভায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলেন, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প লাভবান হবে। যা জাতীয় অর্থনীতিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তিতে পৌঁছে দেবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক মিস সালমা হোসেন অ্যাশ, নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়াসহ কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
বগুড়ায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৯ লাখ টাকা চুরি
বগুড়া সদরে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখায় ভল্ট ভেঙে ৯ লাখ টাকা চুরি হয়েছে।
উপজলার শাখায়িরা ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল হাটে ব্যাংকের ভবনটির সিঁড়িঘরের তালা কেটে চুরির এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বত্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইন থেকে বোল্ট চুরি
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার হিসাব-নিকাশ করে ব্যাংক বন্ধ করা হয়। শনিবার সকালে তারা বাড়িটির মালিকের কাছে জানতে পারেন সেখানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিন্দুক কেটে সব টাকা চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ওসি আরও জানান, দুইতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ির নিচে বাম পাশে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলে। সকালে ব্যাংকের কক্ষ খোলা দেখে বাড়িওয়ালা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ছাদ দিয়ে প্রবেশ করে ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে টাকা চুরি করেছে। এই উপশাখায় নিরাপত্তা কর্মী নেই। এছাড়া পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরাও নেই। যে ক্যামেরা আছে তার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে ও জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
চমেকে চুরি যাওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, আটক ২
শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক: বিবি
নির্বাচনসংক্রান্ত ব্যয় মেটানোর সুবিধার্থে সীমিত জনবল নিয়ে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ও শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ মেট্রোপলিটন শহর, জেলা ও উপজেলায় শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন একটি নির্দেশনা জারি করে এবং তা সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সার্কুলার জারি করেছে।
এছাড়া যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের অফিস ডিউটি থেকে মুক্ত রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সত্ত্বেও আয়বৈষম্য বাড়ছে, মূল্যবোধ হ্রাস পাচ্ছে: ড. খলীকুজ্জমান
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় স্বাধীন থিংক-ট্যাংক সিপিডি।
সিপিডি জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তহবিল লুণ্ঠন করা হয়েছে।
সিপিডি উল্লেখ করেছে, বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য ব্যবসায়িক সংগঠন ও ব্যক্তিদের করা বেশ কয়েকটি অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। যার ফলে বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থের অপব্যবহার হয়েছে, যার পরিমাণ হাজার হাজার কোটি টাকা।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিপিডি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি বড় অনিয়মের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন সংকলন করেছে, যার পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকারও বেশি।’
আরও পড়ুন: কয়লা-এলএনজি'র ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকার: সিপিডি
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকে র্যানসমওয়্যার হামলা, ট্রেজারি মার্কেটের লেনদেন ব্যাহত
চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংকের একটি আর্থিক পরিষেবা ব্যবসা বলছে, র্যানসমওয়্যার হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মার্কেটে বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি) ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ট্রেড এবং অন্যান্য পরিষেবাগুরো পরিচালনা করে। শুক্রবার(১০ নভেম্বর) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে র্যানসমওয়্যার হামলায় তাদের কিছু সিস্টেম বিঘ্নিত হলেও হামলার প্রভাব সীমিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেমের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা চাপ অব্যাহত থাকলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে পারে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বুধবার সম্পাদিত সমস্ত ট্রেজারি ট্রেড এবং বৃহস্পতিবার রেপো ফাইন্যান্সিং ট্রেডগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। আইসিবিসির ব্যাংকিং, ইমেইল ও অন্যান্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ ভাষাভাষী র্যানসমওয়্যার সিন্ডিকেট লকবিট এই হামলা চালিয়েছে, যা সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে টার্গেট করে না। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম এমসিসফটের মতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর র্যানসমওয়্যার ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় হয়ে এটি হাজার হাজার সংগঠনকে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
আলমডাঙ্গায় ব্যাংক থেকে টাকা চুরির অভিযোগ, যুবককে মারধর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইসলামি ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে ব্যাংকের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম উজ্জল হোসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দুধপাতিলা গ্রামের নুরু বাঙ্গালের ছেলে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মোমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১
এবিষয়ে ব্যাংকের সহকারী কর্মকর্তা কায়সার আলম বলেন, ক্যাশ সেকশনে হঠাৎ লাল গেঞ্জি পরা অপরিচতি যুবককে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তার কাছে টাকার বান্ডিলের ছোট ব্যাগ রয়েছে। এ সময় সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি। পরে ব্যাংকে উপস্থিত গ্রাহকরা তাকে মারধর করে। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিই।
ইসলামি ব্যাংক আলমডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াদুদ আলী জানান, কর্মকর্তারা সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে যুবকটি ক্যাশ সেকশনে ঢুকে টাকা নিয়ে দ্রুত বের হতে চেষ্টা করে। তখন কর্মকর্তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২