নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশে চলমান তাপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ সম্পর্কে তার নিজের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী তার ফেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রচণ্ড গরমে ভুগছে। এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্যানের ব্যবহার বাড়ছে এবং মানুষ আরামের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ৩ জুন বাংলাদেশ ১৩ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছে, তবুও লোডশেডিং ছিল।
আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
তিনি লেখেন, গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের মতো যদি ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হতো, তাহলে আজকে দেশে কী হতো?
নসরুল হামিদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব গ্রামে-শহরে বিদ্যুত দিয়েছে। এটি জনগণের সরকার, তাই সরকার সকলের সহযোগিতায় এই সংকট মোকাবিলা করতে চায়।’
তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে বিদ্যুত সাশ্রয়ের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
২ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল
দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে দুইদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার তিনি বলেন,‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে বর্তমান বিঘ্নের উন্নতি হবে, কারণ দুইদিনের মধ্যে দু’টি টার্মিনালের মধ্যকার একটির সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে।’
তিনি বলেন, দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর একটি টার্মিনাল নিরাপদ স্থানে এবং অন্যটি নিজস্ব অবস্থানে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
এই স্থগিতাদেশের ফলে গ্যাস সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়, যা সারাদেশে বর্তমান লোডশেডিং-এর কারণ।
তিনি বলেন, তবে আমি আশা করি যে দুইদিনের মধ্যে একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, যা ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি করবে। অন্য এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটেনি।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উপায়ে পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য জমির বহুমুখী ব্যবহার’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে একটি প্রচার কর্মশালার সাইডলাইনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী রমজানে এ বছর দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে বলে বিদ্যুৎ খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্রের পূর্বাভাস।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতির কারণে প্রায় ১২ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
সাম্প্রতিক ডলার সংকটের কারণে সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে নসরুল বলেন, সরকার এক বছরের মধ্যে প্রায় ১০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৩ হাজার ডিজেলচালিত সেচ পাম্পকে ধীরে ধীরে সৌরচালিত পাম্পে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
তিনি তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ‘দৃশ্যমান ভারতীয় সহযোগিতা’ চেয়েছেন।
বুধবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন তিনি।
বিদ্যুৎ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে নসরুল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং ভারতের পক্ষে বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী রাজ কুমার সিং নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রপ্তানিতে ভারতীয় বেসরকারি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে নসরুল বলেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘যদি আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
যদিও আমরা ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করি, আমরা আরও আমদানি করতে চাই।’
রাজ কুমার বলেন, ভারত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আজকে আলোচিত বিষয়গুলি পরবর্তী যৌথ স্টিয়ারিং কমিটিতে আরও পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ খাতে ভালো সমন্বয় দরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও সমন্বয় নিশ্চিত করতে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘টুগেদার ফর এ স্মার্ট অ্যান্ড গ্রিন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমন্বয়ের অভাবে অনেক অর্জনই ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গ্রিড ব্যর্থতার পটভূমিতে এই আহ্বান জানাল প্রতিমন্ত্রী। ৪ অক্টোবর দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল সাত ঘন্টার ব্ল্যাকআউটে নিমজ্জিত হয়েছিল।
চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা পাওয়ার সেল যৌথভাবে স্মার্ট গ্রিডের উন্নয়ন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাওয়ার গ্রিড স্বয়ংক্রিয়করণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
একটি স্মার্ট গ্রিড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এবং স্মার্ট ডিভাইসের প্রবর্তন পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখবে।
তিনি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে প্রচলিত গ্রিড থেকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তর করতে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষ জনশক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
তিনি রাজধানীতে ও বাইরে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের তীব্র বিদ্যুতের সংকটে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
কর্মশালার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো পেতে জনগণকে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কর্মশালায় স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক যান এবং গ্লোবাল কনটেক্সট বিষয়ক দু’টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। স্মার্ট গ্রিড, সাইবার-আক্রমণ প্রতিরোধ, ডিজিটাইজেশন, অটোমেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তি-ভিত্তিক ক্লিন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়েও আলোচনা হয়।
সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়টিও কর্মশালায় উঠে আসে। ওয়ার্কশপে বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার্জিং গাইডলাইন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজির (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং।