জাপান সফর
দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে শনিবার টোকিও থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
টোকিওর স্থানীয় সময় শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ (শনিবার) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সফরের তৃতীয় দিন (শুক্রবার) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠকে দুই নেতা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি চূড়ান্ত করার অঙ্গীকার করেন, যাতে করে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
সে সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য বাজেট সহায়তা ও রেল খাতের উন্নয়নে মোট ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেন।
এই ঋণ সহায়তার অর্থের ৬৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেশের রেলওয়ে খাতের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল-গেজ ডাবল-লেন রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তন স্থিতিশীলতার জন্য ৪১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার ও মানব উন্নয়ন বৃত্তির জন্য অনুদান ৪২ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে।
পরে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ইউনূস। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনীতি, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত ছয়টি সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে দুই দেশের মধ্যে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে টোকিওর হিরাকাওয়াচো চিওদা সিটিতে অনুষ্ঠিত মানবসম্পদ বিষয়ক সেমিনারে এসব চুক্তিতে সই হয়। সেখানেও অধ্যাপক ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে অন্তত এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ওইদিনই টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘৩০তম নিক্কেই ফোরাম: ফিউচার অব এশিয়া’য় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানি বিনিয়োগ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
নিক্কেই ফোরামের ফাঁকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহামাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন অধ্যাপক ইউনূস এবং বাংলাদেশকে আসিয়ান জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে তার সহযোগিতা চান।
এ ছাড়া শুক্রবার সামাজিক উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদকে সোকা ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়।
২০০৪ সালে নিক্কেই এশিয়া পুরস্কারে ভূষিত অধ্যাপক ইউনূস গত বুধবার টোকিও পৌঁছান।
১৮৮ দিন আগে
জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আসন্ন এই বৈঠক দুই দেশের বিভিন্ন খাতে চলমান সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওর ইমপেরিয়াল হোটেলে নিক্কেই ইনকরপোরেশেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সুয়োশি হাসেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের প্রাক্কালে সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয়। জাপান সফরের তৃতীয় ও শেষ দিনে শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক খাতে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে; আমি এটির ওপর কাজ করতে চাই।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি নিয়মিত জাপানে সফর করতেন, তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে। পাশাপাশি নিক্কেই ফোরামের মাধ্যমে জাপানে অনেক বন্ধু তৈরির সুযোগ পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যেও আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান হাসেবে। প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও প্রধান উপদেষ্টা এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জাপানে একটি প্রবাদ আছে— আগুন থেকে বাদাম তোলার সাহস থাকতে হয়।’
সাক্ষাৎ শেষে নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’য় বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: টোকিও থেকে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তায় চায় ঢাকা
১৯০ দিন আগে
টোকিও পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সফরকালে তিনি টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ৩০তম ‘নিক্কেই ফোরাম ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টা ৫মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটটিতে সফরসঙ্গীদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
১৯১ দিন আগে
জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সফরকালে তিনি টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ৩০তম ‘নিক্কেই ফোরাম ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর আড়াইটায় তিনি জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন এবং সফর শেষে আগামী শনিবার (৩১ মে) তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান উপ-প্রেস সচিব।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সফরে বাংলাদেশ ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা এবং রেল খাতে আরও ২৫ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়ার আশা করছে।
আরও পড়ুন: এমআইডিআই অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের গতি বাড়ানোর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
জাপানের সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলারের ‘সফট লোন’ চুক্তির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঋণ ঘোষণা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।
তিনি আরও জানান, জাপানে ১ লাখ দক্ষ কর্মী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে একটি সেমিনারে অংশ নেবেন অধ্যাপক ইউনূস। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করতে জেট্রো ও জাইকার যৌথ আয়োজনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই দেশের শতাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেবেন।
সফরকালে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম জাপান সফর। এর আগে তিনি ২০০৪ ও ২০০৭ সালে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনূসের এ সফরে রোহিঙ্গা সংকট, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও মানবসম্পদসহ কৌশলগত নানা বিষয়েও আলোচনা হবে।
১৯১ দিন আগে
জাপান সফরে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ২ জন সফরসঙ্গীসহ সস্ত্রীক এ সফরে যান তিনি।
চিফ অব স্টাফ অব জাপান সেলফ ডিফেন্স ফোর্স জেনারেল উচিকুরা হিরোয়াকির আমন্ত্রণে ১৪ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর জাপান সফর করবেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান।
আরও পড়ুন: বিমানবাহিনীর নতুন প্রধান হলেন হাসান মাহমুদ খান
সফরকালে জাপানে অনুষ্ঠেয় ‘এয়ার ফোর্স ফোরাম ইন জাপান (এএফএফজে) অনুষ্ঠান উপলক্ষে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক এয়ার চিফস কনফারেন্স ইন টোকিও’সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন হাসান মাহমুদ খান।
এ অনুষ্ঠানে আরও থাকবেন বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
এছাড়াও অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনী প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করবেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
তার এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে।
সফর শেষে ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বিমানবাহিনী প্রধান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট নিহত
৪১৭ দিন আগে
৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে টোকিও ত্যাগ করবেন।
তিনি শুক্রবার জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে তিনি গত ২৫ এপ্রিল টোকিও যান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জাপান সময় শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ওয়াশিংটনের ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
শেখ হাসিনা ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৯৫২ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর এপ্রিলে হতে পারে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তার দেশের পক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে মার্চ বা এপ্রিলে তাদের দেশে সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সফরের জন্য এপ্রিল মাসকে পছন্দ করেছেন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১০৫৯ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বিনিয়োগ ও বড় প্রকল্পে অর্থায়ন খুঁজবে বাংলাদেশ
চলতি বছরের নভেম্বরের ২৯ ও ৩০ তারিখ জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দেশের বড় প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন রবিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘জাপান যেসব এলাকায় কাজ করছে (মেগা প্রকল্প) সেগুলো দেখে আমরা খুশি।’
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ভাল বিনিয়োগকারী’ এবং তারা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ জাপানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য আরও অর্থায়ন প্রত্যাশা করে।
মোমেন বলেন, ‘মূলত জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনও কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদের প্রযুক্তিও আছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, চাঁদপুরে শিবির কর্মী আটক
মোমেন আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) তৃতীয় টার্মিনালের ব্যবস্থাপনায় জাপান ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ আগ্রহী। ‘আমরা (সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য) দেখব এবং মূল্যায়ন করব।’
তিনি বলেন, জাপানও বন্দর সুবিধা প্রদান ও ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। ‘আমরা এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিইনি।’
দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশ অর্থায়ন খুঁজবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এটা একটা সমস্যা হতে পারে, তবে এটা নির্ভর করে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর।’
তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ রেল প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি চাই। ‘এটাও একটা সমস্যা হতে পারে। এর সবই আলোচনায় আছে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের ‘সরাসরি ভূমিকা’ চাইবে, কারণ তাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু দেখতে চান এবং তার দেশ এ লক্ষ্যে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, জাপানি পক্ষ বাংলাদেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে আগ্রহী, তবে বাংলাদেশের সাধারণ নীতি হচ্ছে আগে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
তিনি বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরে বলেন,‘আমরা প্রথমে আমাদের জনগণকে খাওয়াতে চাই, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা দিতে চাই। তারপর, আমরা অন্যান্য বিষয়গুলো দেখব।’
জাপান বাংলাদেশকে একটি ‘দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি’ এবং একটি ‘আকর্ষণীয়’ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে মনে করে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশ সংযোগস্থলে অবস্থিত। জাপান একটি ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত প্রশান্ত ভারত’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসাবেও দেখে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কোনও ধরনের ‘অবরোধ ছাড়াই সকলের জন্য ‘মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং চলাচলযোগ্য’ হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে মেট্রোরেলের আংশিক উদ্বোধনের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তারা বিষয়টি দেখবেন।
২০১৪ সালের মে মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ চালু করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি হয়।
মোমেন সম্প্রতি জাপান সফর করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের টোকিওতে তার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করে। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
১১৩৯ দিন আগে