মোগাদিশু
সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশটির রাজধানীর একটি ব্যস্ত সড়কের মোড়ে দুটি গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বিস্ফোরণস্থলে এক বিবৃতিতে রবিবার ভোরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
২০১৭ সালের অক্টোবরে একই স্থানে একটি ট্রাক বোমা হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল সোমালিয়ায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০
সোমালিয়ার সরকার আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব চরমপন্থী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে, যারা প্রায়ই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। যখন বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয় তখন গোষ্ঠীটি দায় স্বীকার করে না।
এই বছর নির্বাচিত সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটি আল-শাবাবের সঙ্গে যুদ্ধে রয়েছে এবং ‘আমরা জয়লাভ করছি’। সরকার মিলিশিয়া গ্রুপের সঙ্গে দেশের বড় অংশ দখলকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে এক নতুন অভিযানে নিযুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭৩
সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
১১৩২ দিন আগে
সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০
সোমালিয়ার রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের কাছে সড়কের ব্যস্ত মোড়ে শনিবার দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে শিশুসহ বহুসংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। বিষয়টি দেশটির জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে।
একজন হাসপাতাল কর্মী অন্তত ৩০টি মরদেহ গুনেছেন বলে জানান। তিনি আশঙ্কা করছেন যে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।
রাজধানী মোগাদিশুতে এই বিস্ফোরণ এমন এক দিনে ঘটে যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় সম্প্রসারিত প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করছিলেন। আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব দলটি প্রায়শই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। একই স্থানে আরেকটি বড় বিস্ফোরণে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পাঁচ বছর পর ঘটনাটি ঘটেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কেউ নেয়নি। ২০১৭ সালের ওই বিস্ফোরণের মতো আল-শাবাব খুব কমই বড় সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার হামলার দাবি করে থাকে। তবে প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এই হামলাকে নিষ্ঠুর ও কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করে আল-শাবাবকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
মদিনা হাসপাতালে এক স্বেচ্ছাসেবক হাসান ওসমান বলেন, ‘হাসপাতালে আনা অন্তত ৩০ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে বেশিরভাগই নারী৷ এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি।’
হাসপাতাল ও অন্য স্থানে, উন্মত্ত আত্মীয়রা প্লাস্টিকের ব্যাগে (লাশ রাখার ব্যাগ) বারবার উঁকি দিয়ে প্রিয়জনকে খুঁজতে দেখা গেছে।
আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে যে তারা অন্তত ৩৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক আবদুলকাদির আদান এক টুইটে বলেন যে প্রথম বিস্ফোরণে যখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে যায় তখন দ্বিতীয় বিস্ফোরণে ওই গাড়িটি হামলার শিকার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরাজাক হাসান বলেন, ‘দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সময় আমি ১০০ মিটার দূরে ছিলাম। মৃত্যুর (সংখ্যা) কারণে আমি মাটিতে মৃতদেহ গুণতে করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০
তিনি আরও বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে আঘাত হানে। যেখানে সড়কে নানা বিক্রেতা ও মানি চেঞ্জারদের অবস্থান।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) সাংবাদিক জানান, দুপুরের খাবারের সময় একটি ব্যস্ত রেস্তোরাঁর সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণে অনেক রেস্তোরাঁ ও হোটেল এলাকায় টুক-টুক ও অন্যান্য যানবাহন ধ্বংসের শিকার হয়। তিনি বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখেন এবং বলেন যে তাদের গণপরিবহনে ভ্রমণকারী বেসামরিক মানুষ বলে মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
১১৩২ দিন আগে