জনসাধারণ
ব্যাংক ও ব্যাংকিং খাতের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করুন: অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অর্থনীতি নিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ চিন্তাবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত একটি দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড।
তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো যখন ভালো করেছে, তখন অন্য খাতগুলোও ভালো করছে।’
অর্থনীতিকে সচল রাখতে তারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের একটি ব্যাংকের কর্মক্ষমতা জানার অধিকার রয়েছে- যেখানে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা দিচ্ছে। একটি ব্যাংকের আর্থিক কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য গ্রাহকদের জন্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক'র পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক বই প্রকাশ দেশের আর্থিক খাতের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
এই গতি ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সন্নিবেশ করে নিয়মিত বই প্রকাশ করা হচ্ছে।’ 'প্রকাশনা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ব্যাংকার, ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে এমন লোক, গবেষক, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের সবার জন্য বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের প্রথম এ ধরনের প্রকাশনা উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সংস্করণে নতুন এবং জনস্বার্থের তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করি। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই জাতীয় প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা সর্বশেষ তথ্য দিয়ে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে, আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে দিচ্ছি। অন্তত দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আব্দুল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মেট্রোরেল, আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ সারি
সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেলের পরিষেবা উন্মুক্ত থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য শত শত মানুষ স্টেশনে ভিড় করতে থাকে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও সেকশনে ২১ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ-চালিত মেট্রোরেলের মাধ্যমে যাতায়াতের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যার লক্ষ্য ঢাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি এক বছর পর চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যাত্রী বহনকারী সীমিত সংখ্যক ট্রেন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: টিকিট কেটে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হলেন প্রধানমন্ত্রী
শুরুতে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেনটি উত্তরা স্টেশন থেকে ছেড়ে পল্লবীতে থামবে, তারপর না থামিয়ে আগারগাঁও যাবে। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামানো পরে শুরু হবে।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে প্রথম মেট্রোরেল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। তিনি উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রকল্পের প্রথম ধাপের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
যেহেতু সরকার সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করছে, তাই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। তবে শিগগিরই তা ১৬-১৭ মিনিটে নেমে আসবে।
ভারত ও পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের তৃতীয় দেশ যেখানে মেট্রোরেল পরিষেবা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি ২০০ থেকে ২৫০ যাত্রী বহন করবে এবং পরে এটি ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী বহন করবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে ১০টি নিয়মিত চলবে এবং যেকোনো সমস্যার জন্য দুটিকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল বাংলাদেশের গৌরব মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ
রাজধানীর পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) শিক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছাড়া অন্য কারও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি এক বিবৃতিতে নতুন এ পদক্ষেপের কথা জানায়।
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে
১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ দশমিক ৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে’ পরীক্ষা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে।
পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৬ নভেম্বর, রুটিন প্রকাশ