বৃক্ষরোপণ
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ
বাঙালি জাতির জন্য শোকাবহ মাস আগস্টের শুরুতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী তাদের পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
এ কর্মসূচিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ শাহাদাত বরণকারী তাদের পরিবারের ১৬ জন সদস্যের স্মরণে ১৬টি গাছের চারা রোপণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় এবং বন বিভাগ- এর সহযোগিতায় কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস সম্প্রতি বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ হাজারেরও বেশি চারা ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়। যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দা উপকৃত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে, নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ, ওয়াটার স্ট্যুয়ার্ডশিপ ও ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েইস্ট-এর মত দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিকে সামনে রেখে জলবায়ু মোকাবিলায় টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড।
এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই বছরের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও জাতীয় পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য-‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৩ এর প্রাক্কালে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ অভিযান উদযাপন ও গাছের চারা বিতরণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, ময়মনসিংহ বন বিভাগ এটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অপরাপর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ অবদান রাখলে বৃক্ষরোপণে আপামর জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং এ ধরনের সামাজিক আন্দোলন এক টেকসই রূপ পরিগ্রহ করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
আয়োজনটির প্রশংসা করে পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, দিলরুবা আহমেদ বলেন,‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবিলায় বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সেখানেও পরিবেশ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশের এই উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে সামিল হচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের এমন আরও সফল পাবলিক-প্রাইভেট উদ্যোগ গ্রহণ করে সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সিসিবিবিএল’র পাবলিক রিলেশনস, কম্যুনিকেশন এন্ড সাস্টেইনেবিলিটি’র পরিচালক আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে এ ধরণের আয়োজন খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস’।
তিনি বলেন, ‘রোপণ করা প্রতিটি চারাই ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান বিনিয়োগ, আর আগামী প্রজন্মের মাঝে এই বিনিয়োগের গুরুত্ব অনুধাবন করার সক্ষমতা আমাদেরকেই তৈরি করে যেতে হবে। এই আয়োজনে আমাদের সর্বোত সহযোগীতা করার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ’।
প্রতিষ্ঠানের পাবলিক রিলেশনস, কম্যুনিকেশন এন্ড সাস্টেইনেবিলিটি’র পরিচালক আনোয়ারুল আমিন; পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) দিলরুবা আহমেদ; ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার চাবিকাঠি হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারাগুলো তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে গাছ লাগান: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে পরিবেশ বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানাতে চাই, কারণ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা আমাদের কর্তব্য।’
সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে তিনটি চারা রোপনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি পরিবেশ মেলা-২০২৩, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলা- ২০২৩ -এরও উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ যেহেতু বিশ্ব পরিবেশ দিবস, তাই গাছ লাগিয়েছি। আমি আশা করি বাংলাদেশের সকল (জনগণ) এটি অনুসরণ করবে (গাছ লাগানো)।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আরও সুন্দর ও উন্নত করতে তারা ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেন কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। তাই, আমি সবাইকে গাছ লাগাতে বলি।’
বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রতিটি খালি জায়গায় গাছ লাগাতে এবং প্রতিটি অঞ্চলকে উৎপাদনের আওতায় আনতে তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলের বিচারহীনতা থেকে আ. লীগ দেশকে মুক্ত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক উন্নত দেশও লড়াই করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রত্যেক নাগরিককে তিনটি গাছ লাগাতে অনুরোধ করতে চাই এবং সম্ভব না হলে অন্তত একটি গাছ লাগান।’
তিনি শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে গাছ লাগাতে বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৪ সালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৯৮৫ সালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে। বাংলাদেশ কৃষক লীগও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, আ.লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অন্তত তিনটি কাঠ, ফল ও ভেষজ গাছ লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তার দল বিগত বছরের মতো এবারও আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করবে।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন শেরে বাংলা নগরে ৫ থেকে ১১ জুন পরিবেশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বৃক্ষমেলা ২০২৩ ঈদুল আজহার কারণে ৪ দিনের বিরতি রেখে ৫ জুন থেকে ২৬ জুন এবং ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সারাবিশ্বে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’- থিম নিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ পালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান ‘১৬ দিনের প্রচারণা’ অভিযানের অংশ হিসেবে, জোনটা ক্লাব অব গ্রেটার ঢাকা সোমবার রাজধানীর বারিধারায় কয়েকটি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বারিধারা লেক পার্কে বৃক্ষরোপণ এবং এরপরে এক বিশেষ রিকশা র্যালির আয়োজন।
নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে একতা প্রকাশ করে কমলা রঙের পোশাক পরা স্থানীয় রিকশাচালকদের পাশাপাশি বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের নির্বাহী ও সদস্যরাও এই কার্যক্রমে যোগ দেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ-বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি- শুরু করেছেন নড়াইলের এক রাজনীতিবিদ।
কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বন্ধুদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে উপজেলায় ১৯৭১টি এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত ৭১টি করে চারা রোপণ করতে চান।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
শুক্রবার খাশিয়াল ইউনিয়নের বড়দিয়া-কালিয়া সড়কের পাশে চারা রোপণের মাধ্যমে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেন।
বি এম বরকত বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য হলো মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করা। সব বাড়িতে চারা বিতরণ করা হবে এবং ইউনিয়নের সব রাস্তা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।’
বিমান বাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২২ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরও দেশের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২২’ গ্রহণ করেছে।
রবিবার বিমান সদরদপ্তর প্রাঙ্গণ ও তেজগাঁও রানওয়ের পাশে লেক সংলগ্ন এলাকায় চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারের জন্য ২৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মনোনীত
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বৃক্ষ প্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ এ জাতীয় স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছে বিমান বাহিনী।
বর্ষাকালে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আরও সবুজ করতে এই বর্ষাকালে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যসহ সবাইকে বর্ষাকালে ফল, কাঠ ও ভেষজ জাতীয় অন্তত তিনটি চারা রোপণের আহ্বান জানান।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন,১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি বছর তিন মাস ধরে সারাদেশে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করে আসছে আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব: প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি সবাইকে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা শহরে থাকেন তারাও তাদের বারান্দায় গাছ লাগাতে পারেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার উপকূলে ঝাউবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারের জন্য ২৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মনোনীত
বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য সাতজন ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় মনোনীতদের বাছাই করা হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং পদক মূল্যায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান-সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা, জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেন।
আরও পড়ুন: জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদএবার বিদ্যালয়/ সিনিয়র মাদরাসা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে কুলসুম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলা; সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল এবং কে, টি, এম, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল মনোনীত হয়েছে।কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং এস, ডি, ডিগ্রি কলেজ, ঝিনাইদহ মনোনয়ন পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম মনোনীত হয়েছে।অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সেক্টর করপোরেশন ও প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে যথাক্রমে সদর দপ্তর ১৯ পদাতিক ডিভিশন, শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস, টাঙ্গাইল; শুন শিং সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, খুলনা এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লা ।এনজিও, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে মানবসেবা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, নওগাঁ ।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন ড. আতিউর রহমান
ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মো. হজরত আলী আকন্দ, শেরপুর; আদিনা মালিক, চুয়াডাঙ্গা এবং এ, বি,এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, রাউজান মনোনীত হয়েছেন।‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে আধুনিক নার্সারি, ময়মনসিংহ; টিএমএসএস নার্সারী, বগুড়া এবং হানিফ নার্সারী, টাংগাইল মনোনয়ন পেয়েছে।‘বাড়ীর ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনিরা সুলতানা, গাজীপুর ; কবিতা নাসরিন সৃষ্টি, ময়মনসিংহ এবং সাহানা নাসরিন, রাজশাহী মনোনীত হয়েছেন।'বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ধামইরহাট বিট, সামাজিক বন বিভাগ, রাজশাহী এবং চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্প, উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালী মনোনীত হয়েছে।‘বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মো. তাসলিমুল হক, গাজীপুর।১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কারের প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কার প্রাপ্তদের সনদপত্র এবং প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকার একাউন্ট পে-য়ী চেক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
সৌদির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রদূত হাইলের গভর্নর প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সাদের সাথে বৈঠককালে এই আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসুচিতে বাংলাদেশ তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়ে ও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
হাইলের গভর্নর সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ ও মরুভূমিতে বিলুপ্ত বৃক্ষগুলো পূনরুদ্ধারে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ গবেষণার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে সৌদি আরবের সাথে কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে দুই দেশ সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে বলে গভর্নর জানান।
আরও পড়ুন: সৌদি খেজুর চাষে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল
এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার ও প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া, হাইল গভর্নর বাংলাদেশের সাথে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে যৌথ গবেষণার প্রস্তাব দেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে দুই দেশ উপকৃত হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হাইলের জেলখানায় বিভিন্ন কারণে বন্দি বাংলাদেশি অভিবাসীদের মুক্তির ব্যাপারে গভর্নরের সহযোগিতা কামনা করেন।
হাইলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পর্যটক বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দুই দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের কথা ও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত করোনা আক্রান্ত অভিবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: ১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
বুধবার সকালে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হাইলের পুলিশ প্রধান মেজর জেনারেল ড. কিতাব আল ওতাইবির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় হাইলের পুলিশ প্রধান অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত নারী গৃহকর্মীসহ বাংলাদেশি অভিবাসীদের যেকোন জরুরি সমস্যা সমাধানে পুলিশ প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেন। হাইলের পুলিশ প্রধান এ সময় বাংলাদেশিদের ভাই সম্বোধন করে যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত এদিন বিকালে হাইলে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি অভিবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি প্রবাসীদের সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির বিষয়ে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ ও বৃক্ষরোপণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তরের লনের বাগানে সোমবার সকালে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ এবং একটি পর্ণমোচী বৃক্ষরোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়ার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আসেন এবং বাংলায় ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, ‘কাজেই সেপ্টেম্বর মাসেই আজ সদরদপ্তরের সুন্দর একটি জায়গায় বৃক্ষরোপণ করা হলো এবং একটি বেঞ্চ তার নামে উৎসর্গ করা হলো। গাছটি শতবর্ষেরও বেশি টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য এসডিজির রূপরেখা চান শেখ হাসিনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার বিকালে নিউইয়র্কে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে যাত্রাবিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী