আহত ২০
মাগুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৪
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলায় গয়েশপুর ইউনিয়নের ছাবিনগর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- জাহিদ, এরশাদ, জানু, আবেদ আলী, নাছির, জিল্লু, মাহাবুল, আনোয়ার, অনিক, ঠান্ডু, রোকনুজ্জামান, আশরাফ, জাহাঙ্গীর, দেলবার মন্ডল ও সিরাজসহ অন্তত ২০ জন গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক-ভটভটি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
আটকরা হলেন- সোহাগ মন্ডল, আতর আলী, মোমিন, আবেদ আলী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ছাবিনগর মাঠে স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীরের সঙ্গে আরেক বাসিন্দা হারুনের স্যালোমেশিন কেন্দ্রিক বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর আলমগীরের ছেলে রিফাত লোকজন নিয়ে হারুন বিশ্বাসের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এরপরই হান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে লোকবল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমীম আলম বলেন, সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন গ্রামবাসী মারাত্মক আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এবং ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের সম্ভাবনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিএনজিতে যাত্রী ওঠানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত
চাঁদপুরে চাল বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০
চাঁদপুর সদরে চাল বিতরণে অনিয়মকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে লক্ষীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে ও বহরিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বতর্মান চেয়ারম্যান সেলিম খান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনা খানের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার তানজিমুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। রাতে চাল বিতরণে অনিয়মকে কেন্দ্র করে বতর্মান চেয়ারম্যান সেলিম খান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনা খানের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এই ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫০০ কার্ডধারী জেলের জন্য জাটকারক্ষা কমর্সূচির সরকারি চাল বরাদ্দ হয়। বিতরণের সময় ৪০/৫০ জন জেলের চাল কম হওয়ায় বাকবিতণ্ডা ও তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের নির্দেশে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হলে সংঘর্ষ বাধে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসীন আলম ইউএনবিকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠাই। এক পর্যায়ে পুলিশকে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে আক্রমণকারীরা। তারা আমাদের উপর লাঠি-সোটা ও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও মারমুখী লোকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
ডুয়েট শিক্ষার্থী-পরিবহন শ্রমিক সংঘর্ষ, ঢাকা-গাজীপুর বাস চলাচল বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাইয়ের গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পাখিভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকায় বৈশাখি মেলা চলাকালে মঙ্গলবার বিকালে মেলায় পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের এক যুবকের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হলেও পরে সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষ স্থানীয় একটি মাঠে শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নাটোরে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ২
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত ১৩
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে ঘর-বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন ও খেতের ফসল।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর শান্তিগঞ্জ, দিরাই উপজেলার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
ঝড়ের কবলে পড়ে নারী শিশুসহ অন্তত ১৫ জন এবং শহরের কালিবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙে পড়ায় চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, রায়পুর আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের শতাধিক কাঁচা ও টিনশেডের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজার। বাজারের সড়কের দুই পাশের অস্থায়ী দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে সড়কে পড়ে যায়।
এদিকে সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় দুই পাশের পরিবহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ঘণ্টাব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব শাহরিয়ার বলেন, পাগলাবাসী এমন ঝড় আর দেখেনি। দুমড়েমুচড়ে গেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকার অনেক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপণ রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঁচজন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
বরিশালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ নিহত ৪
বরিশালে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যানসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
বুধবার (১৩ মার্চ) জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া এলাকা, উজিরপুরের সানুহার ও বাবুগঞ্জের গড়িয়ারপাড় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহতরা হলেন, মাদারিপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান সাঈয়াদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলার মনতাজ উদ্দিনের ছেলে মজনু হোসেন, উজিরপুর উপজেলার সানুহার গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে সুমন ও চাকলাদার পরিবহণের সুপার ভাইজার কাদের।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান সোহাগ বলেন, সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়ায় একটি মাহিন্দ্রা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে আছড়ে পড়ে।
এতে মাহিন্দ্রার যাত্রী কালকিনি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ছয় মাহিন্দ্রাযাত্রী আহত হয়েছে।
ওসি সোহাগ আরও বলেন, উজিরপুর উপজেলার সানুহারের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে চাকলাদার পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস বরিশালের দিকে আসছিলো।
এসময় পথের মধ্যে সুমন নামে একজন পথচারী চলে আসে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে গাড়িটি পাশ্ববর্তী গাছে আচড়ে পড়ে। এতে পথচারীসহ বাসের সুপার ভাইজার নিহত হয়। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ১৩ জন।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বিমান বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল বিমান বন্দর থানার গড়িয়ার পাড় এলাকায় মাহিন্দ্রার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এতে মোটর সাইকেল চালক মজনু মারা যান। এ সময় মোটরসাইকেলের একজন আরোহী আহত হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা মোটরসাইকেল চালক নিহত
হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন আহত
আড়াইহাজারে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ২০
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথমদিনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অবরোধকারীরা দুটি বাস ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের পাঁচরুখীতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কের উপর গাছের গুঁড়ি, সিমেন্টের পিলার ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় লাঠিসোটা হাতে তারা সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
একই সময়ে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, মঙ্গলবার বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবরোধ করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় তারা।
তিনি জানান, এ সময় তারা তিন পুলিশ সদস্য কুপিয়ে আহত করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপি নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার সময়ে তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও ককটেল বিস্ফোরণে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য গুরুতরসহ ছয়জন আহত হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে পর্যন্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাওয়ার পথে চলন্ত শাটল ট্রেনের সঙ্গে গাছের ধাক্কা লেগে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় রাতভর উত্তাল ছিল চবি ক্যাম্পাস।
এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করেছেন ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন: কমিটির দাবিতে চবি ফটকে ছাত্রলীগের অবরোধ
এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালেই শিক্ষার্থীরা নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেন। এসময় তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থী আহতের জবাব ও শাটল ট্রেনের বগি বাড়ানোর দাবি জানান। এ ছাড়াও জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে হাটহাজারীর চৌধুরীহাট এলাকায় চট্টগ্রাম শহর থেকে শাটল ট্রেনের ছাদে করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই শাটলের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে চড়ে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল নুয়ে পড়ে। এতে বৃহস্পতিবার বিকেলেও এক শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে অন্ধকার থাকায় ক্যাম্পাসগামী ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা গাছের ডালের ধাক্কায় আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফতেয়াবাদ মেডিকেল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হওয়ার পর চৌধুরীহাট এলাকায় এলে গাছের একটি ডালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে তিনজন ট্রেন থেকে পড়ে যান। এ ছাড়া ১৫-২০ জনের মতো আহত হন। তার মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অনেকের মাথা ও মুখ ফেটে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক জানান, চবিতে আহত ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জন আইসিইউতে, ৫ জন সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। বাকি ৮ জন ক্যাজুয়ালিটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
যারা ভর্তি আছেন তারা হলেন- আমজাদ হোসেন সোহাগ (১৮), খলিলুর রহমান (২২), অংসইনু মারমা (২১), তাইজুল ইসলাম (২১), আবু সাঈদ (২৪), মোহাম্মদ সান (২১), রাফসান (২৩), আসলাম(২২)।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ট্রেনের ছাদে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। তারা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, রাতে ট্রেনের ছাদে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১৫/২০ জনের মতো আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। আমরা আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকগুলোয় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষার্থীদের দেখতে যান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এসময় তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের পাশে প্রশাসন রয়েছে। চিকিৎসায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, এজন্য আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি শাটল ট্রেন প্রতিদিন মোট ১৪ বার শহর-ক্যাম্পাস-শহর আসা যাওয়া করে। প্রতিটি শাটলে দশটি করে বগি আছে। ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতে যা খুবই অপ্রতুল। প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও বাড়েনি শাটলের শিডিউল। বরং লোকবলের সংকটে করোনা-পরবর্তী বন্ধ করে দেওয়া হয় নিয়মিত শিডিউলের ডেমু ট্রেন। এতে ট্রেন ও বগি সংকটের কারণে প্রতিদিন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
চাঁদপুরে যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন-লোকমান গাজী, মুকসুদ, হাবিব খান, সোবাহান বেপারী, সাদা সুমন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
জানা যায়, খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা ও পুরান বাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘটনার পর ইউনিয়ন যুবদলের শত শত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ঘোষিত যুবদলের কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
তারা অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এ কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও নব-ঘোষিত সেক্রেটারি নূর মোহাম্মাদ বেপারী জানান, শুক্রবার বিকালে আমাদের বহুল প্রতিক্ষিত ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভূঁইয়ার বাড়িতে হয়। আমাদের সদর থানা বিএনপি এবং যুবদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমাকে সভাপতি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারীকে সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, হঠাৎ করে তারা অদৃশ্য কারণে পাঁচ মিনিটের সময় চেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে অন্যত্র যান। ফিরে এসে তারা দ্বিতীয় দফায় যে কমিটি ঘোষণা করেন, তাতে আমাকে সেক্রেটারি এবং নুরু ইসলাম পাটোয়ারীকে সভাপতি করা হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরু ভূঁইয়া নিজে আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছেন। আমাদের ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হয়ে কি করে যুবদলের নেতা-কর্মীদের গায়ে হাত তোলেন। তারা টাকার বিনিময়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কমিটি পাল্টে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই কমিটি বাতিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বহিষ্কারের দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও নব-ঘোষিত সভাপতি নুরু ইসলাম পাটোয়ারি বলেন, আমি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। আমাদের আহ্বায়ক দাদন খানকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। আজকে সাংগঠনিক নিয়মে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে সভাপতি এবং সদস্য সচিব নূর মোহাম্মাদ বেপারীকে সাধারণ সস্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু নূর মোহাম্মাদ বেপারী হট্টগোল করেন।
তিনি আরও বলেন, তার নেতৃত্বে যে বিশৃঙ্খলা করা হয় তাতে আমরা বিব্রত। আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ নিহত ৩
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
শনিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভাইবোন নিহত এবং সদরের কালিবালায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ও ২০জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রাইভেটকারে ভাইবোনসহ তিনজন বগুড়া থেকে রংপুর যাচ্ছিলেন। শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা চকপাড়ায় আসার পর প্রাইভেটকারের চাকা ফেটে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার এক ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) আলী জাহান।
তিনি জানান, এতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। নিহতরা হলেন- বরিশালের হিজলার হরিনাথপুর এলাকার হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী কুহেলী আকতার(২৬) ও কুহেলীর ছোট ভাই সিয়াম হোসেন (২০)। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবির।
ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান বলেন, ‘নিহত দুজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এদিকে বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দীন জানান, গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সৈকত পরিবহনের বাস শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের কালিবালা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও ২০ জন যাত্রী আহত হন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মিলন হোসেন। তিনি গাইবান্ধা সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি সৈকত নামে ঢাকাগামী বাসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
চাঁদপুরে বোনকে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ভাইয়ের
বি.বাড়িয়ায় চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২০ জন।
শনিবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় এই মৃত্যু হয়।
নিহত শীতল মিয়া(৬০) উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় অন্তত ছয়টি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তারপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে সেলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যানের কাজ করা ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেনের করাত কলে লগ আনলোড করা একটি পিকআপ ভ্যান থেকে রহিম ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
একই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে মুক্তারপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মানিক ও ধরভাঙ্গা গ্রামের খোকন মিয়াকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ধারাভাঙ্গা গ্রামের কিছু বাসিন্দা স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুক্তারপুর গ্রামে হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে শীতল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তারা মূল্যবান মালামাল লুটপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে শীতল মিয়া মারা যান।
আহতদের মধ্যে মালেক মিয়া, দুলাল মিয়া, মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন মিয়া, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলী রয়েছেন।
ওসি সাইফুদ্দিন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
দামুড়হুদায় ট্রলি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১