গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত: মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।
তিনি বলেন, খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে এ খাত থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে এ খাত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) প্রকাশিত ‘এফএলজেএফ ভয়েসের’প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য রোগ মুক্ত গবাদিপশুর অঞ্চল তৈরি করে আমরা মাংস রপ্তানির প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
তিনি বলেন, এভাবেই সাম্প্রতিককালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এ উন্নয়ন দৃশ্যমান উন্নয়ন, এ উন্নয়ন কথার ফুলঝুড়ি নয়, এ উন্নয়ন বাস্তবসম্মত উন্নয়ন। এ উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার গণমাধ্যমকর্মীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ার অনেক পথ ও পন্থা দেখিয়েছে গণমাধ্যম।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৮২ শতাংশ, এটি বিস্ময়কর। এক সময় বলা হতো মাছের আকাল, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ যেগুলো একসময় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো এখন সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লাখ টন লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, মাছ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং ইলিশ আহরণে প্রথম স্থানে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের খাবারের জন্য মাছ সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে এবং বিদেশে রপ্তানির মাছও নিরাপদ হবে। ফলে মাছ রপ্তানিতে মানসম্পন্ন জায়গায় আমরা পৌঁছুতে পেরেছি। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের টেকসই আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য নৌযান মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০টি আর্টিসনাল মৎস্য নৌযান ও ৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের অর্জন তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দুধ উৎপাদনের পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ৫ গুণ, ৭ গুণ এবং ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ সহায়তা প্রদান ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রাণিচিকিৎসা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলার ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে অসুস্থ প্রাণিকে এখন হাসপাতালে নিতে হয় না, হাসপাতাল প্রাণির কাছে চলে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ফলে কোরবানির সময় এখন পাশ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভর থাকতে হয় না বরং উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কোরবানির হাটে গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে চিড়িয়িাখানা পরিচালনার জন্য কোনো আইন ছিলনা। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আইন সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের চিড়িয়াখানার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। দেশে ডেইরি খাতের জন্য ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিপিজেএ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিপিজেএ-এর সঙ্গে জাতীয় সংসদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। সংসদ বিষয়ক সাংবাদিকতা বিশেষ ধরনের, যা সাংবাদিকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে আসছেন। বিপিজেএ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’ সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এল.ডি হলে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) উদ্যোগে ‘পার্লামেন্ট জার্নাল’- শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এসময় স্পিকার গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পার্লামেন্ট জার্নালের এই প্রকাশনাটি একটি গঠনমূলক প্রকাশনা।
তিনি আরও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট থেকে বিষয়ভিত্তিক লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই জার্নালে আইন প্রণয়ন পদ্ধতি থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই জার্নাল রিসার্চ এবং সংসদ বিষয়ক রেফারেন্সের একটি ভালো উৎস হতে পারে।
স্পিকার আরও বলেন, বিপিজেএর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা প্রকাশ করতে পারে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, বিষয় ভিত্তিক ডেমোক্রেসি, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশনা বের করতে পারে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এগিয়ে চলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র এগিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে সাংবাদিকেরা সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সংবিধান একটি লিভিং ডকুমেন্ট। এদেশের সংবিধানকে কোন বহিঃদেশ থেকে আমদানি করা হয় নাই।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই সংবিধান প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
তিনি এসময় ১৯৭২ এ গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানান।
বিপিজেএ’র সভাপতি হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি মশিউর রহমানের সঞ্চলনায় সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা, পার্লামেন্ট জার্নালের সম্পাদক কামরান রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাহেদ চৌধুরী, মুফতি আহমেদ, হারুন জামিল, সজল জাহিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব নাজমুল হক, যুগ্মসচিব তারিক মাহমুদ ও উপসচিব আজিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
বিপিজেএ’র অর্থ সম্পাদক শরীফ খিয়াম, দপ্তর সম্পাদক জেসমিন মলি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসাইন শেখ ও মিজান রহমান, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: শিরীন শারমিন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক। দক্ষিণ এশিয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্লাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরস কাউন্সিলের (এসএটিআরসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকার হিসেবে শপথ নিলেন শিরীন শারমিন
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে।
শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে আসছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ও কর্মকৌশল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব: ড. শিরীন শারমিন
শিক্ষার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পুরানা মোগলটুলী স্কুল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, শিক্ষার জাগরণে পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ তলা ভিত্তিসহ চার তলাবিশিষ্ট শিক্ষা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এই পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় একটি জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ছিল। অত্র এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় চার কোটি ব্যয়ে আমরা চারতলা ভবন করে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদীমুখী গোড়াপত্তন দৃশ্যমান হবে: ডিএসসিসি মেয়র