মতিউর রহমান
সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষাখাতে মতিউর রহমানের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, এই একুশে পদক বিজয়ীর মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রবিবার (২৭ আগস্ট) ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
তার ছেলে মুহিত-উর-রহমান শান্ত ইউএনবিকে জানান, সোমবার (২৮ আগস্ট) বাদ আসর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মতিউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, তার দুই বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তারা দেশে আসছেন। তারা পৌঁছানোর পর আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোকনামাজে জানাজা শেষে তার বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মতিউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, তিনি জামালপুরের নান্দিনা কলেজ এবং পরে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মতিউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন।
তিনি বলেন, অগণিত প্রলোভন এবং বারবার কারাভোগকে উপেক্ষা করে মতিউর রহমান তার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অটল থেকেছিলেন।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শেখ হাসিনা বলেন, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন প্রশিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধাদের সফল সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যু দলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং তার মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচরকে হারালাম।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রবিবার (২৭ আগস্ট) ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
তার ছেলে মুহিত-উর-রহমান শান্ত ইউএনবিকে জানান, সোমবার (২৮ আগস্ট) বাদ আসর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মতিউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: পদার্থবিজ্ঞানী বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি জানান, তার দুই বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তারা দেশে আসছেন। তারা পৌঁছানোর পর আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তার বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মতিউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, তিনি জামালপুরের নান্দিনা কলেজ এবং পরে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র প্রথম আলোর সম্পাদকসহ অন্য কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
যেখানে বলা হয় যে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, অজ্ঞাতনামা 'সহকারী ক্যামেরাম্যান' সহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রমনা থানায় ওই দিন রাত দেড়টায় মামলাটি দায়ের করেন আবদুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে এক আইনজীবী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা তুলে নেওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বুধবার বিকালে পত্রিকাটির সাভার প্রতিনিধি শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে শামসের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা দিবসে ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেমনটা ইউএনবির গতদিনের (বুধবার) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম আলো সর্বশেষ মামলার বাদী আবদুল মালেকের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে। যিনি বলেন, ‘মামলাটার আমি এজাহার দায়ের করেছি, হয়েছে (মামলা) কি না, জানি না। হয়েছে কি না, ওরা (পুলিশ) যোগাযোগ করেছে কোথায় কোথায়, পুলিশের ব্যাপার তো, বোঝেন না।’
তবে রমনা থানা পুলিশ পত্রিকাটিকে কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমটির দুই সাংবাদিক থানায় যান। কিন্তু দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও থানায় ঢুকতে পারেননি।
তাদের এফআইআরের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করতে সকালের ফিরে যেতে বলা হয়।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
প্রায় ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
সচিব জানান, তদন্তকালে আসামি মতিউর রহমানের নামে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের নামে আট কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মতিউর রহমান ছয় কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমান দুই কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারার গত বছর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। পরে তদন্ত শেষে চলতি মাসে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ