মুক্ত
এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার ঘোষণা স্পিকারের
সেন্টমার্টিনের পর এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের (বিটিবি) আয়োজনে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের এ মেলা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের একক ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেও প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারের সব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমরা সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এর একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে বিদেশি পর্যটকরা আরও বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে।
স্পিকার বলেন, শ্রীলঙ্কা শুধু পর্যটনের আয়ে চলছে। তাদের মতো করতে পারলে আমাদেরও আয় বাড়বে। এজন্য আমরা ঢাকায় ট্যুরিস্ট বাসের ব্যবস্থা করতে পারি। এতে বিদেশি পর্যটকরা একটি ট্যুরের মাধ্যমে ঢাকা শহরের ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে। পুরান ঢাকার জন্য একটি রুট, নতুন ঢাকার জন্য একটি রুট, নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: কৃষকই শেখ হাসিনার উন্নয়নের মূল কারিগর : ডেপুটি স্পিকার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার।
চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিং এর আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনিউর ২৬টি, এয়ারলাইনস দুইটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
কালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখল মুক্ত করেছে পুলিশ
নড়াইলের কালিয়ার সেই মুক্তিযোদ্ধা এস এম মতিয়ার রহমানের বসতঘর দখল মুক্ত করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তালা খুলে দখল মুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মতিয়ার রহমান উপজেলার বিলধুড়িয়া গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে।
এর আগে ৩০ মার্চ বিরোধীরা তার বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে নিলে মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান গত ১০ এপ্রিল ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য থাকার সুযোগে প্রতিবেশি মো. শাহাজান শেখ এক খণ্ড জমি নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। একজন অসুস্থ্য ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে একটি বীর নিবাস উপহার দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বীর নিবাস হস্তান্তর করলে মতিয়ার তার বসতঘরটি তালাবদ্ধ করে স্বপ্নের বীর নিবাসে চলে যান।
৩০ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে শাহাজানের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজন দুর্বৃত্ত মতিয়ারের তালাবদ্ধ বসত ঘরের তালা ভেঙে দখল করে ঘরে থাকা মালামাল লুটে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই দিনই সন্ধ্যায় তিনি বড়নাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির (ক্যাম্প ইনচার্জ) কাছে দখলদার উচ্ছেদসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করে। পরে তিনি অভিযোগটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিয়া থানায় পাঠন।
এরপর ১৫ দিন পর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হস্তক্ষেপে দখলকৃত বসতঘরটি দখল মুক্ত করে মতিয়ার রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।
মতিয়ার রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, তার বসতঘরটি অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। ন্যায় বিচার পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শেখ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখলের অভিযোগটি জানতে পেরে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বসতঘরটি দখল মুক্ত করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সমস্যার সমাধান করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলে জানান।
কালিয়ার ইউএনও ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি রুনু সাহা বলেছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আইনি সহায়তা দিয়ে তার অধিকার সংরক্ষণ করাই প্রশাসনের মূললক্ষ্য।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তার সমস্যার সমাধান করায় তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিকাল ৪টার দিকে জামিনের আদেশ পাই এবং সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে বের হন। শামসুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তাকে জেল গেট থেকে অভ্যর্থনা জানান।
এরআগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শামসুজ্জামানকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
অন্যদিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩০ মার্চ ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরে তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ওই প্রতিবেদকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গত ১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআর-এ আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
কুখ্যাত ফরাসি সিরিয়াল কিলার নেপালের কারাগার থেকে মুক্ত
স্বীকৃত ফরাসি সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আমেরিকান এবং কানাডিয়ান পর্যটককে হত্যার দায়ে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শোভরাজকে কাঠমান্ডুর সেন্ট্রাল জেল থেকে বের করে দেয়ার পর তার ভ্রমণ নথি প্রস্তুত করার জন্য ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে একটি কঠোর প্রহরায় পুলিশ কনভয়ে তিনি অপেক্ষা করবেন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে নেপালের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শোভরাজকে খারাপ স্বাস্থ্য, ভাল আচরণ এবং ইতোমধ্যে তার বেশিরভাগ সাজা ভোগ করায় তাকে মুক্তি দেয়া হবে। নেপালে যাবজ্জীবন সাজা ২০ বছর।
আদেশে আরও বলা হয়েছে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।
শোভরাজের অ্যাটর্নি গোপাল সিওয়াকোটি চিতান সাংবাদিকদের বলেছেন যে ভ্রমণ নথিগুলোর জন্য নেপালে ফরাসী দূতাবাসে অভিবাসন বিভাগকে অনুরোধ করতে হবে।
এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বড়দিনের ছুটির জন্য সপ্তাহের শেষ দিকে অফিস বন্ধ থাকে।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যে তিনি ইতোমধ্যে তার ৭৫ শতাংশেরও বেশি সাজা ভোগ করেছেন, যা তাকে মুক্তির যোগ্য করে তুলেছে। এছাড়াও তার হৃদরোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
ফরাসি ব্যক্তি অতীতে বেশ কয়েকজন পশ্চিমা পর্যটককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি আফগানিস্তান ও ভারতে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করেছেন বলে মনে করা হয়।
১৯৭০ এর দশকে থাইল্যান্ড, তুরস্ক, নেপাল, ইরান এবং হংকং ছাড়া নেপালে ২০০৪ সালে অভিযুক্ত হওয়ার পরে তিনি প্রথমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
শোভরাজকে চুরির সন্দেহে নয়াদিল্লির সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা বেষ্টিত তিহার কারাগারে দুই দশক ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফ্রান্সে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কাঠমান্ডুতে পুনরুত্থিত হন।
তার ডাকনাম দ্য সার্পেন্ট একজন ছদ্মবেশী এবং পালাবার কারিগর হিসাবে তার খ্যাতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা