বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
তারেক-ইউনূসের বৈঠক জনগণের মধ্যে স্বস্তির বার্তা এনেছে: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক দেশের জনগণের মধ্যে স্বস্তির বার্তা এনেছে এবং গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সঠিক রাখার প্রত্যয়কে আরও সুদৃঢ় করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এমন কথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) অনুষ্ঠিত এই বৈঠক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন গতি ও শক্তি জুগিয়েছে।’
‘গতকাল লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মধ্যে যে বৈঠকটি হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ বৈঠক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এবং এটি প্রত্যাশিতই ছিল। এই বৈঠকের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং দলের পক্ষ থেকে ড. ইউনুস ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।’ ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নেওয়ার পর জাতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা, যোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
গত ১৫ বছরে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী ও দলকে ভোট দিতে পারেনি দাবি করে দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভোটের নামে প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এমন একটি নিয়ন্ত্রিত ভোট জালিয়াতির ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যেখানে ভোটকেন্দ্রে মানুষের লাইন থাকলেও প্রকৃত ভোটগ্রহণ হয় না এবং জনগণের পছন্দের দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে এই ছদ্ম নির্বাচনকেই আসল নির্বাচন হিসেবে প্রচার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রতিবেশী ভারত—যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে, তারাও এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের এই প্রতিবেশী দেশটি, যার নিজেদের বন্ধু এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে—তারা আসলে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শক্তি। আমাদের তাদের ব্যাপারে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
১৭৪ দিন আগে
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে তার দল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লব নয়, দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। না হয় এ আন্দোলন সংগ্রামে শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দুই বছর চেষ্টা করে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রের এমন কোনো বিষয় নেই, যা ৩১ দফার মধ্যে নেই। এটাই রাষ্ট্রের মূল সংস্কার।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে উত্তোলন করতে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুসহ লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
৩৮৩ দিন আগে
খন্দকার মাহবুব আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে সোমবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাদ জোহর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদে (মাটির মসজিদ) পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুবকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে
চারবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মাহবুব ৮৪ বছর বয়সে শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার প্রথম জানাজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মসজিদে, দ্বিতীয় জানাজা মিরপুরের খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে, তৃতীয় জানাজা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং চতুর্থ জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মাহবুবের মরদেহ আনার পর বিএনপির নেতাকর্মী, আইনজীবী, বিচারক ও আদালতের কর্মকর্তারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
গত ২৬ ডিসেম্বর মাহবুবকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তার নিউমোনিয়া ও ফুসফুসে পানি জমে যায়।
প্রখ্যাত এই আইনজীবীকে একদিন পরে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল এবং তার কিডনি কাজ না করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
মাহবুব ১৯৬৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন এবং তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হন।
তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের একজন ছিলেন।
মাহবুব ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনার একটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব মারা গেছেন
১০৬৭ দিন আগে