ইয়াও ওয়েন
বাংলাদেশে ‘সুশৃঙ্খল, সফল ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন চায় চীন
বাংলাদেশ এখন সংস্কার ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চীনের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল জাতীয় নির্বাচন এবং দেশের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত উন্নয়ন পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায়ও চীনের সমর্থন রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতা অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীন চাইছে বাংলাদেশে একটি সুশৃঙ্খল, সফল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল বাংলাদেশের জনগণের, বাইরের কোনো দেশের নয়।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাবেক ডিক্যাব সভাপতি শামিম আহমেদের মৃত্যুতে এবং সম্প্রতি উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশু ও অন্যান্য নিরীহ মানুষের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানসম্মত উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশ-পাকিস্তান-চীন ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ
অনুষ্ঠানে চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি লক্ষ করেই চীন এই উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীনের বহু ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ রয়েছে। এ উদ্যোগটি সর্বশেষ সংযোজন মাত্র।’
গত কয়েক মাসে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সব রাজনৈতিক দলকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশে এখন সুযোগ রয়েছে তাই চীন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
এর আগে বিএনপি ও জামায়তসহ কিছু দলের সঙ্গে এ ধরনের যোগাযোগে বাধা ছিল। এ নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা তো জানেনই!’
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার
এ সময় চীন বাংলাদেশের এক বিশ্বস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে সবসময় পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে চীন অভিজ্ঞতা বিনিময়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তুতি রেখেছে বলে তিনি জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও একত্রে আধুনিকতা অর্জন এবং এশিয়ার উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনে অবদান রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, সম্প্রতি কুনমিংয়ে চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে বাস্তব অগ্রগতি অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রাতরাশের বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশকে বৈশ্বিক দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মূল অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করে ইয়াও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই চীনের প্রতিবেশি কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং বাইরের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছি।’
এ সময় ‘এক চীন’ নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও চীনের মৌলিক স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগে দৃঢ় সমর্থনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
ত্রিপক্ষীয় এই উদ্যোগে কেন শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, বাকি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে নয়—এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশকেও এ উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেছে। তবে তারা কেমন সাড়া দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
১২৮ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের চীন সফরের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাদের আন্তরিক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় সূত্র জানায়, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে বিএনপির নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে পাঁচ দিনের সফরে চীন গিয়েছিল।
১৪৯ দিন আগে
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে চীনের সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক ও শক্তিশালী করতে প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের বিচারকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও বিনিময়ে সহযোগিতা করতে চীনের প্রস্তুতির কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে।
চীনের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।
৩৩৯ দিন আগে
চীনের ৫ কোম্পানি এক মাসে ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে: ইয়াও ওয়েন
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক মাসে চীনের পাঁচটি কোম্পানি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সব স্বল্পোন্নত দেশের শতভাগ শুল্ক সুবিধা প্রদানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পররাষ্ট্র সচিবের অতীতের অবদানের কথা স্বীকার করে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ ও বন্ধুত্বের বিষয়ে চীনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গভীর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব' আরও এগিয়ে নিতেবাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাণিজ্য সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, চীন আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব কাঁঠাল ও পেয়ারাসহ আরও কয়েকটি কৃষিপণ্য আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুযোগ দিতে চীন প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার অভিযানের জন্য নৌকা, বিদ্যুৎ জেনারেটর এবং লাইফ জ্যাকেটের মতো সরঞ্জামও সরবরাহ করতে চায়। পররাষ্ট্র সচিব জসিম চীনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ ২০২৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি তালিকা প্রস্তুত করার বিষয়েও আলোচনা করেছে।
অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসানসহ ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর: ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে 'বহুমাত্রিক' আলোচনা
৪৪৭ দিন আগে
শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ চীনের
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন ও বাংলাদেশের লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে মেধার উন্নয়ন ঘটানো। এ লক্ষ্যে চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
এ সময় তারা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
চীনের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার কথাও জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
এসময় ইয়াও ওয়েন চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত উচ্চ শিক্ষা প্রদর্শনীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।
শিক্ষা উপদেষ্টা চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণে আগ্রহের কথা জানান।
তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে ‘লুবান কর্মশালা’র মাধ্যমে চীন সরকারের সহযোগিতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন
৪৫৮ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
৬৮৯ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
আজ চীনের রাষ্ট্রদূত গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং বাস্তবিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে চীনা নেতারা তার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে এবং আধুনিকীকরণের পথে চীন সর্বদা বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চীন ও বাংলাদেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় চীন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।
চীন ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন এই কূটনীতিক।
'রূপকল্প ২০৪১' এবং 'সোনার বাংলার' স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উচ্চমানের চীন-বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ জোরদার এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নে নিজস্ব অবদান রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
৬৯৭ দিন আগে
যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন করার জন্য যৌথ বৈশ্বিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করে আসছেন, তারা কখনোই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যায়নি।
তিনি বলেন, ‘এটি বেশ অদ্ভুত। বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জীবনযাপনের জন্য কক্সবাজারের পরিস্থিতি উপযুক্ত কি না তারা এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। এ বিষয়ে তাদের নিজেদেরই নিজেদের প্রশ্ন করা দরকার।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে এসেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এর ষষ্ঠ বার্ষিকী ছিল।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে জর্জরিত করছে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ এসব বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কক্সবাজার ক্যাম্পে হত্যা, বন্দুকযুদ্ধ, অপহরণ, মাদক ও মানব পাচার চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহিরাগত সহায়তাও কমছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য খাদ্য রেশন প্রতি মাসে ১২ থেকে কমিয়ে ৮ মার্কিন ডলার করা হয়েছে, যা টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়।’
চীনের রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেছেন, সব পক্ষই ক্রমবর্ধমানভাবে উপলব্ধি করেছে যে প্রত্যাবাসনই একমাত্র উপায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তার দৃঢ় সংকল্প ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘যদিও রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়, তবে উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিবেশী এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন দুই পক্ষকে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতবিরোধ নিষ্পত্তি করার বিষয়ে মত পোষণ করে। যাতে করে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।’
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে চীন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিন ধাপের প্রস্তাব পেশ করেছে। এগুলো হলো-সহিংসতা বন্ধ করা, প্রত্যাবাসন শুরু করা এবং উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে চীন তার সামর্থ্যের মধ্যে অনেক রকম সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সুবিধার শর্ত উন্নীত করতে সাহায্য করেছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যক্ষ আলোচনার ব্যবস্থা করেছি এবং দুই পক্ষকে উৎসাহিত ও সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
৮৩১ দিন আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শনিবার বলেছেন যে চীন, একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে অনেক লোক মুখে মুখে সাহায্যের কথা বলে, তবে কেবল চীন প্রত্যাবাসনকে তরান্বিত করতে বাস্তবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগ্নসিস ফর দ্য ফিউচার)-শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
পুনর্বাসনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ১৫টি গ্রাম ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রতিনিধি দলের নেতাও বলেছেন, ‘আমরা মংডু শহরের চারপাশে তাদের জন্য করা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে ২০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ফিরে এসেছি। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
৯৪৩ দিন আগে
ভাসানচর পরিদর্শনে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূত নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জাপান, চায়না, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধি দল ভাসানচর পৌঁছান।
সকাল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচর পৌঁছান জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো।
তাদের সঙ্গে আছেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসার-ইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।
একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলও ভাসানচর আসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
এই দলে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক-৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক-১৪ ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় ভাসানচরের বিভিন্ন ওয়্যার হাউজে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশা পূরণে আরও সম্পদ প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত নাওকি
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি
১০২১ দিন আগে