জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৯ আগস্ট) রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ এই ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছে। তাদের আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় কাজ হবে।
তিনি জানান, শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ‘তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিইসি ও ইসি নিয়োগে হবে বাছাই কমিটি: আলী রীয়াজ
নাসির উদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইসি কোনো দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না।
‘আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে কাজ করব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ইসি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে,’ বলেন তিনি।
ভোটাধিকার প্রয়োগে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোট দেওয়া শুধু নাগরিক দায়িত্ব নয়, এটি নৈতিক দায়িত্বও।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছভাবে আয়োজনের জন্য ইসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান সিইসি।
১১৮ দিন আগে
নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ তহবিল ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগেই যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেটা ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন একটি নিয়মিত চ্যালেঞ্জ: সালেহউদ্দিন
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।’
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয় তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনোভেট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৫৭ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
১৭২ দিন আগে
ইউনূস-তারেক বৈঠক: নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গতি এনেছে বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই বৈঠকের পরে জাতীয় রাজনীতিতে স্বস্তির বার্তা এসেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা ইউএনবিকে বলেন, ‘এতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতার পথ তৈরি হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউনূস-তারেক বৈঠকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা আরও শক্তিশালী হয়েছে, যদিও এটি কিছু রাজনৈতিক দলের ‘অস্বস্তির’ কারণ হয়েছে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, এই বৈঠক নির্বাচন ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা দূর করতে সহায়ক হয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি ও এর মিত্রদের সম্পর্ক উন্নত করেছে।
তাদের বিশ্বাস—সরকার আন্তরিক থাকলে প্রয়োজনীয় সংস্কার, জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের কাজ শুরু করে দ্রুত নির্বাচনসূচি ঘোষণা সম্ভব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের কোনো টানাপোড়েন ছিল না: পরিবেশ উপদেষ্টা
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন দলটির নেতারা। এতে আসন্ন নির্বাচনে বড় জয় নিশ্চিত করতে দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন বলে মনে করেন তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পর বড়া আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবিতে লন্ডনের বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করেছে।
বৈঠকের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। এখন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে এগোবেই বলে মনে করছেন তারা।
সরকার ও বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের বৈঠকটি দুই নেতার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি দুজন সিনিয়র উপদেষ্টা, কয়েকজন সিভিল সোসাইটি সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক ও তারেকের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর সক্রিয় প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, বৈঠকটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমান এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চেয়ে জোর দেন। এতে, অধ্যাপক ইউনূস একমত হয়ে বলেন, রমজানের আগেই নির্বাচন হতে পারে।
তারা বলেন, তারেক রহমান সংস্কার, জুলাই সনদ এবং গণআন্দোলনে নিহতদের বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বৈঠকে উভয় নেতাই আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগকে সম্মান জানান এবং দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।
সূত্র জানায়, বৈঠকে তারেক রহমান ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেন। অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস পরিষ্কার করে জানান, তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, তিনি কেবল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে চান।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নিশ্চিত করেছেন, ড. ইউনূসকে তারেক রহমান জানিয়েছেন—নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে তার (ড. ইউনূস) অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে দেশ পুনর্গঠনে পরামর্শ নেবে বিএনপি।
বিএনপির ওই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সূচি অনেকটা চূড়ান্ত হওয়ায় বিএনপি পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে। ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, ‘তারেক রহমান এরইমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি, তথ্য সংগ্রহ ও নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন।’
এদিকে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি শিগগিরই নাগরিক ঐক্য, জাসদ (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, জাতীয় পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, ১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনিশ্চয়তা কমিয়েছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দরজা খুলে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ‘আগে প্রশ্ন ছিল—নির্বাচন আদৌ হবে কি না। কিন্তু এখন দেশ নির্বাচনমুখী। কেউ কেউ সংস্কার বা বিচারের কথা বলছে, কিন্তু সেগুলো নির্বাচন থামাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ এবং ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অনেকদিন ধরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। এখন সেই সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়েছে।’
তার মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন নিয়ে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। এতে দেশের বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন যখনই হোক, ইসিকে প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
এদিকে, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘এই বৈঠক দীর্ঘ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরে দেশবাসীর মধ্যে শান্তি ও আশার আলো এনেছে। এখন আমরা সবাই নির্বাচন উৎসবের জন্য প্রস্তুত।’
১৭২ দিন আগে
পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। তখন তারা কিছু আসন পেয়েছিল। এবার তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন অংশ নেয়নি। পরে নানান বাহানা, নানান দাবি নিয়ে নির্বাচন বর্জনের কৌশল নিয়েছে তারা।’
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ার বাচা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কখা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যেমন করে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে; এবারও তারা একই কাজ করছে। তবে দেশের মানুষ এই নির্যাতন চায় না, বিশৃঙ্খলতা চায় না। তাই তারা আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসছেন।’
৬৯৮ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) সকালে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সংবিধানের 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' অনুচ্ছেদের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
আজ সকালে ঢাকার বনানী এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি দলকে টহল দিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক মোতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
৬২টি জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এককভাবে ৪৫টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আগামীকাল থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন
এছাড়া বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী যথাক্রমে ৪৭টি সীমান্তবর্তী উপজেলা ও ৪টি উপকূলীয় উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
ভোলা ও বরগুনাসহ উপকূলীয় ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে।
এছাড়া নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সেলটি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে বিজিবির ডগ স্কোয়াড মোতায়েন
৭০২ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে জনসমাগম ততই বেড়ে চলেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবার আগেই নেওয়া হয়েছে। ফলে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছেন, করছেন। শুধুমাত্র তারাই আছেন যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা খণ্ডকালীন চাকরি করছেন।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোকছেদুর রহমান পলাশ নির্জন ক্যাম্পাস দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এরকমটা শুধু ঈদের ছুটিতেই দেখা যায়। ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে এরকম খালি ক্যাম্পাস এর আগে দেখিনি।
তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করে বলেন, ক্যাম্পাস তখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
ক্যাম্পাস এভাবে খালি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যেসব ব্যবসা গড়ে উঠেছে সেগুলোতে বেশ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি হলের ক্যান্টিন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একটি দোকানের মালিক আরিফ উদ্দিন জানুয়ারির শুরুতেই দোকান বন্ধ করে চাঁদপুরে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার ডালিম সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমেছে। আমরা সাধারণত ৭০০ থেকে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার প্রস্তুত করি। এখন, তা ৩০০-এর আশেপাশে নেমেছে।’
তিনিও ভোট দিতে চাঁদপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী রাজু শেখ ভালো মানের খাবারের জন্য নির্ভর করা নতুন ক্যান্টিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুরনো ক্যান্টিনে নির্ভর করর চ্যালেঞ্জের কথা জানান। তিনি বলেন, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি চায়ের স্টল পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
৭০৪ দিন আগে
'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি বিলুপ্ত হবে'
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুবধার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'দেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি আর থাকবে না। উদার গণতন্ত্রকে ভুলে যাওয়া উচিত।’
'ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ- নির্বাচন, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'কেউ কেউ বলতে চান, জনগণ অংশগ্রহণ করলেই এটি অংশগ্রহণমূলক। তাহলে আমরা কেন স্বৈরশাসকদের প্রশ্ন করছি? অংশগ্রহণমূলক মানে সেই সব দলের অংশগ্রহণ, যারা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে।’
তিনি বলেন, 'যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা সিস্টেমকে কলুষিত করেছে, যেখানে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেখানে ১৫ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। ভোটের হার বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক, তা কোনও ব্যাপার নয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'বিরোধী দল খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া' আখ্যায়িত করে সাখাওয়াত বলেন, ২৬টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে ১৩টির নাম কেউ বলতে পারছে না।
তিনি বলেন, শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির পর ক্ষমতাসীন দলের জন্য ২৪০টি আসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাখাওয়াত মনে করেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের 'নতুন সংজ্ঞা' তৈরি হচ্ছে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের ফলাফল তার আবেদন হারিয়েছে।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিরোধী দল ক্ষমতাসীন দলের সহায়তা ছাড়া নির্বাচিত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে শক্তিশালী রাজনৈতিক বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে মৌলবাদী শক্তির উত্থান হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের কর্তৃত্ব হারিয়েছে, যার ফলে দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি সঠিক পথে চললে অর্থনীতি সঠিক পথে চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার অর্থনীতির এমন কিছু সূচক দিচ্ছে, যা বাস্তব চিত্রের সঙ্গে মেলে না।
জিডিপি শতাংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিডিপির পরিসংখ্যান কর্মসংস্থান, কর-জিডিপি এবং রাজস্ব সংগ্রহের পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।
মনসুর বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাটের কারণে সরকার ও বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার সক্ষমতা হারাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, আগামী নির্বাচনে সরকারি দলের পরাজয়ের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। গত ৫২ বছরে এই পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু রাজনীতিবিদ ও আমলারা একটি চক্র গঠন করেছে। এই চক্র ভেঙ্গে না দিয়ে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।’
কবির মনে করেন, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সরকার একদলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. আবদুল মজিদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, আইন-ও-সালিশ কেন্দ্রের ফারুক ফয়সাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
৭১৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের প্রায় ৫০০টি আপিল নিষ্পত্তি করায় গত পাঁচ দিনে মোট ২৫৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এবং প্রার্থিতা হারিয়েছেন আরও ৪ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে।
ইসি প্রায় ২৬০টি আপিল গ্রহণ করেছে, ২১৩টি আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং ২০টি আপিলের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
২৬০টি আবেদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৫৫ জন প্রার্থী ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও প্রার্থিতা হারিয়েছেন চারজন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন আবেদন দুটি গ্রহণ করেছে।
রবিবার ৫৬টি, সোমবার ৫১টি, মঙ্গলবার ৬১টি, বুধবার ৪৮টি এবং বৃহস্পতিবার ৪৪টি আপিল গ্রহণ করে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ১০০টি আপিলের শুনানিতে ৫২টি আবেদন নাকচ করে চারটি আপিল স্থগিত রাখে ইসি।
শুক্রবার আপিল শুনানি শেষ করবে কমিশন। এর মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যা প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
৭২১ দিন আগে
খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দাকোপ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, তেরখাদা উপজেলার ৩৬টি এবং একই আসনের দিঘলিয়া উপজেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং কয়রা উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি এবং খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
৭২৩ দিন আগে