সন্ত্রাসী
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় নিপুণ চাকমা চোগা (৩৫) নামে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুই সন্ত্রাসী।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর বনবিহারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন নিপুন চাকমা ও তার সহকর্মীরা। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা এসে নিপুণ চাকমাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
ইউপিডিএফ প্রসিত দলের বঙ্গলতলী এলাকার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, জেএসএস এমএন লারমা দলের দুই সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলে নিপুণ চাকমা চোগার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ।
এদিকে জেএসএস এমএন লারমা দলের দলের উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জেএসএস এমএন লারমা দল কোনোভাবেই জড়িত নয়।এই হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়।
এছাড়া হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে আজ রবিবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন, সংবাদ পেয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম এবং রাত হওয়ায় পুলিশ পৌঁছাতে সময় লেগেছে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জেএসএসের সন্তু লারমা দলেকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। পরে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জোহান্সবাগে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিয়ের জন্য বাড়িতে কনে দেখে রাখা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ন: গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাজারে প্রাইভেটকার, নিহত ৩
রাজশাহীতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত
কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে সন্ত্রাসীদের আগুন, ছিনতাই
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে আগুন দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় পর্যটকদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল সেটও ছিনিয়ে নেয় তারা।
তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
পর্যটকবাহী ওই বোটের মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, শুক্রবার সকালে চাঁদপুর থেকে আসা একটি দল আমার বোট নিয়ে তবলছড়ি ঘাট থেকে সুভলংয়ে রওনা হয়। স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে সশন্ত্র সন্ত্রাসীরা বোটের গতিরোধ করে বালুখালীর বসন্তমোন এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে আরও কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বোটের চালক গিয়াসসহ পর্যটকদের বোট থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বোটে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ত্রাসী পর্যটকদের ৬টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পার থেকে রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি পোড়ায়, মানুষের উপর আক্রমণ করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদেরকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। তাই শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে।
ড. হাছান বলেন, গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে, তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর মায়াকান্না করে, তাদের কাছে প্রশ্ন হলো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি হতে পারে!
তিনি আরও বলেন, গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করল; পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালাল; ১৯টি অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো; শতাধিক পুলিশ আহত হরো; সাংবাদিকদের উপর হামলা করল এবং ৩২ জন সাংবাদিক আহত হলো। এগুলো যারা করে তারা তো জঘন্য সন্ত্রাসী। হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিগেড ৭১’কে অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণকে আরও সচেতন করে তুলুন।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সারাদেশে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে, এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই। অথচ আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছিল।
তিনি জানান, আমার শরীরে এখনও ৪০-৪২টি স্প্রিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্রিন্টার, কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছে। বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিল, কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এখনও তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জনগণ আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে। এ ছাড়া যারা পুলিশ হত্যা করে তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (৫ নভেম্বর) বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঘাটনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এই অত্যাচার নির্যাতন ও আগুন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করে তাহলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মাথানত হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন- ‘আমার জীবন যেতে পারে কিন্তু আমি সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দিয়ে যাব না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই, এই দেশটাকে সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই। আর সেজন্য জনগণের সমর্থন চাই।
দেশকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেবেন নাকি যিনি বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করেছেন তার পক্ষে থাকবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মতো একটি ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের নাশকতা ও সন্ত্রাসের পুরোনো রূপে ফিরে গেছে। তাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপথনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। আমিও বলছি, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকবার সংলাপের জন্য ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের ডেকেছে, রাষ্ট্রপতিও তাদের ডেকেছেন; কিন্তু তারা সংলাপে আসেনি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই নিজেদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যার পর তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। অন্যান্য দেশ আমাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচন করে না, তাহলে আমরা কেন তাদের কথা শুনব?’
আরও পড়ুন: বিএনপি সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির শনি ও রবিবারের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।'
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ও জামায়াত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে, সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুন সন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে। তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বরযাত্রীবাহী বাস, এম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না।'
হাছান বলেন, 'বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাব এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য। আমরা সরকার এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সমস্ত দুস্কৃতিকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।'
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহমুদ।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫-৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।'
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আর কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠনে নাই একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কি বলল, না বলল এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।'
এর আগে বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে পোমরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘বায়ো’তে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে টেক জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা।
মেটা বলেছে, মাধ্যমটির কিছু ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত আরবি অনুবাদের কারণে’ সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটি ঘটেছে।’
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টের জন্য ইনস্টাগ্রামে তাদের 'শ্যাডো ব্যান' (ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই তার কনটেন্ট নিউজফিডে দেখানো থেকে বিরত রাখা) করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, সংঘাতের কথা উল্লেখ করে স্টোরিজের ২৪ ঘণ্টার পোস্টে অন্যদের তুলনায় কম ভিউ পেয়েছেন তারা এবং অনুসন্ধানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা স্বীকার করেছে, একটি বাগ (ত্রুটি) স্টোরিজকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গ্রুপের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রবিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ও ভোর ৪টার দিকে এই ঘটনা দু’টি ঘটে।
নিহত ছানা উল্যাহ (২৭) ২নং ক্যাম্পের বাসিন্দা ও অপর নিহত আহম্মদ হোসেন (৩৬) ৭নং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ভোর ৪ টায় ২নং ক্যাম্পে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে মাহমুদুল হকের বসত ঘরে সামনে এসে গুলি করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে ছানা উল্যাহ গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ছানা উল্যাহ। এই ঘটনার এক ঘন্টা আগে ৭ নং ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা ও গুলিতে আহম্মদ হোসেন নামে আরও একজন নিহত হন।
তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৫ থেকে ১৬ জন সন্ত্রাসী রাতে একটি চায়ের দোকানের সামনে গুলি করলে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আহম্মদ হোসেন।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তিন দিন আগে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) মারা গেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মরহুম শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নাড়ি-ভুড়ি বের করে গুরুত্বর জখম করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৮ জনকে আসামি করে তার চাচাকে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
এই অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: খিলক্ষেতে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ
নেত্রকোণায় ‘চোরের লাঠির আঘাতে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু