শামসুজ্জামান
আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৩ এপ্রিল ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিকাল ৪টার দিকে জামিনের আদেশ পাই এবং সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে বের হন। শামসুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তাকে জেল গেট থেকে অভ্যর্থনা জানান।
এরআগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শামসুজ্জামানকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
অন্যদিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩০ মার্চ ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরে তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ওই প্রতিবেদকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গত ১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআর-এ আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরপর সোমবার তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, পরে ৩১ মার্চ সাংবাদিককে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ০১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়।
একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এক যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআরে এই আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাভারের তার বাসা থেকে তাকে সিআইডি সদস্যরা তুলে নেওয়ার প্রায় ১০ ঘন্টা পর বুধবার বিকালে এই মামলা দেয়া হলো।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, দেশের স্বাধীনতা দিবসে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার বেলা ১টা ৩২ মিনিটের দিকে ফার্মগেট এলাকার আল রাজি হাসপাতালের সামনে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বাদী প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি খবর পড়েন। তার ফেসবুক পেজেও খবরটি শেয়ার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে হাতে ফুল ধরা শিশুর ছবিসহ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলেটির নাম জাকির হোসেন এবং তিনি বলেন, ‘ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আমি যখন বাজারে যাই তখন আমার ঘাম হয়, আমাদের মাছ, মাংস এবং ভাতের স্বাধীনতা দরকার।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, শামসুজ্জামানের প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ছেলেটির নাম জাকির হোসেন থাকলেও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর ডটটিভির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছেলেটির আসল নাম সবুজ আহমেদ এবং সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
একাত্তর ডট টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলেটি এমন কিছু বলেনি যে, ‘আমার কাছে ভাত না থাকলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? আর প্রতিবেদক তাকে ১০ টাকা দিয়ে তার ছবি তোলেন।
বাদী বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল যাতে ভুয়া নাম ও উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এমন প্রতিবেদনে তার মতো দেশ-বিদেশের আরও অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামান শামসকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সিআইডি তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একটি মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায় এবং থানায় মামলা করে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি পরিষ্কার নই। তবে মামলাকে কেন্দ্র করে কিছু ঘটেছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আপনাদের একাত্তর টিভির সাংবাদিকরা বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সব কিছু জানার পর বিস্তারিত জানাব।
এর আগে বুধবার শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার তার বাসা থেকে সাদা পোশাকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ১৬ সদস্য তাকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী