বিচারাধীন
৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার ৯টি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পল্টন ও রমনা থানায় দায়ের করা পৃথক ৯টি মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ফখরুল আরও দুটি মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি এবং রমনা থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গত ২৯ অক্টোবর ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তখন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
সাড়ে ১০টায় তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, মুখ্য বিচারিক হাকিম ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জয়ন্তিরানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীরা একসঙ্গে চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণাধীন ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারিতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলাতে কেস নিষ্পত্তির যত মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এটা খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি, নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুলিশি তদন্তে আছেন তারা। আমরা এই বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারবো। এছাড়া আরও ১০০ বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশাবাদী যে বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের আদালতকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যাতে করে সবাই একসঙ্গে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।
তিনি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্ট।
এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল