দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুর বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে
দুমাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর চাঁদপুর বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। একইসঙ্গে দামও কমেছে কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। বুধবার দেখা গেছে আমদানি করা ইলিশের বড় বড় স্তূপ।
মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, মাছ ঘাটে (চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে) দৈনিক প্রায় ৫০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। এসব ইলিশ আড়তের সামনেই পৃথক স্তূপে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিন ধরে পিকআপ ও ট্রাক করে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা হাতিয়া, ভোলা, সন্দ্বীপ, চরফেশন থেকে দৈনিক ৪০-৫০ মণ করে ইলশ আসছে।
তারা আরও জানান, তবে নিষেধাজ্ঞার পর এই ঘাটে এখনও কোনো ট্রলার আসেনি। কারণ, প্রতি ট্রলারে ১৫০-২০০ মণ মাছ আসে। এছাড়া তিনদিন আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতির দিকে।
শহরের নতুন বাজার, পাল বাজার, ওয়ারলেস বাজার, পুরানবাজার ও বাবুরহাট বাজারে গিয়ে দামের এ কমতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি এক কেজি ইলিশ যেখানে বিক্রি হতো ৩ হাজার টাকায়, সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
৭০০/৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হতো কেজিতে ২ হাজার ৩০০ টাকা, এখন সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
শহরের ব্যস্ততম মাছ বাজার বিপনী বাগ মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে—এক কেজির পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ বা ২ হাজার ৫০০টাকায়। আগে যা বিক্রি হতো ৩ হাজার বা ৩ হাজার ২০০ টাকায়। ৬০০/৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা। আগে বিক্রি হচ্ছিলো ২ হাজার ২০০-২ হাজার ৩০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখে ইলিশ বিক্রিতে ভাটা, হতাশ ব্যবসায়ীরা
এদিকে ছোট মাপের ইলিশ বিক্রি হেচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার ইলিশের দাম আরও কম।
এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দুটায় এক কেজি হয় এমন ইলিশ কেজি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব মাছের স্বাদ কম।
জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মাহবুবে রশিদসহ অন্যরা বলছেন, আগামী জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে ইলিশ মাছ ভরপুর পাওয়া যাবে। জেলেরাও এমনটাই আশা প্রকাশ করছেন।
ইলিশ ব্যবসায়ীদের নেতা/সভাপতি শবেবরাত সরকার ইউএনবিকে বলেন, ‘সামনে জুন-জুলাই বৃষ্টি বাড়বে, নদ-নদীতে পানিও বাড়বে, স্রোত বাড়বে, তখন ইলিশের আমদানিও বেশি হবে।
২০৪ দিন আগে
ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
জাতীয়ভাবে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার অবসান হওয়ায় জেলেরা আবারও রবিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য জাল ও নৌকা তৈরিতে এখন ব্যস্ত জেলেরা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
ইলিশের অভয়ারণ্য বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী- এই ছয় জেলা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
অভয়ারণ্য এলাকাগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলে ৯০ কিলোমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় ২০ কিলোমিটার এবং হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে ৮২ কিলোমিটার।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে।
একক মাছের প্রজাতি হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দুই মাসের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
৯৫১ দিন আগে