আগুন
কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে আগুন
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু হলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রাবিতে প্রবেশ করে।
এরপর বঙ্গবন্ধু হলের নিচতলায় পার্কিং করে রাখা ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে হলের ভেতরে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কারা রয়েছে তা জানা যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
চাঁদপুরে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান
চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি মার্কেটে আগুন লেগে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় চাঁদপুর (দক্ষিণ) ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোরে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জব্বার ঢালির দোকান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিয়াদ ও ফারুক হোসেনের দুইটি ফার্মেসি, সনু বেপারী, ইকবাল গাজী ও মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীর তিনটি চা-কনফেকশনারী ও হৃদয়ের একটি সেলুন ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সনু বেপারি, ইকবাল, মাইনুদ্দীন, রিয়াদ ও ফারুক জানান, এই দোকানগুলোর মাধ্যমে তাদের সংসার ও পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম দিন কাটাতেন। এখন তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
আগুনের ঘটনার বিষয়ে পাশের মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী মো. মমিন বলেন, ‘স্থানীয় এক স-মিল কারিগর আমাকে খবর দেন কারা যেনো আমার দোকানে চুরির চেষ্টা করছে। এ খবর শুনে আমি দ্রুত দোকানে চলে আসি, আসার কিছুক্ষণ পর পাশের মার্কেট থেকে শব্দ শুনতে পাই। সেখানে এগিয়ে দেখি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে প্রথমে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, দ্রুত তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের বাড়ির লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।’
পরে চাঁদপুর (দক্ষিণ) ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম ইউএনবিকে জানান, ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সব দোকান দ্রুত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় ১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়। দুপুরে সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
এর আগে দুপুর ২টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ট্রলার থেকে পুড়ে যাওয়াএক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত আরেক শ্রমিককে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: নিখোঁজ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে বিস্ফোরণের পর তেলবাহী ট্রলারে আগুন লেগে তিন শ্রমিক নিখোঁজ ও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে মেঘনা ডিপো জেটির কাছে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
তিনি বলেন, ট্রলারে থাকা তেলবোঝাই সব ড্রাম বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিপদ আঁচ করতে পেরে ট্রলারে থাকা চার জন নদীতে ঝাঁপ দেন। এক শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তেলের ড্রামবোঝাই ট্রলারটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকরা রান্না করার সময় চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
ফতুল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, ড্রামে ডিজেল ও পেট্রোল ছিল। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের খোঁজ চলছে।
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
ট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১৮টি বসতঘর। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব বরৈয়া গ্রামের বদরুদ্দোজা মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ দোকান ও ৪ অটোরিকশা
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে মূল্যবান সম্পদ পুড়ে ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে একটি ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে একে একে ১৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রতিটি ঘরের আসবাবপত্র, দলিল ও নগদ অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস দীর্ঘক্ষণ কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হুমায়ুন পারভেজ, মো. ইউনুচ মিস্ত্রী, মো. নুরুল আলম, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আবদুস সবুর, আবদুর রহিম, আবদুল হাকিম, আবদুল গফুর, মো. মহিউদ্দীন মন্টু, আহমদ হাসান, মোহাম্মদ হোসেন, আলমাস খাতুন প্রকাশ লেদুনী, মো. আনোয়ার, আবদুল কাদের, মোহাম্মদ শফিউল আলম, মোহাম্মদ ইদ্রিস, জেসমিন আক্তারের পরিবার।
আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি৷ ততক্ষণে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখনো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। তদন্ত করে পরবর্তীতে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুটের গুদামের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে
গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামে কৃষকের গোয়াল ঘরে আগুনে তিনটি ছাগল ও একটি গরু পুড়ে মারা গেছে। পরিবার ও প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৪টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের সহড়াতলা মাদরাসা পাড়ার দিন মজুর কৃষক আব্দুল মজিদ কারিগরের গোয়াল ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আব্দুল মজিদ কারিগর একই এলাকার কৃষক আব্দুল গফুর কারিগরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ দোকান ও ৪ অটোরিকশা
কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ভোরে হঠাৎ করে ছাগল ও গরুর ডাক শুনে ঘুম ভেঙে যায়। গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিন্তু গোয়ালে থাকা তিনটি ছাগল ও একটি গরু বাঁচাতে পারিনি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আগুনে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গরু ছাগলকে মশার হাত থেকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘরে কয়েল জ্বালানো ছিল। কয়েল থেকে আগুন ধরেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলম হুসাইন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গার্মেন্টসের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
চট্টগ্রামে গার্মেন্টসের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার সিটি গেট-সংলগ্ন ‘গার্টেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড’ নামের একটি পোশাক কারখানার গুদামে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
বুধবার (১২ জুন) সকাল পৌনে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছেন গার্মেন্টস সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার সংবাদ আমরা পেয়েছি। আমাদের আগ্রাবাদ অফিস থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। প্রয়োজন হলে আরও ইউনিট পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ দোকান ও ৪ অটোরিকশা
স্থানীয়রা জানান, সকালে গার্মেন্টসের গুদাম থেকে বের হওয়া ধোঁয়া পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসময় গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে শ্রমিকরা আশপাশে ভিড় জমায়।
সরেজামিনে দেখা যায়, পুরুষ কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। কর্মী ও স্থানীয়দের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। পাশেই অবস্থিত মোস্তফা হাকিম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজানো হয়।
গার্মেন্টসের নিরাপত্তা কর্মী বিশ্বেন্দ্র দাশ বলেন, ‘গার্মেন্টসের গুদামে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। আমাদের লোকজন ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, কারেন্টের (বৈদ্যুতিক) শর্ট সার্কিট থেকে আগুনটা লেগেছে। গুদামে সব ইন্টেক (নতুন) কাপড় বাইরে পাঠানোর আগে রাখা হয়। গুদামভর্তি সব কাপড় পুড়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে বিজিবি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২ শতাধিক ঘর
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এ আগুনের ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি ঘর
শনিবার (১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয় এবং দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে কিছু ঘর ও বেশ কিছু দোকানপাট পুড়ে গেছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন বলেন, দুই শতাধিক ঘর ও এনজিও সংস্থার কেন্দ্র পুড়ে গেছে। হতাহতের কোনো খবর এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে সেটি বের করার চেষ্টা চলছে। এটি কি দুর্ঘটনা না কি, পরিকল্পিত সেটাও তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন
সুন্দরবনে আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
সুন্দরবনে আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল
সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ হিসেবে ছয়টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বৃহস্পতিবার বিভাগীয় বন কর্মকতার (ডিএফও) কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনে সুন্দরবনের ৭ দশমিক ৯৮ একর বনভূমি পুড়ে যাওয়া এবং ১১ লাখ ৫৮ হাজার ২৫০ টাকা ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আগুন: বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি
প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ হিসেবে যে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ভোলা নদী প্রায় ভরাট হওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে ছোট-বড় খালগুলোর মধ্যে দিয়ে বনে জোয়ারে পানি প্রবেশ করতে পারছে না। নদী ও সংযোগ খালগুলো সচল না থাকাটাও আগুনের কারণ হতে পারে।
ভোলা নদীর গভীরতা কম ও সংযোগ খালগুলো সচল না থাকায় একদিকে বনভূমি পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে না, অন্য দিকে বনের পার্শ্ববর্তী মানুষ ও গবাদি পশু অতি সহজে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে।
এদিকে শুকনা পাতা বনভূমিতে পড়ে থেকে শুকনা লেয়ার সৃষ্টি করে। এবছর তীব্রতাপদাহ চলছে যা ৭৫ বছরের রের্কড ভঙ্গ করেছে এবং বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুকনা ডাল ও পাতায় ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন স্থির তড়িৎ উৎপাদনের মাধ্যমে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বনের মূর্তির খালে এই সময়ে প্রচুর টেংরা জাতীয় মাছ পাওয়া যায়। মাছ আহরণ করতে বনের লতিফের ছিলা দিয়ে পায়ে হেঁটে মানুষ যাতায়াত করছে। ফলে অজ্ঞানতাবসত বা ইচ্ছাকৃত ফেলে দেওয়া সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
অবৈধ মৌয়াল অথবা বাওয়ালীদের বনে প্রবেশ করে মধু সংগ্রহ করার সময় ধোঁয়া তৈরির কুণ্ডলীর অবশিষ্ট অংশ বা বিড়ি-সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে।
আগুনের সূত্রপাত হিসেবে ঘটনাস্থলে একটি মৌচাকের মধুসংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত লোফার কিছু অংশ অবশিষ্ট দেখা যায়। এখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। আগুন লাগার ছয়টি কারণ উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে।
কমিটির প্রধান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, কমিটির সদস্যদের নিয়ে তিনি এরই মধ্যে সুন্দরবনে লাগা আগুনের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখান থেকে নানা ধরনের তথ্য-উপাত্ত তারা সংগ্রহ করেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাবে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্য রয়েছে, বলা তিন হাজার ৪০০ কুইন্টাল যার মূল্যে ছয় লাখ ১২ হাজার টাকা। গেওয়া ২২৫ কুইন্টাল যার মূল্যে ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা।
সুন্দরী ১০০ কুইন্টাল যার মূল্যে ৩৯ হাজার টাকা এবং জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের আনুমানিক ক্ষতি ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১১১টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১১৬
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত সুন্দরবন
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি ঘর
গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুনে বসতবাড়ির ১৮টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে। এসময় ঘরে থাকা মালামালও পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল ৫টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের কয়েস মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়।
তবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বাড়ির মালিক কয়েস মিয়া জানান, মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের ২৪টি টিনশেড ঘর স্থানীয় পোশাক শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল।
বৃহস্পতিবার বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরগুলো পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি।আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় মেঘনা কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। তাতে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘর ভাড়া নেওয়া শ্রমিকরা কারখানায় ডিউটিরত থাকায় আগুনে বসত ঘরে থাকা খাট, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বসত ঘরের আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোন মালামালই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম জানান, বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর