নিরসন
চবিতে একাডেমিক জট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একাডেমিক জট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
এসময় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ডে ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই’, ‘বয়স গেলে শেষ হয়ে, কী করব আর অনার্স করে’, ‘আমরা দেই ট্রপি, আপানার দেন সেশনজট’ হাতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল আলম পাশা বলেন, ২০১৫-১৬ সেশন থেকে এ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। আমাদের পরীক্ষার পর রেজাল্ট পেতে ও ক্লাস শুরুর জন্য আন্দোলন করতে হয়।
আরও পড়ুন: বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের জট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি। তারা কি আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দেবে।
বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এটা একটি খেলাধুলা সম্পর্কিত বিশেষ ডিপার্টমেন্ট। এখানে খেলাধুলা হয়। এটা বাংলা বা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টর মতো না। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি। যার কারণে এ বিভাগের পর্যাপ্ত গ্র্যাজুয়েট নেই। তাছাড়া যারা বের হয়েছে তাদের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেশনজট দীর্ঘায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের আন্দোলন সমর্থন করি, আমরা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চাই না।
তারা দাবি করছে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে, আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি ম্যাডামের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শনিবার বিকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, চলমান কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।
বিপিডিবির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সারাদেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হওয়ায় দিনের বেলায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে দেশে ২ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে দেশে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে কম চাহিদা থাকায় সপ্তাহান্তে বিরল।
এ সময় অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।