যশোর
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক মাশরুর রহমান সজীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আতোয়ার রহমান এই সাজা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল লতিফ লতা।
সাজা পাওয়া মাশরুর রহমান সজীব যশোর পালবাড়ি তেঁতুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকা বাড্ডার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী যশোর শহরের একটি কলেজে ভর্তি হন। এরপর পালবাড়ি এলকায় ফুফুর বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতেন। গৃহশিক্ষক হিসেবে তাকে পড়াতেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সজীব। একপর্যায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ১৫ জুন বাড়ির সবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাদের সম্পর্ক উভয় পরিবারে জানাজানি হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়ের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। তিনি গোপনে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও-ও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সজীব ঘোরাতে থাকেন এবং যোগোযোগ বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিশুহত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এরপর গত বছরের ৩০ জুলাই সজীবের মাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন না। শুধু তাই নয়, সজীব অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলেও জানান তার মা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৭ আগস্ট যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় করেন ওই ছাত্রী।
আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামি সজীবকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় সজীব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১০৭ দিন আগে
যশোরে ‘কেন্দ্রের ভুলে’ ৪৮ জন ফেল, সংশোধিত ফলে সবাই পাস
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে রসায়নে ফেল করেছিল ৪৮ জন পরীক্ষার্থী। রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর যোগ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (১৩ জুলাই) ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, ওই ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জনের রসায়নের ব্যবহারিক নম্বর যোগ না হওয়ায় তাদের ফলাফল ফেল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
ওই ৪৮ জনের একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। সে জানায়, জিপিএ-৫ পাব বলেই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড এবং রসায়নে ফেল দেখানো হয়। তবে সংশোধিত ফলে তার জিপিএ-৫ এসেছে।
আরও পড়ুন: ছয় বন্ধুর পাঁচজন পেল জিপিএ ৫, আরেকজনের আত্মহত্যা
মিয়ারাজ বলে, ‘এই কয়দিন বাবা-মাসহ পরিবারের কারও খাওয়া-ঘুম ছিল না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিল। এখন জিপিএ-৫ পেয়ে সবাই খুব খুশি।’
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।
১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে রসায়নে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখেন, রসায়নে সবাই ফেল করেছে।
এরপর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন।
বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করা হয়নি। পরে কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি: যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫
কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, ‘কেন বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়নে ফেল দেখানো হলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের আবেদন করার পর শিক্ষাবোর্ড গিয়ে সংশোধন করা হয়।’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়নি। ফলে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল এবং সবার ফল ফেল এসেছে। কেন্দ্রের ভুলেই এমনটা হয়েছে। রোববার সংশোধিত ফল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪৪ দিন আগে
যশোরে বন্ধুর সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় যুবককে খুনের অভিযোগ
যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় আশরাফুল ইসলাম বিপুল (২৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বন্ধুর সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আখতার হোসেনের ছেলে। তিনি এসিআই গ্রুপ নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির ডিপোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের পিতা আখতার হোসেন জানান, হামলাকারী শহরের ষষ্ঠিতলা এলাকার বাপ্পী ও বিপুল বন্ধু ছিলেন। বাপ্পী মাদক সেবন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তার স্ত্রী সুমাইয়া তাকে তালাক দেন। এরপর সুমাইয়ার সঙ্গে আশরাফুলের সম্পর্ক হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এ কারণে বাপ্পী ক্ষিপ্ত হন। আশরাফুল ও সুমাইয়াকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন বাপ্পী। এরপর বিভিন্ন সময় বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটানো হয়েছে।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ করেন আখতার হোসেন।
আরও পড়ুন: যশোরে স্টিলের বাক্সে মিলল গৃহবধূর লাশ, স্বামী আটক
তিনি আরও জানান, শনিবার রাতে কৌশলে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আশরাফুলকে কুপিয়ে জখম করেন বাপ্পী ও তার সহযোগীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এর কিছু সময় পর মারা যান আশরাফুল।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শাকিরুল ইসলাম জানান, আশরাফুলের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানোর পর তিনি মারা যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। হামলাকারীদের তথ্য নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৪৫ দিন আগে
যশোরে নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
যশোরের ঝিকরগাছায় নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বামনালী সায়েমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত রাহুল হোসেন (১২) ওই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। রাহুল স্থানীয় কাওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃতের চাচা রাহাজান আলী জানিয়েছেন,তার বড় বোন রবিলা খাতুনের সন্তান ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মা সার্জিনা বেগম সেখানে অবস্থান করছেন কয়েক দিন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাবা শাহজাহান আলী রাহুলকে বাড়িতে রেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে মা ও বাবা বাড়ি ফিরে ছেলে রাহুলকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের ভিতর বিছানা করার সময় দেখতে পান ছেলে রাহুল খাটের নিচে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে খাটের নিচ থেকে লাশ বের করে আনেন। এসময় খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এসআই সুমন বিশ্বাস গভীর রাতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন। রবিবার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন বিশ্বাস জানান, মৃত রাহুলের মুখে ও দাঁতে রক্ত,বাম হাতের কনুই ও আঙ্গুলের পাশে ছেঁচড়ে যাওয়ার দাগ রয়েছে।
পুলিশ বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ধানখেত থেকে কোরআন হাফেজের লাশ উদ্ধার
১১০৩ দিন আগে
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থী ও তার গৃহপালিত পশু শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
মৃত জয় মন্ডলের (১৮) বাড়ি সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ১৮ বছর বয়সী যুবক তার গরুকে গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির আর্থিং তারের সংস্পর্শে আসেন। গরুটিকে যে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটি তারের সঙ্গে আটকে যায়।
তিনি আরও বলেন যে গরুটি মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতেই খুঁটির মূল তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন তারের সংস্পর্শে এসে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জয় ও তার গরু।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নবদম্পতির মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১১১৮ দিন আগে
যশোরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
যশোরের অভয়নগরে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ ফেলে রেখে স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম চন্দনা রায় (৩২) এবং স্বামীর নাম মন্টু মণ্ডল। তাদের এক মেয়ে ও এক সৎ ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াল নদীতে নিখোঁজ বাগানকর্মীর লাশ উদ্ধার
নিহতের মেয়ে কনা মণ্ডল জানায়, ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের লাশ পড়ে আছে, বাবা বাড়িতে নেই। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি দাবি করছি।
নিহতের সৎ ছেলে সজীব মণ্ডল জানায়, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারন্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের লাশ ঝুলতে দেখা যায়। এসময় আমি আর বাবা মায়ের লাশ নামিয়ে খাটের ওপর রাখি।
পরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এসময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
১১২৪ দিন আগে
যশোরে মাছের ঘের থেকে কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার
যশোরের অভয়নগরে একটি মাছের ঘের থেকে ৮ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শফি কামালের মাছের ঘের থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাইমা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে এবং বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) এ কে এম শামিম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকালে নাইমা বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা শফি কামালের মাছের ঘেরে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় নাইমার লাশ দেখতে পায়। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা নাইমাকে হত্যা করে ঘেরে ফেলে রেখে গেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৭ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
কালিগঙ্গায় নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
১২১৪ দিন আগে
যশোরে ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
যশোর সদরে ৩৫ বছরের এক অজ্ঞাত যুবককের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার বসুন্দিয়া পদ্মবিলায় মেইন রাস্তার পাশে একটি ডোবার থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, কে বা কারা ওই যুবককে হত্যা করে ফেলে গেছে এখনো তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রকৌশলীর বাসা থেকে গৃহপরিচারিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ পরিদর্শক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এছাড়া যশোর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১২৬৩ দিন আগে
যশোরে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দুই ভাই নিহত ও এক যুবক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার চৌগাছা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের টেঙ্গরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আয়ুব হোসেন (৬৫) ও ইউনুচ আলী (৫০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রনি (২২) নামে এক যুবক। তিনি নিহত আয়ুব হোসেনের ছেলে।
সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী আয়ুব হোসেনের বাড়িতে হামলা করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার ভাই ইউনুচ আলী ও ছেলে রনি বাধা দিতে এলে হামলাকারীরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই আয়ুব হোসেনর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন আহত ইউনুচ আলী ও রনিকে নিয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই ইউনুচ আলীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সেচ প্রকল্পের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
আহত রনিকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
১৩৩৭ দিন আগে
এসএসসি ফলাফল: যশোরে বেড়েছে পাসের হার
যশোর বোর্ডে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। এ বছর জিপিএ ৫ এর সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৬৭ জন।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা গেছে, এবার এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৮৪ হাজার ৬৫৯ ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৭৮০ জন। গত বছর এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪০ হাজার ২৫৮ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৬.২৭ শতাংশ
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৭ হাজার ৮২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৬ হাজার ৪২৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২২৪ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৬৯ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৬ হাজার ৩২৮ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২৫ হাজার ৬১৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৮ ছাত্রছাত্রী।
এদিকে, বৃস্পতিবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়ে জেএসসির ফলের ভিত্তিতে নম্বর বণ্টনের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
তিনি জানান, সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় আট মাস পর নভেম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল শিক্ষার্থীরা স্কুল ও মাদরাসা থেকে জানতে পারবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস ও অনলাইনে সার্চ করেও ফল জানাতে পারবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
১৪৩৬ দিন আগে