মুক্তিযুদ্ধ
‘মুক্তিযুদ্ধের বুনিয়াদ ঠিক রেখে কাজ করতে হবে’
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১ তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে যোগদান করা কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: ডিক্যাব আয়জনে রুমানা আলী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের উপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার উপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একইসঙ্গে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নতুন করে যোগ দেওয়া্ কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছে তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছে। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে।
এই সুন্দর সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।
পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ জন কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে: লিটন বাদ, ডাক পেলেন জাকের আলী
৫ মাস আগে
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির এক সভায় এ অভিযোগে করেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিদিন গল্প-কবিতার মতো লেখা হচ্ছে।
হাফিজ বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার বা ১ লাখ, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কথা বলে না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রতিটি প্রান্তের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রভাবিত করেছিল। জিয়ার ঘোষণার পর বিশ্ব সম্প্রদায় জানতে পারে। কিন্তু শাসক মহল জিয়ার ঘোষণা নিয়ে রসিকতা করে বলেছিল যে ‘গার্ড বেল বাজাল’।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, মেজর জিয়া ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার যিনি যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা ভারতে ছিলেন।
কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছে।
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক ও সৈনিকদের অবদানকে উপেক্ষা করে সব কৃতিত্ব দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো অবদান ছিল না, তারা স্বাধীনতা ও সব অর্জনকে ছিনতাই করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
৬ মাস আগে
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেখ হাসিনা সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতির পিতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিতরণী ১৮ নভেম্বর
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ বিজয়ীদের হাতে আগামী শনিবার (১৮ নভেম্বর) তুলে দেওয়া হবে।
সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এই আয়োজনে সারাদেশ থেকে আসা ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদন থেকে বাছাই করে ৬ ক্যাটাগরিতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর প্রাথমিকভাবে পাওয়া আবেদনগুলো থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ফিল্ড ভিজিটে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সর্বশেষ বাছাইদের নাম আমরা দ্রুতই সবাইকে জানিয়ে দেব।
মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা' বাংলাদেশের পরিচয়কে ধারণ করে। সেই স্লোগানকে ধারণ করে এই পুরস্কার তরুণদের মধ্যে এক স্বপ্নবীজ বপন করে। মানবিক কাজ ও সমাজে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা যুব সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে নিবন্ধনে বাকি আর ৯ দিন
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।
এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাটাগরিগুলো হলো- দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু ও পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং তিন লাখের বেশি সদস্য।
২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
বিজয়ীদের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবেন রাদওয়ান মুজিব
১০ মাস আগে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) তাদের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। সে কারণে প্রতিবছর এই দিনটি ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ভারত সরকারের দেওয়া একটি অটার বিমান, একটি ডাকোটা বিমান এবং একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার দিয়ে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাত্রা শুরু করে।
সেসময় ইউনিটটিতে বাঙালি পাইলট, প্রযুক্তিগত বাণিজ্যের এয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমানচালক সহ ৫৭ জন সদস্য ছিল।
আন্তঃসেবা জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে ইউএই’র উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান
অনুষ্ঠানে ‘কিলো ফ্লাইট’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি, বিমান বাহিনীর বিবর্তনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান, বিমান বাহিনীর বর্তমান উন্নয়ন এবং বাফওয়া’র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, আমন্ত্রিত ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এয়ারম্যান, এমওডিসি (এয়ার), বেসামরিক নাগরিক এবং ঢাকা এলাকার সকল বিএএফ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিমানবাহিনীর সকল ক্ষেত্রের সদস্যদের উচিত মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
এর আগে বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে বিএএফ ঢাকায় বিভিন্ন বিমানের ফ্লাইপাস্টের আয়োজন করে। এছাড়া দেশ ও বিমানবাহিনীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ব্যানএয়ার কন্টিনজেন্টসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে বিমানে শিশু: ১০ কর্মকর্তা বরখাস্ত
বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও সম্পর্ক জোরদার করবে: বিসিসিআইজে সভাপতি
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের তরুণ প্রজন্ম কাউন্সিলে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তারা এখনও সক্রিয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি তোলায় সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই দাবি আদায়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় মিত্রদের দ্বারা একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি হচ্ছে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের দাবি।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা যত বাধাই সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের যুদ্ধক্ষেত্রে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বাহিনী সংবিধানের মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছে,’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রখর হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার। এর সব কর্মকাণ্ডই জনবান্ধব।’
১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্মলগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে ফোরামটি।
এতে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, উপদেষ্টা সারোয়ার আলী, সহসভাপতি এম হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জেনোসাইড ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
‘মানবাধিকার প্রচার করতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের বর্বরতা সম্পর্কে জানতে হবে’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা’র ইতিহাস তালিকাভুক্ত করেছেন।
তিনি ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে’ যে নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল সেগুলো তুলে ধরেন। যিনি (জিয়াউর রহমান) পরে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
রবিবার (১৩ আগস্ট) এক টুইটে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫: জাতির জনক (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। পরে তিনি তাদের (খুনিদের) বিদেশে বিভিন্ন মিশনে রেখে তাদের পুরস্কৃত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং তাদের সহযোগীরা ৯ মাসে ৩ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লাখেরও বেশি নারীর সম্ভ্রমহানি করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে এসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের ‘বিএনপি-জামায়াতে’ সেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগীরা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
শাহরিয়ার আলম ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট যে বর্বরতা সংঘটিত হয়েছিল তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের নেতৃত্বে রাষ্ট্রযন্ত্র ২৪ জনকে হত্যা করেছিল এবং ৫০০ জনের বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আহত করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হতে চায় এবং মানবাধিকারের প্রচার করতে চায়; তবে তাকে এই ঘটনা এবং এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার টুইটে আরও লিখেছেন, ‘এসব শহীদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে সাহায্য করার জন্য ন্যায়বিচার করতে দিতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘বলা বাহুল্য, এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো কিছু রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ এবং অন্যদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধে ফারুকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান, যিনি ফারুক নামে পরিচিত, তার ভূমিকা অবিস্মরণীয় কারণ তিনি প্রতিটি সংগ্রাম ও আন্দোলনে অসামান্য দৃঢ়তার সঙ্গে অবদান রেখেছিলেন।
সংসদে তিনি বলেন, ‘ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধা। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই তিনি ছাত্রলীগের একজন প্রাণবন্ত কর্মী ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রাম ও আন্দোলনে তিনি অসামান্য সাহসিকতার সঙ্গে অবদান রেখেছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কখনোই ভোলার নয়।’
বুধবার ফারুকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে সংসদে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ফারুক শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও অবদান রেখেছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ঘটনার পর যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হচ্ছিল এবং কেউ তার নাম উচ্চারণ করার সাহস করেনি, তখন সংস্কৃতিকর্মীরা এগিয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ফারুক) বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠন এবং দেশাত্মবোধক গানকে সামনে নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। সুতরাং, তিনি এই দেশের জন্য একটি অবদান রেখেছেন।’
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) শুরুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ নিয়ে আলোচনা শেষে বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আলোচনায় যোগ দেন- সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু (ঝালোকাঠি-২), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মেহের আফরোজ (গাজীপুর-৫) ও হাবিব হাসান (ঢাকা-১৮), বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
আকবর হোসেন পাঠান (ঢাকা-১৭), যিনি গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া সংসদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সংসদ সদস্য কবির হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকিয়া আফজাল রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখায় হতাহত এবং দেশ-বিদেশে দুর্ঘটনায় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাফিজ রুহুল আমিন মাদানী (ময়মনসিংহ-৭)।
প্রথা অনুযায়ী, বর্তমান সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংসদের দিনের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডেনের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান এবং সচিবকে সদস্য পদে নিযোগ সংক্রান্ত আইনের বিধান কেন বাতিল নয় তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারী নওয়াব আলী মণ্ডলের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করেন। তার ভাতা অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তাকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট অনিক হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন:হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
উল্লেখ্য, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী মণ্ডল ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি অস্ত্র লুট করে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবগাঁথা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত বইয়েও স্থান পায়।
বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার গত ২০০৫ সালে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেন এবং ওই বছরেই তার নাম গেজেটভুক্ত হয়। তিনি নিয়মিত সম্মানী ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে জামুকা'র ৮১ তম সভায় তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।
ওই সুপারিশ অনুসারে মন্ত্রণালয় এবছর ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে তার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি তার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন, ভাতা বন্ধ ও জামুকা'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে মন্ত্রী ও সচিবের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলাটি করেন।
ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম আদালতে বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০২২ সালের আইন দ্বারা গঠিত একটি পৃথক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এই আইনের ৫(১) (ক) ও ৫(১)(খ) ধারা অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব পদাধিকার বলে যথাক্রমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মন্ত্রণালয়ে যদি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকেন, সেক্ষেত্রে তারা পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
জামুকা আইন ২০২২ এর ৬ ধারা অনুসারে জামুকা'র অন্যতম প্রধান কাজ হলো- গেজেটভুক্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় মর্মে তদন্তে আসলে তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে 'সুপারিশ' করা এবং নতুন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করা।
যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিব একইসঙ্গে জামুকা'র সর্বোচ্চ পদে আসীন, ফলে তারা জামুকা'র নির্বাহী প্রধান হিসেবে যে সুপারিশ করেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব হিসেবে সেটাই ‘মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত’- হিসেবে প্রকাশ করেন।
তাছাড়া, জামুকা যখন একজন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে সুপারিশ করে, মন্ত্রণালয় কিন্তু গেজেট বাতিলের আগে তাকে কোনো ধরনের অভিযোগ খন্ডানোর বা শুনানির সুযোগও দেয় না; শুধুমাত্র জামুকা'র সুপারিশ মোতাবেক গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। জামুকা আইনের ৮ ধারা অনুসারে জামুকা'র চেয়ারম্যান অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জামুকা'র সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী, অন্যদিকে মন্ত্রণালয়েরও প্রধান তিনি।
সে কারণে প্রকৃত অর্থে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী এবং বিচারক একই ব্যক্তি। এটা প্রতিষ্ঠিত ন্যায়বিচার নীতির পরিপন্থী। ফলশ্রুতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও সম্মানী মন্ত্রীর একক ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্ত্রী ও সচিবকে বাদ দিয়ে জামুকা'র বাকি সদস্যদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
১ বছর আগে