বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আন্দোলনে যেতে হবে: এটিএম মা’ছুম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেছেন, জনগণ এবার কোনো ভোট ডাকাত ও লুটেরাদের ভোট দেবে না। কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করা যাবে না।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল হেরা কমপ্লেক্সে জেলা জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আন্দোলনে যেতে হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। জামায়াতের ঘোষিত ৭ দফা মেনে নিতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাকশালের বুলেটিনখ্যাত সংবিধান দিয়ে দেশ চলতে পারে না। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে সংস্কার আনতে হবে। একই সঙ্গে অতীত স্বৈরাচার আমলে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। কাউকে আনুকূল্য বা কাউকে পাশ কাটালে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুস সাত্তার এবং কুমিল্লা জেলা উত্তরের আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন।
জেলা আমীর মাওলানা মোবারক হোসেন আকন্দের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক জোনায়েদ হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মো. নকিবুল হুদা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
দায়িত্বশীল সম্মেলনে জেলা আসন কমিটির সদস্য, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির নারী-পুরুষ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফায়জুল করিম মনোয়ার, কাজী সিরাজুল ইসলাম, রাজিফুল হাসান বাপ্পী, আবুল বাশার ভূঁইয়া, মো. রোকন উদ্দিন প্রমুখ।
১০৭ দিন আগে
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দলটির ঐতিহ্যবাহী নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লাও’ পুর্নবহাল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবরের পুরোনো গেজেট বাতিল করা হয়েছে। ওই গেজেটের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল।
গেজেটে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুর্নবহাল করা হয়েছে।
ফলে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দেয় ইসি (নিবন্ধন নম্বর: ১৪) যা ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর ৯০বি অনুচ্ছেদের আওতায় ছিল।
তবে, ২০০৯ সালের এক রিট আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
গত ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে। ফলে দলটির নিবন্ধন এবং প্রতীক পুনরুদ্ধারের পথ উন্মুক্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, ৪ জুন অনুষ্ঠিত ইসির বৈঠকে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে তা কার্যকর হলো।
১৬৪ দিন আগে
যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হন: আলী রীয়াজ
এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এই বীর শহীদদের কাছে ঋণ আছে। যে সুযোগ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে তৈরি হয়েছে, তা যেন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বা কোনো নিপীড়নের শিকার না হন।’
‘রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তা কেবল সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ফল,’ বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের তাগিদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এসেছে, ছাত্রসমাজের কাছ থেকে এসেছে এবং সর্বোপরি দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছ থেকে এসেছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এহসান মাহবুব যোবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিশির মোহাম্মদ মনির ও সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোনো পরিস্থিতিতেই সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়: আলী রীয়াজ
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ এ পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
২২৩ দিন আগে
স্বৈরশাসকরা একবার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার এবার সম্পূর্ণ সমাপ্ত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে বিগত সময়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা ফিরে আসেনি। এরা ডামি সরকার বলেই সামান্য ফু দিতেই উড়ে গেছে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা জামায়েতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে জিতেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৮-তে হয়েছে মিডনাইট নির্বাচন।
এছাড়া ২৪-এ ডামি নির্বাচন হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আবার হুংকার দিচ্ছে তারা ফিরে আসবে। আবার দেশ দখল করবে। আবার আগের মতো তাণ্ডব চালাবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা বিগত সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। তারা তছরুপ, চুরি, ডাকাতি, জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়: ডা. শফিকুর
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে সীমা লঙ্ঘন না করারও আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সংগঠিত সকল অপরাধের তদন্ত সাপেক্ষে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু ধোঁয়া তুলে ফায়দা লুটে সংখ্যালঘুদের সর্বনাশ করে ইসলামপন্থীদের ওপর দায় চাপিয়েছে।
সমতার ভিত্তিতে সকল জেলার উন্নয়ন করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্য করা হয়েছে। আগামী একনেকে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য যেকোনো একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনালের মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম ও উপজেলা জামায়াতের নেতারা।
৩৪০ দিন আগে
২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমীর
সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সেটি ২০২৫ সালের ভেতরেই হতে হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এ জে মডেল হাইস্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সম্ভব’, যদি তারা আংশিক সংস্কার করেন। আমরা মনে করি, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সম্ভব। এরপর এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করবেন- এটিই জাতির প্রত্যাশা ও জামায়াতে ইসলামীর দাবি।”
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলে ফ্যাসিজম একবার বিদায় হলে আর ফিরে আসে না। এ দেশেও সেটি হবে না। ফলে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগের নৃসংশতার বর্ণনা দিয়ে এই নেতা বলেন, ‘শুধু বিএনপি জামায়াত নয়, আওয়ামী লীগ তাদের দলের লোকদেরও খুন ও নির্যাতন করেছে। আমার এলাকায় নিজেদের ৮ কর্মীকে হত্যা করেছে তারা। তবে আমরা কোনো হত্যার রাজনীতি করব না।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের র্যালি করল ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বলা হয়, নারীর অধিকার থাকবে কি না? পরিবারের নারীরা চাকরি করতে পারবে কি না?’
‘আমার স্ত্রী একজন প্রফেসর। আমার মেয়ে একজন ডাক্তার, তিনিও চাকরি করেন। আমার দ্বিতীয় মেয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার ছোট মেয়ে আর্কিটেক্ট (স্থপতি), তিনিও চাকরি করেন। আমরা ক্ষমতায় এলে যদি নারীদের চাকরি করতে না দেই, তাহলে আমার পরিবারেই তো চাকরি থাকছে না। এগুলো জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার মাত্র।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে যুব সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসনাত মু. আব্দুল হালিম, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুর রহমান, কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানসহ ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করে ২৫ সালে নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
৩৪৯ দিন আগে
বিজয় দিবসের র্যালি করল ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের আজমপুরে র্যালিটি করে দলটির নেতাকর্মীরা।
দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি এ এইচ এম আতিকুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী উত্তরা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, মাজহারুল ইসলাম, আবু সাঈদ, মতিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ডিএনসিসির শিশুপার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ
৩৫৪ দিন আগে
যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। অবশ্যই তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, রাজনীতি করার অধিকার তাদেরই আছে যারা শুধু রাজনীতি করে। এছাড়া যারা দেশ বিক্রি করে দেয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সীরাতুন্নবী আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস করে, হত্যা করে, লুটপাট করে, দেশ বিক্রি করে দেয়, মানুষের সম্পদ খেয়ে ফেলে তারা কি রাজনীতিবিদ?
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
এমন রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশ আর কারো থাকবে না। আর যারা রাজনীতি করবেন প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার। উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রিয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির আইনজীবী শাহজাহান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
৪৩৩ দিন আগে
সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত। এমনিতে তাকে দরবেশ বলে? কারণ তিনি দাড়ি রেখে ডাকাতি করেন।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানকে আগেই ধরা হয়েছিল। তার দাড়ি কামিয়ে লুঙ্গি পরিয়ে মানুষের সামনে আনা হয়। এমন জীবন কে চান?
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, দেশের একমাত্র সমস্যা দুর্নীতি। যারা এই দেশ শাসন করেছে এত বছর ধরে, তারা কেউই দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। দুর্নীতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, আমাদের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে। যদি এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে তো আগের মতোই হবে- যেই লাউ সেই কদু।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালে একবার, ১৯৭১ সালে একবার ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একবার। যদি ৭১ থেকে শুরু করেন তাহলে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন, ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনডিএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জুয়েল রানা।
৪৩৩ দিন আগে
জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর।
এছাড়া, জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা আবেদনটিরও শুনানি হবে একই দিন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে গত জুনে পৃথক দুটি আবেদন করেন হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন।
আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আনা হয়।
আদালত অবমাননার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে জামায়াতের আমীর ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
গত ২৬ জুন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাফওয়ান করিম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন।
পরে তানিয়া আমীর বলেন, আমাদের দুটি আবেদন। একটি নিষেধাজ্ঞার, অপরটির আদালত অবমাননার। আমরা শুনানিতে দাঁড়ানোর আগে একজন আইনজীবী জামায়াতের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত কড়াভাবে বললেন, ‘উনি (এ জে মোহাম্মদ আলী) কী আদালত আছেন ডিজিটাল যুগে আদালতের সামনে স্ক্রিন আছে। সব জানা যায়। আমরা সময় দিতে প্রস্তুত না। তখন আমি বললাম, আগস্টেও ওনারা সময় চেয়েছেন। এরপর আমরা জামায়াতের বর্তমান নেতাদের বিবাদী করে যে আবেদন করেছিলাম। সেটি উপস্থাপন করি। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, আদালত বলছেন যে ওনাদের হাত অনেক লম্বা। আর সময় দেবেন না। এরপর ৬ তারিখ শুনানির জন্য রেখেছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
পরে হাইকোর্ট দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিতে দলটিকে দুই মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতকে আদালতে সংক্ষিপ্ত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। পরে তারা আদালতে সারসংক্ষেপ জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
৭৭৮ দিন আগে
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২৮ জুলাই বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ জুলাই জেলা শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করবে দলটি। এ ছাড়া আগামী ১ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ করবে বলে জানানো হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দলের আমীর শফিকুর রহমানসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দাবিতে সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: জামায়াত সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের
তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি।
তিনি নির্বাচনী প্রার্থীদের আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।
এ ছাড়া তিনি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমনভাবে প্রশাসনকে সাজানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামে মিটিং ও মিছিল করার জন্য দলের “স্বাধীনতার অভাব” ছিল বলে অভিযোগ করেন জামায়াতের এ নেতা।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হচ্ছে।
দেশে বিগত নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে সরকার প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডক্টর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আবদুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত
৮৬৫ দিন আগে